নেতা নির্বাচনে আল্লাহ এবং তাঁর রসুলের পক্ষ থেকে দেওয়া নিুোক্ত নীতিমালাগুলো মেনে চললে নিশ্চিতরূপে বলা যায় প্রতিটি দল কিংবা রাষ্ট্রক্ষমতার অধিকারীদের মধ্যে চলমান সকল প্রকার দূরত্ব, মত পার্থক্য, হানাহানি, কোন্দল ইত্যাদি দূরীভূত হয়ে ন্যায়-নীতি, সৌহার্দ্য, ঐক্য ও ভ্রাতৃত্ববোধ সৃষ্টি হবে।
আল্লাহর বক্তব্যঃ
“আল্লাহ তোমাদের নির্দেশ দিচ্ছেন যেন তোমরা আমানতসমূহ বিশ্বস্ত লোকদের কাছে সোপর্দ করো।” [সুরা নিসাঃ ৫৮]।
সকল প্রকার আমানতের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আমানত হোচ্ছে শাসনক্ষমতা। সুতরাং যাদের মধ্যে বিশ্বস্ততার অভাব তাদের কাছে শাসনক্ষমতা অর্পণ কোরলে তারা সেটার খেয়ানত কোরবে।
“তোমাদের সে ব্যক্তি আল্লাহর নিকট সর্বাধিক সম্মানিত, যে সর্বাধিক সতর্কতা অবলম্বনকারী (মুত্তাকী)।” [সুরা হুজারাত ১৩]
নেতৃত্বলাভের অধিক হকদার সেই ব্যক্তি যে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আল্লাহ ও রসুলের আদেশ নিষেধের ব্যাপারে অধিক সতর্ক। যার সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে আল্লাহ-রসুলের প্রদত্ত্ব মানদণ্ড বিবেচ্য বিষয় নয়, তার মাধ্যমে শান্তির আশা করা বৃথা।
রসুলাল্লাহ বলেনঃ
ক) তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম নেতা হোল সেসব লোক যাদের তোমরা ভালোবাসো এবং তারাও তোমাদেরকে ভালোবাসে, যাদেরকে তোমরা দোয়া করো এবং তারাও তোমাদের জন্য দোয়া করে। তোমাদের নিকৃষ্টতম নেতা হোল সেসব লোক যাদের তোমরা ঘৃণা করো এবং তারাও তোমাদেরকে ঘৃণা করে, যাদের তোমরা অভিসম্পাত করো এবং তারাও তোমাদের অভিসম্পাত করে।” [সহীহ মোসলেম শরীফ]
খ) “আল্লাহর শপথ! আমরা আমাদের এ রাষ্ট্রীয় কোনো দায়িত্বে এমন কোনো ব্যক্তিকে নিয়োগ কোরব না, যে তা পাওয়ার জন্য আবেদন করে অথবা তা পেতে লালায়িত।” [বোখারী ও মোসলেম শরিফ]
গ) “আমাদের নিকট তোমাদের মধ্যে সবচেয়ে বড় খিয়ানতকারী হোল সে ব্যক্তি যে ঐ পদের প্রার্থী হয়।” [আবু দাউদ]
আল্লাহ এবং তাঁর রসুলের বক্তব্য থেকে পরিষ্কার হয়ে যায় যে, নেতৃত্বের কামনাই নেতা হওয়ার জন্য প্রথম অযোগ্যতা। অথচ বর্তমান রাষ্ট্র কিংবা সমাজে এর উল্টো চিত্র দেখা যায়। উপরন্তু নেতা হওয়ার জন্য এখানে টাকা পয়সা ব্যয় করে এবং হুমকি ধামকি, মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে পর্যন্ত মানুষের সম্মতি আদায় করা হয়।