আল্লাহর রসুল জন্মগ্রহণ করেন ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দে। জন্মের পূর্বেই তিনি বাবা আব্দুল্লাহকে হারান। তারপর ছয় বছর বয়সে মা আমিনাও মারা যান। শৈশবে বাবা-মাকে হারিয়ে তিনি লালিত-পালিত হতে লাগলেন দাদা আব্দুল মুত্তালিবের কাছে। আট বছর বয়সে দাদাও মারা গেলেন এবং রসুলাল্লাহকে তুলে দিয়ে গেলেন চাচা আবু তালিবের হাতে। বর্ণিত আছে, “আবু তালিব তার নিজের সন্তানদের চাইতেও শিশু মোহাম্মদ (সা.) কে বেশি ভালোবাসতেন। তাঁকে চোখে চোখে রাখতেন। কোথাও একা ছাড়তে চাইতেন না।” আল্লাহর রসুল শিশুকাল থেকেই মার্জিত চরিত্রের ছিলেন, যাবতীয় কু-অভ্যাস ও কু-প্রথা থেকে আল্লাহ তাঁকে মুক্ত রেখেছিলেন। বালক বয়স থেকেই তাঁর মনে মানুষের প্রতি স্নেহ, মমতা, ভালোবাসা জাগরুক ছিল। তিনি ছিলেন সবার আস্থার পাত্র। এজন্য মক্কার লোকজন তাঁকে ‘আল-আমিন’ বা বিশ্বাসী বলে ডাকত। সমস্ত সমাজ অশ্লীলতা ও বেহায়াপনার মধ্যে ডুবে থাকলেও আল্লাহ তাঁর রসুলকে যাবতীয় অশ্লীলচর্চা থেকে হেফাজত করতেন।
আল্লাহর রসুল তরুণ বয়স থেকেই সমাজ নিয়ে ভাবতেন, মানুষের দুঃখ-কষ্ট দেখে যারপরনাই বিচলিত হতেন। কীভাবে মানুষকে জাহেলিয়াত থেকে মুক্ত করে আলোকিত সমাজ গড়া যায় তার উপায় অনুসন্ধান করতেন। ২০ বছর বয়সে ফিজারের যুদ্ধের ভয়াবহতা তাঁর হৃদয়কে প্রচণ্ড আন্দোলিত করে। তিনি দেখলেন এইভাবে চলতে থাকলে সবাই ধ্বংস হয়ে যাবে, এই শত্রুতার আগুন নেভাতে না পারলে অচীরেই তা দাবানলের মত ছড়িয়ে পড়বে, একে একে সমস্ত গোত্রই নিঃশেষ হয়ে যাবে। কাজেই ‘হিলফুল ফুযুল’ সংগঠনের মাধ্যমে যুদ্ধ-রক্তপাত বন্ধের একটা উদ্যোগ গ্রহণ করলেন তিনি। এই কাজে তিনি চাচা যুবায়ের ইবনে আব্দুল মুত্তালিবেরও সহযোগিতা লাভ করেছিলেন (ইসলামের ইতিহাস, প্রথম খণ্ড, ই.ফা.বা.)।
(উল্লেখ্য, রসুলাল্লাহর এই আন্তরিক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও আরবে শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব হয় নাই যতক্ষণ না আল্লাহ তাঁকে সত্যদ্বীন ও হেদায়াহ দান করেন)
আল্লাহর রসুলের নবুয়্যতের চিহ্নগুলো ছোটবেলা থেকেই প্রকাশিত হতে থাকে। আব্দুল মুত্তালিবের মৃত্যুর পর রসুলাল্লাহ যখন চাচা আবু তালিবের কাছে লালিত-পালিত হতে লাগলেন, তখন বনু লেহাব গোত্রের এক ব্যক্তি মানুষের দৈহিক লক্ষণসমূহ দেখে ভাগ্য বিচার করত। সে যখন মক্কায় আসত, কুরাইশরা তাদের ছেলেদের নিয়ে তার কাছে ভীড় জমাত। সে ছেলেদের শরীরের ওপরে নজর বুলিয়ে তাদের ভাগ্য বলত। একবার অন্যদের সাথে আবু তালিবও ভাতিজা মোহাম্মদকে (সা.) সাথে নিয়ে গণকের কাছে গেলেন। গণক রসুলকে দেখেই চিন্তিত হয়ে উঠল। কিছুক্ষণের জন্য সে রসুলাল্লাহর ব্যাপারে কিছু না বলে এড়িয়ে গেল। তারপর বলল, ‘এই বালককে নিয়ে একটু বিশেষভাবে মনোযোগ দিতে হবে।’ আবু তালিব রসুলাল্লাহর উপর গণকের অতিরিক্ত মনোযোগ দেখে বিষয়টাকে ভালো মনে করলেন না। তিনি কৌশলে রসুলকে সরিয়ে নিলেন। এদিকে হঠাৎ করে রসুলকে হারিয়ে ফেলে গণক উত্তেজিত হয়ে উঠল। সে বলল, “তোমাদের এ কি কাণ্ড! বালকটাকে আমার কাছে আবার নিয়ে এসো। আল্লাহর কসম, এ এক অসাধারণ বালক।” (সীরাতে ইবনে হিশাম)
কিছুদিন পরের ঘটনা। আবু তালিব বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে সিরিয়ায় যাবার সময় রসুলকেও সঙ্গে নিলেন। কাফেলা বুসরা নামক এলাকায় পৌঁছলে যাত্রাবিরতি করলো। সেখানে ছিলেন বাহীরা নামে এক খৃষ্টান পাদ্রী। ঈসায়ী ধর্ম সম্পর্কে তিনি ছিলেন বিশেষ জ্ঞানের অধিকারী। তিনি কারো সামনে বেরোতেন না বা কারো সাথে কথাবার্তা বলতেন না। কিন্তু এই বছর যখন কুরাইশদের কাফেলা বাহীরার গীর্জার পাশে যাত্রাবিরতি করল তখন বাহীরা তাদের জন্য প্রচুর খাদ্যের ব্যবস্থা করলেন। কথিত আছে, বাহীরা তার গীর্জায় বসেই একটা আশ্চর্য ব্যাপার দেখতে পেয়েছিলেন। তিনি কাফেলার এগিয়ে আসার সময় দেখেন যে, সমগ্র কাফেলার মধ্যে একজন বালককে আকাশ থেকে একখণ্ড মেঘ ছায়া দিয়ে চলেছে। অতঃপর তারা একটা গাছের ছায়ায় যাত্রাবিরতি করলে মেঘ এবং সেই গাছের ডালপালা ওই বালকের ওপর ঝুঁকে ছায়া দিতে লাগলো। পাদ্রী বাহীরা দাওয়াতের নাম করে কাফেলার সবাইকে সমবেত করলেন এবং রসুলাল্লাহর সাথে একাকী কথাবার্তা বলে নিশ্চিত হলেন যে, তিনি আল্লাহর রসুল হবেন। আরও ভালোভাবে নিশ্চিত হবার জন্য তিনি রসুলাল্লাহর স্কন্ধ পর্যবেক্ষণ করলেন এবং সেখানে নবুয়্যতের মোহর অংকিত দেখতে পেলেন। মোহর অবিকল সেই জায়গায় দেখতে পেলেন যেখানে বাহীরার পড়া আসমানী কিতাবের বর্ণনা অনুসারে থাকার কথা ছিল। বাহীরা আবু তালিবকে জিজ্ঞেস করলেন, “বালকটি আপনার কে? তিনি বললেন, “আমার ছেলে।” বাহীরা বললেন, “সে আপনার ছেলে নয়। এই ছেলের পিতা জীবিত থাকতে পারে না।” আবু তালিব বললেন, “বালকটি আমার ভ্রাতৃষ্পুত্র।” বাহীরা বললেন, “ওর পিতার কী হয়েছিল?” আবু তালিব বললেন, “এই ছেলে মায়ের গর্ভে থাকতেই তার পিতা মারা গেছে।” বাহীরা বললেন, “ঠিক, এ রকম হওয়ার কথা। আপনার এ ভ্রাতুষ্পুত্র অচিরেই এক মহামানব হিসাবে আবির্ভূত হবেন।” (সীরাতে ইবনে হিশাম) রসুলাল্লাহর (সা.) বয়স যখন ৩৫ বছর তখন মক্কার সব গোত্র মিলে ক্বাবাঘর পুনর্নির্মাণের কাজ শুরু করে। মেঝে নির্মাণ, দেয়াল নির্মাণ, ছাদ নির্মাণ ইত্যাদি কাজগুলো ভিন্ন ভিন্ন গোত্রের উপর ন্যাস্ত ছিল। নির্মাণ কাজ কিছুদূর ভালোভাবেই অগ্রসর হয়। তারপর একটি বিষয় নিয়ে তীব্র মতবিরোধ শুরু হয় যে, হাজরে আসওয়াদ (কালো পাথর) পুনঃস্থাপন করবে কোন গোত্র? এই কাজকে অত্যন্ত সম্মানের বিবেচনা করা হয় বিধায় প্রত্যেকটা গোত্রই চাচ্ছিল যে, উক্ত কাজ তারাই করবে।
এ নিয়ে মতবিরোধ তীব্র সংঘাতের জন্ম দেয়। প্রত্যেক গোত্রই তলোয়ার কোষমুক্ত করে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হয়ে যায়। কোনো কোনো গোত্র রক্তভর্তি পেয়ালায় আঙ্গুল ডুবিয়ে কসম খেয়ে বলে, “এই সম্মান লাভের জন্য আমরা হয় মারব নয়তো মরব।” কলহের কারণে পাঁচ দিন পর্যন্ত নির্মাণকাজ মুলতবি থাকল। অতঃপর কোরায়েশদের প্রবীণতম ব্যক্তি আবু উমাইয়া ইবনুল মুগীরা প্রস্তাব করলেন যে, এই পবিত্র মসজিদের দরজা দিয়ে সর্বপ্রথম যে প্রবেশ করবে তাকেই তোমরা এই বিবাদের মীমাংসার দায়িত্ব দাও। সবাই এ প্রস্তাবে সম্মত হলো। আল্লাহর ইচ্ছায় সর্বপ্রথম দরজা দিয়ে প্রবেশ করলেন মোহাম্মদ (সা.)। তখন সকলেই বলে উঠল- “এতো আমাদের আল আমীন (পরম বিশ্বস্ত) মোহাম্মদ। তাঁর কথা আমরা মাথা পেতে নেব।” (এই থেকে বোঝা যায় যে, আল্লাহর রসুল নবুয়্যত লাভের পূর্বেই জনসমাজে কতটা বিশ্বস্ত ও আস্থাভাজন ছিলেন।)
রসুলাল্লাহ (সা.) তাদের সব ঘটনা শুনে অভিনব এক উপায় বের করলেন। তিনি একটা বড় কাপড় চাইলেন। কাপড়ের মাঝখানে হাজরে আসওয়াদ নামক পাথরটি রাখলেন এবং বললেন সব গোত্রের লোকেরা চারিদিকে ধরুন। তারপর রসুলাল্লাহ (সা.) পাথরটি যথাস্থানে স্থাপন করলেন। (ইসলামের ইতিহাস, প্রথম খণ্ড, ই.ফা.বা.) এভাবে মোহাম্মদ (সা.) একটি জটিল সমস্যার সহজ সমাধান করলেন ঐক্যের সূত্র দিয়ে। তিনি সর্বদাই বিভাজনের বিপক্ষে ছিলেন, ঐক্যের পক্ষে ছিলেন। এই ঘটনা তারই একটা নিদর্শন।
আল্লাহর রসুলের হৃদয় ছিল দয়া-মমতার জ্যোতিতে পরিপূর্ণ। শুধু নবুয়তি জিন্দেগীতেই নয়, নবুয়ত লাভের পূর্বেও তিনি সাম্যের বহু দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন। এর মধ্যে অন্যতম একটি ঘটনা যায়েদ ইবনে হারিসা (রা.) সম্পর্কিত। ঘটনাটি হলো:- আল্লাহর রসুলের প্রথম স্ত্রী আম্মা খাদিজা (রা.) এক আত্মীয়ের কাছে থেকে একজন দাস উপহার পেয়ে তাকে হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর খিদমতে সমর্পণ করেছিলেন। এই দাসের নাম যায়েদ ইবনে হারিসা। যায়েদ ইবনে হারিসা একজন স্বাধীন খ্রিষ্টান বংশের সন্তান ছিলেন। কোন এক লুটপাটের সময় তিনি ধৃত হয়ে ক্রীতদাসরূপে বিক্রিত হয়ে যান। কিছুদিন পর তাঁর পিতা হারিছা এবং চাচা কাআব যখন জানতে পারলেন যে, তাদের ছেলে যায়েদ মক্কার কোন একটি পরিবারে দাসরূপে বসবাস করছেন, তখন তাঁরা উভয়ে মক্কায় এসে হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর খিদমতে উপস্থিত হয় এবং বিনীতভাবে প্রার্থনা জানান যে, তাদের ছেলেটিকে যেন তিনি মুক্ত করে দেন। মুহাম্মদ (সা.) তৎক্ষণাৎ তাঁদের আবেদন মঞ্জুর করেন এবং বলেন যে, যায়েদ যদি তোমাদের সাথে চলে যেতে চায়, তবে আমার পক্ষ থেকে তার অনুমতি রইলো। সাথে সাথে যায়েদকে ডাকানো হলো। রসুল (সা.) তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কি এদেরকে চিনতে পারছ? জবাবে যায়েদ বললেন, ‘জ্বী হ্যাঁ।’ এরা হচ্ছেন আমার পিতা ও চাচা। রসুলাল্লাহ বললেন, এরা তোমাকে নিতে এসেছেন। আমার পক্ষ থেকে তোমার যাবার অনুমতি আছে। জবাবে যায়েদ বললেন, আমি আপনাকে ছেড়ে কোথাও যাব না। যায়েদের এই জবাব শুনে তার পিতা হারিসা যারপরনাই বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ হলেন। তিনি রাগতস্বরে বললেন, “তুই কি স্বাধীনতার উপর গোলামীকেই প্রাধান্য দিচ্ছিস?” যায়েদ মুখের উপর বললেন, “জ্বী হাঁ। আমি মুহাম্মদ (সা.) এর মধ্যে এমন কিছু প্রত্যক্ষ করেছি যে, তাঁর মুকাবিলায় আমি পিতাকে কেন, সারা পৃথিবীকেও প্রাধান্য দিতে পারি না।” রসুলাল্লাহ (সা.) যায়দের মুখে এ জবাব শুনে তৎক্ষনাৎ তাঁর হাত ধরে কা’বার ঘরে উপস্থিত হলেন এবং চিৎকার করে ঘোষণা করলেন, “লোকসকল! তোমরা সাক্ষী থেকো, আজ থেকে আমি যায়েদকে মুক্তি করছি এবং তাঁকে আমার ছেলেরূপে গ্রহণ করছি।” যায়েদের পিতা ও পিতৃব্য তা দেখে অত্যন্ত আনন্দিত হলেন এবং যায়েদকে আল্লাহর রসুলের কাছে খুশীমনেই রেখে গেলেন। এই ঘটনা থেকে বোঝা যায়, যায়েদের সাথে আল্লাহর রসুলের সম্পর্ক দাস-মনিবের সম্পর্ক ছিল না, তিনি যায়েদকে আপন সন্তানের মতই স্নেহ-মমতা দিয়ে আগলে রাখতেন। এতখানি ভালোবাসতেন যে, পিতা-মাতার সাথে স্বাধীনভাবে বসবাস করার সুযোগ প্রত্যাখ্যান করে যায়েদ রসুলাল্লাহর ‘সেবক’ হিসেবে জীবন কাটিয়ে দেওয়াকে বেছে নিলেন!
আইয়ামে জাহেলিয়াতের অন্যায়, অশান্তি মাত্রাতিরিক্ত পর্যায়ে পৌঁছলে রসুলাল্লাহর হৃদয় আরও বিগলিত হয়ে উঠল। তিনি উপায় খুঁজতে লাগলেন- কোন পথে মানুষের মুক্তি, কীভাবে এই সীমাহীন অন্যায়, অবিচার, বিশৃঙ্খলা দূর করা সম্ভব। তিনি একাকী নির্জনে সমাজ নিয়ে ভাবতে লাগলেন। আমরা রসুলাল্লাহর জীবনীতে হেরা গুহায় ধ্যানমগ্ন হবার যে ঘটনা পাই, সেটা এই সময়কার ঘটনা। অনেকে মনে করেন আজকের সুফি-সাধকরা যেভাবে ধ্যান-সাধনায় মত্ত থাকেন নবুয়্যত পাওয়ার আগে রসুলাল্লাহও বুঝি অমন ধ্যান করতেন। এটা ভুল ধারণা। রসুলাল্লাহর ধ্যান আজকের যুগের পীর-দরবেশদের মত ব্যক্তিগত আধ্যাত্মিক সাধনা করে কুরবিয়্যাত অর্জনের ‘তরিকা’ ছিল না। পীর দরবেশদের ধ্যানের সাথে রসুলের ওই ধ্যানের প্রধান তফাৎ ছিল- ‘লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যে’।
পীর-দরবেশরা ব্যক্তিগত আধ্যাত্মিক সাধনা হিসেবে যে ধ্যান করেন তার সাথে সমাজের বা জাতির সঙ্কটমুক্তির কোনো ব্যাপার থাকে না। ওটা আত্মকেন্দ্রিকতারই নামান্তর। পক্ষান্তরে আল্লাহর রসুল, মানবজাতির মুকুটমনি, রহমাতাল্লিল আলামিন ধ্যানমগ্ন হয়ে জাহেলিয়াতপূর্ণ সমাজের দুঃখ-দুর্দশা, অন্যায়-অশান্তি দূরীকরণের উপায় খুঁজেছেন, মানুষের কথা ভেবেছেন, সমাজের মঙ্গলের জন্য মহান রব্বুল আলামিনের দরবারে হৃদয়ের গহীন থেকে পথ-নির্দেশ কামনা করেছেন, যেই পথের কথা আমরা প্রতি ওয়াক্ত নামাজে সুরা ফাতেহার মধ্যে স্মরণ করি, ইহদিনাস সিরাতুল মোস্তাকীম, আমাদেরকে সহজ-সরল পথ দেখাও, হে প্রভু!
আল্লাহ এই সময়টার কথাই পরবর্তীতে তাঁর হাবীবকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন যে, ‘তিনি তোমাকে পেয়েছেন পথহারা, অতঃপর পথপ্রদর্শন করেছেন’ (আদ দ্বোহা- ০৭)।