আল্লাহর বাণী
অধিকাংশ পণ্ডিত ও সংসার বিরাগীরা (আহবার ওয়া রোহবান) মানুষের সম্পদ অন্যায়ভাবে ভোগ করে এবং লোকদেরকে আল্লাহর পথ থেকে ফিরিয়ে রাখে। আর যারা সোনা-রুপা জমা করে ও আল্লাহর পথে ব্যয় করে না উহাদের মর্মন্তুত শাস্তির সংবাদ দাও। যেদিন জাহান্নামের অগ্নিতে উহা উত্তপ্ত করা হবে এবং উহা দ্বারা তাহাদের ললাট, পার্শ্বদেশ ও পৃষ্ঠদেশে দাগ দেওয়া হবে, সেদিন বলা হবে এটাই সেটা যা তোমরা নিজেদের জন্য জমা করতে। সুতরাং তোমরা যা পুঞ্জিভূত করেছিলে তার স্বাদ আস্বাদন কর। (সুরা তওবা- ৩৪-৩৫)
তাদের অনুসরণ করো যারা তোমাদের কাছে কোনোপ্রকার বিনিময় চায় না এবং যারা হেদায়াতে (সঠিক পথে) আছে। (সুরা ইয়াসিন- ২১)
তাদের মধ্যে একদল রয়েছে, যাহারা কিতাবকে জিহ্বা দ্বারা বিকৃত করে, যাতে তোমরা মনে কর যে, তাঁরা কেতাব থেকেই পাঠ করছে। অথচ তারা যা তেলাওয়াত করছে তা আদৌ কেতাব নয়। এবং তারা বলে যে, এসব কথা আল্লাহর তরফ থেকে আগত। অথচ এসব আল্লাহর তরফ থেকে প্রেরিত নয়। আর তারা জেনে শুনে আল্লাহরই প্রতি মিথ্যারোপ করে। (সুরা ইমরান- ৭৮)
রসুলাল্লাহর (সা.) বাণী
রসুলাল্লাহ (সা.) বলেছেন, আমার উম্মতের একটি দল দীনের গভীর জ্ঞান অর্জন করবে, কোর’আন পাঠ করবে, তারপর তারা বলবে, আমরা নেতৃবর্গের নিকট যাব, তাদের নিকট হতে দুনিয়ার সম্পদ গ্রহণ করব কিন্তু দীনের ব্যাপারে তাদের আনুগত্য করব না। এরূপ কখনো হতে পারে না। যেমন কাঁটাদার গাছ থেকে ফল আহরণের সময় হাতে কাঁটা ফুটবেই, তদ্রূপ তারা তাদের কাছে গিয়ে গুনাহ ব্যতীত তারা কিছুই লাভ করতে পারে না। – (ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে ইবনে মাজাহ, মেশকাত, কানযুল উম্মাল, সুয়ুতি, তারগীব ওয়াত তারহীব)।
আমি তোমাদের পূর্বেই হাওযে কাওসারের নিকটে পৌঁছে যাব। যে ব্যক্তি সেখানে নামবে এবং তার পানি পান করবে সে আর কখনও পিপাসিত হবে না। কতিপয় লোক আমার নিকট আসতে চাইবে, আমি তাদেরকে চিনি আর তারাও আমাকে চেনে। অতঃপর আমার ও তাদের মধ্যে পর্দা পড়ে যাবে। আমি বলব: “তারা তো আমার উম্মাতের অন্তর্ভুক্ত।” তাঁকে বলা হবে, “আপনি জানেন না আপনার পরে তারা কী আমল করেছে।” তখন যে ব্যক্তি আমার পরে (দীনকে) পরিবর্তন করেছে তাকে আমি বলবো: “দূর হয়ে যা, দূর হয়ে যা”। – হাদিস: আবু সাইদ খুদরি (রা.) থেকে বোখারি ও মুসলিম, হা/৪২৪৩)।
আল্লাহর রসুল (সা.) বলে গেছেন, যে ব্যক্তি এমন কোনো জ্ঞান অর্জন করল, যার দ্বারা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করা যায়, কিন্তু তা সে কেবল পার্থিব স্বার্থ লাভের উদ্দেশ্যে অর্জন করল, কেয়ামতের দিন সে ব্যক্তি জান্নাতের সুগন্ধ পর্যন্ত পাবে না। – আবু হোরায়রাহ (রা.) থেকে আবু দাউদ