রিয়াদুল হাসান:
হেযবুত তওহীদের প্রতিষ্ঠাতা এমামুযযামান জনাব মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নী তাঁর শিক্ষাজীবনে ব্রিটিশ বিরোধী সংগ্রামে জড়িত হয়েছিলেন। কলকাতায় ইসলামিয়া কলেজে শিক্ষালাভের সময় ভারত উপমহাদেশ ছিলো ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে সংগ্রামে উত্তাল। তরুণ এমামুযযামানওএ সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েন। এই সুবাদে তিনি ব্রিটিশ বিরোধী সংগ্রামের বহু কিংবদন্তী নেতার সাহচর্য লাভ করেন। যাঁদের মধ্যে মহাত্মা গান্ধী, কায়েদে আযম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ্, অরবিন্দু ঘোস, শহীদ হোসেন সোহরাওয়ার্দী, মাওলানা সাইয়্যেদ আবুল আলা মওদুদী অন্যতম।
উপমহাদেশের দু’টি বৃহৎ ও প্রসিদ্ধ দল ব্রিটিশ বিরোধী সংগ্রামে নেতৃত্ব দান করেছিল যথা- মাহাত্মা গান্ধী ও জওহরলাল নেহেরুর নেতৃত্বে ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেস এবং মোহম্মদ আলী জিন্নাহ’র নেতৃত্বে সর্বভারতীয় মুসলীম লীগ। কিন্তু এমামুযযামান এই দু’টি বড় দলের একটিতেও যুক্ত না হয়ে যোগ দিলেন আল্লামা এনায়েত উল্লাহ খান আল মাশরেকীর প্রতিষ্ঠিত ‘তেহরীক এ খাকসার’ নামক একটি আন্দোলনে। আন্দোলনটি অপেক্ষাকৃত ছোট হোলেও অনন্য শৃংখলা ও বৈশিষ্ট্যের কারণে পুরো ভারতবর্ষব্যাপী বিস্তার লাভ করেছিলো এবং ব্রিটিশ শাসনের ভিত কাঁপিয়ে দিয়েছিল।
এমামুযযামান ছাত্র বয়সে উক্ত আন্দোলনে সাধারণ একজন সদস্য হিসেবে যোগদান করেও খুব দ্রুত তাঁর চেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ ও পুরাতন নেতাদের ছাড়িয়ে পূর্ববাংলার কমান্ডারের দায়িত্বপদ লাভ করেন। অল্পদিনের মধ্যেই তিনি দুঃসাহসী কর্মকাণ্ড ও সহজাত নেতৃত্বের গুণে আন্দোলনের কর্ণধার আল্লামা মাশরেকী’র নজরে আসেন এবং স্বয়ং আল্লামা মাশরেকী তাঁকে সমগ্র ভারতবর্ষ থেকে বিশেষ কাজের (Special Assignment) জন্য বাছাইকৃত ৯৬ জন ‘সালার-এ-খাস হিন্দ’ (বিশেষ কমান্ডার, ভারত) এর একজন হিসেবে নির্বাচিত করেন। তখন এমামুয্যমানের বয়স ছিল মাত্র ২২ বছর। দেশ বিভাগের অল্পদিন পর তিনি বাংলাদেশে (তদানিন্তন পূর্বপাকিস্তান) নিজ গ্রামে প্রত্যাবর্তন করেন।
আজ আমরা আল্লামা আল্লামা এনায়েতুল্লাহ খান আল মাশরেকি (২৫ আগস্ট ১৮৮৮ – ২৭ আগস্ট ১৯৬৩) সম্পর্কে জানব। তিনি ছিলেন একাধারে একজন গণিতবিদ, তর্কশাস্ত্রবিদ, রাজনীতিক তাত্ত্বিক, আধ্যাত্মিক সাধক এবং তিনি ছিলেন খাকছার আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা। খাকসার শব্দের অর্থ হচ্ছে নিরভিমান ব্যক্তি (A humble person)।
মাশরেকি গণিত বিষয়ে একজন প্রসিদ্ধ পণ্ডিত ব্যক্তি ছিলেন। তিনি ২৫ বছর বয়সে একটি কলেজের অধ্যক্ষ পদে অধিষ্ঠিত হন এবং ২৯ বছর বয়সে ভারত সরকারের শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারি শিক্ষা-সচিব নিযুক্ত হন। তিনি কোর’আনের ব্যাখ্যা লিখে ১৯২৫ সালে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত হন। ৩২ বছর বয়সে আফগানিস্তানের নাগরিকত্ব লাভের প্রস্তাব পান কিন্তু তিনি আদর্শিক কারণে নোবেল পুরস্কারসহ সকল সম্মাননা প্রত্যাখ্যান করেন।
পরবর্তীতে তিনি সরকারি চাকরি ছেড়ে ১৯৩০ সালে তেহরিক-এ-খাকছার আন্দোলন প্রতিষ্ঠা করেন। এই আন্দোলনের উদ্দেশ্য ছিল বিশ্বাস জাতি, ধর্ম, নির্বিশেষে জনগণের সামষ্টিক অগ্রগতি। এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য বেশ কয়েকবার তাকে কারাবরণ করতে হয়। তিনি তাঁর লেখাগুলোয় তুলে ধরেন যে ধর্মের অন্তর্গত বিজ্ঞান মানুষের সামষ্টিক জীবনের বিবর্তনের সঙ্গে কীভাবে সঙ্গতিশীল।
শিক্ষাজীবন:
ছোটবেলা থেকেই গণিতের প্রতি মাশরেকীর অত্যন্ত আগ্রহ ছিল। তিনি মাত্র ১৯ বছর বয়সে পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণিতে মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ করার মাধ্যমে পূর্বের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করেন। তিনি ১৯০৭ সনে ইংল্যান্ডের ক্যম্ব্রিজে অবস্থিত ক্রাইস্ট কলেজে ভর্তি হন গণিতে উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণের জন্য। ১৯০৮ সনে কলেজ কর্তৃপক্ষ তাকে স্কলারশিপ প্রদান করে। ১৯০৯ সনে এখান থেকে তিনি গণিতের প্রথম বিভাগে অনার্স ডিগ্রি লাভ করেন। পরবর্তী দুই বছরে তিনি প্রাচ্যের ভাষা এবং প্রকৃতিবিজ্ঞানের উপরে প্রথম বিভাগে অনার্স পাস করেন।
তিন বছর কেম্ব্রিজে অবস্থানের পর ১৯১০ সনে তিনি ব্যাচেলর অব আর্টস ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯১২ সালে তিনি মেকানিক্যাল সাইন্সের চতুর্থ পার্ট সমাপ্ত করেন এবং দ্বিতীয় বিভাগে উন্নীত হন। পরবর্তী বর্ষে তিনি গণিতে ডি-ফিল ডিগ্রি অর্জন করেন এবং ডক্টরাল গ্রাজুয়েশান সেরিমনিতে গোল্ড মেডেল লাভ করেন। সে বছরই তিনি ভারতে প্রত্যাবর্তন করেন। কেমব্রিজে থাকাকালীন তার ধর্মীয় ও বৈজ্ঞানিক বিশ্বাস স্যার জেমস জিন্স এর কাজ ও ধারণা দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছিল।
দেশে ফেরার পর মাশরেকিকে রাজার পক্ষ থেকে প্রিমিয়ারশীপ অব আলওয়ার অর্থাৎ রাজকুমার পদমর্যাদা প্রদানের প্রস্তাব করা হয়। কিন্তু তিনি শিক্ষানুরাগের কারণে তা প্রত্যাখ্যান করেন। ২৫ বছর বয়সে তিনি প্রধান কমিশনার স্যার জর্জ রুজ-কেপেল কর্তৃক পেশোয়ার ইসলামিয়া কলেজের সহকারী অধ্যক্ষ নিযুক্ত হন। ১৯১৭ সনে তিনি ঐ কলেজের অধ্যক্ষপদে উন্নীত হন। ১৯১৭ সনের অক্টোবরে তিনি স্যার জর্জ অ্যান্ডারসন (১৮৭৬-১৯৪৩) এর স্থলাভিষিক্ত হয়ে ব্রিটিশ ভারতের শিক্ষা বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি নিযুক্ত হন। তিনি ১৯১৯ সালের ২১ অক্টোবর তিনি পেশোয়ার উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নিয়োজিত হন। ৩২ বছর বয়সে তাকে আফগানিস্তানের রাষ্ট্রদূত হওয়ার জন্য প্রস্তাব করা হয়, কিন্তু তিনি এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। ১৯৩০ সালে সরকারি চাকরিতে তিনি পদোন্নতি পান যার পরপরই তিনি চিকিৎসা-ছুটি গ্রহণ করেন এবং ১৯৩২ সনে তিনি চাকুরিতে ইস্তফা দিয়ে পেনশন তুলে লাহোরের ইছরাতে বসবাস শুরু করেন।
১৯২৪ সালে, ৩৬ বছর বয়সে, মাশরেকি তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ তাজকিরাহ- এর ১ম খণ্ড লেখা সমাপ্ত করেন। এটা বিজ্ঞানের আলোকে কোর’আনের একটি তাফসির যা ১৯২৫ সালে নোবেল পুরষ্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিল। এটা ইউরোপিয়ান একটি ভাষায় অনুবাদ করে দেওয়ার জন্য প্রস্তাব করা হলে মাশরেকি তা করতে অস্বীকার করেন।
মাশরেকি যে ফেলোশিপগুলো লাভ করেছিলেন:
1. Fellow of the Royal Society of Arts, 1923
2. Fellow of the Geographical Society (F.G.S), Paris
3. Fellow of Society of Arts (F.S.A), Paris
4. Member of the Board at Delhi University
5. President of the Mathematical Society, Islamia College, Peshawar
6. Member of the International Congress of Orientalists (Leiden), 1930
7. President of the All World’s Faiths Conference, 1937
মাশরেকি বিভিন্ন ধর্মের দ্বান্দ্বিক বৈপরীত্যমূলক বিষয়গুলো নিয়ে আগ্রহী ছিলেন। বিভিন্ন ধর্মের অনুসারীদের মধ্যে বিরোধ দেখে ধর্মের প্রতি বীতশ্রদ্ধ তিনি হন নি, বরং তিনি ভ্রান্ত ধর্মীয় মতাদর্শগুলোকে বোঝার চেষ্টা করেন। তাঁর বিশ্বাস ছিল যে, একই স্রষ্টা একই সৃষ্টির প্রতি সাংঘর্ষিক শিক্ষা প্রেরণ করতে পারেন না। সৃষ্টিজগতের মধ্যে যেমন কোনো সাংঘর্ষিক বা অসামঞ্জস্যপূর্ণ বিষয় দেখতে পাওয়া যায় না, তেমনি ধর্মগুলো মধ্যে কোনো পারস্পরিক বিরোধাত্মক বিষয়বস্তু থাকতে পারে এমন কথায় তিনি বিশ্বাসী ছিলেন না। সেটা সম্ভব একটি মাত্র ক্ষেত্রে যদি ধর্মগুলো মিথ্যা হয়ে থাকে এবং নবী-রসুলগণ প্রতারক হয়ে থাকেন যারা চেয়েছিলেন মানবজাতিকে বিভ্রান্ত ও বিশৃঙ্খল করে ফেলতে। এটা যদি সত্য না হয় তবে আরেকটি পথ আছে- তা হলো নবী-রসুলদের শিক্ষাকে তাঁদের অনুসারীরা ভুলভাবে উপস্থাপন করেছে এবং তাদেরকে ভুল বোঝা হয়েছে।
তিনি ধর্মগ্রন্থগুলোকে আধুনিক ও যুগোপযোগী ভাষায় উপস্থাপন করে এটা প্রমাণ করেন যে সকল নবী-রসুল একই বক্তব্য নিয়ে এসেছিলেন। তিনি ধর্মগুলোর মূল বাণীকে বিশ্লেষণ করেন এবং এটা প্রমাণ করেন যে, সকল নবী-রসুলগণই মানবজাতির বিবর্তনের সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িত ছিলেন এবং তারা মানবজাতির একটি অংশকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন অপর একটি অংশের অজ্ঞানতা আর স্থবিরতার বিরুদ্ধে।
তিনি তার গবেষণার ভিত্তিতে ঘোষণা করেছিলেন যে, ধর্মের মধ্যে বিরাজিত বিজ্ঞানই মানবজাতির বিবর্তনের মূলসূত্র, বিবর্তনের বিজ্ঞান। সব নবী এসেছেন মানবজাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে, ঐক্যহীন করতে নয়। প্রতিটি ধর্মবিশ্বাসের মৌলিক নীতি হচ্ছে মানবজাতিকে এক করা। মার্কাস ড্যাশেল (Markus Daeschel) বলেন, মাশরেকির দার্শনিক চর্চা ভারতবাসীকে উত্তর-ঔপনিবেশিক জাতি গঠনের পক্ষে একটি নতুন ধারণা প্রস্তাব করে।
রাজনৈতিক জীবন
মাশরেকিকে প্রায়শই একজন বিতর্কিত ব্যক্তি, একজন মুসলিম রাজনীতিক এবং একজন বিপ্লবী নৈরাজ্যবাদী নেতা হিসাবে চিত্রিত করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাকে একজন দূরদর্শী সমাজ-রূপকার, সংস্কারক এবং একজন বিজ্ঞানী ও দার্শনিকও বলা হয়ে থাকে যিনি তার চিন্তা ও ধ্যানধারণায় সমসাময়িকদের চেয়ে অনেক অগ্রণী ছিলেন।
মাশরেকি সরকারি চাকরি থেকে পদত্যাগ করার পর, ১৯৩০ সালে তেহরিক-এ-খাকসারের ভিত্তি স্থাপন করেন। ব্রিটিশরা চেয়েছিল ভারত বিভক্ত হয়ে যাক, কিন্তু মাশরেকি ভারত বিভক্তির ঘোর বিরোধী ছিলেন। তিনি আল ইসলাহ নামে আন্দোলনের মুখপত্র হিসাবে একটি সাপ্তাহিক পত্রিকাও ১৯৩৪ সালে প্রতিষ্ঠা করেন।
কারাদণ্ড ও অভিযোগ
মাশরেকি প্রথম ১৯৩৯ সালে কংগ্রেস সরকার কর্তৃক সাম্প্রদায়িক সুন্নী এবং শিয়াদের দ্বন্দ্ব মীমাংসা করার প্রচেষ্টার সময় কারারুদ্ধ হন। ১৯৪০ সালে পুলিশ ও খাকসারদের মধ্যে সংঘর্ষের সময় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পত্রিকায় এটি ‘বেলচা এবং বন্দুকযুদ্ধ’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। ৮০ দিনের জন্য অনশন করার পর তিনি ১৯৪২ সালে নির্জন কারাবাস থেকে মুক্তি পান।
১৯৪৩ সালের ২০ জুলাই রফিক সাব্বির নামে দুই ব্যক্তি মোহাম্মদ আলী জিন্নাহকে হত্যা করার প্রচেষ্টা করে। এই দুই ব্যক্তিকে খাকসার কর্মী হিসাবে অভিযোগ করা হয় কিন্তু মাশরেকি খাকসারের সঙ্গে এর সম্পৃক্ততার বিষয় সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন। তিনি এই ঘটনার তীব্র নিন্দাবাদ করেন। বোম্বে হাইকোর্টের বিচারপতি ব্ল্যাকডেইন ১৯৪৩ সালের ৪ নভেম্বর ব্রিটিশ বিরোধী খাকসার আন্দোলনের কার্যক্রমকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। পাকিস্তানে মাশরেকিকে অন্তত পাঁচবার কারারুদ্ধ করা হয়: ১৯৫০ সালের নির্বাচনের পূর্বে; রিপাবলিক নেতা খান আব্দুল জব্বার খান হত্যার ঘটনায় সহযোগিতার জন্য ১৯৫৮ সালে এবং ১৯৬২ সালে প্রেসিডেন্ট আইয়ুব সরকার উৎখাতের প্রচেষ্টায় জড়িত থাকা সন্দেহ করে। কিন্তু এসব অভিযোগ একটাও প্রমাণিত হয় নি এবং তাকে প্রতিটি ক্ষেত্রে খালাস দেওয়া হয়। ১৯৫৭ সালে তার মুক্তির দাবিতে তার অনুসারী ৩০,০০০ হাজার সৈন্য কাশ্মিরের সীমানায় সমবেত হয়। বলা হয়েছিল যে তারা কাশ্মীরের স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করতেই সেখানে সমবেত হয়েছিল। কিন্তু পাকিস্তান সরকার তাদেরকে সেখান থেকে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে অপসারণ করে এবং তারপর খাকসার আন্দোলনকেই নিষিদ্ধ করে দেয়।
মৃত্যু:
মাশরেকি ১৯৬৩ সালের ২৭ আগস্ট মারা যান।
মাশরেকির লেখা বইসমূহ:
মাশরেকি এর বিশিষ্ট কাজ হল:
১. আরমুগান-ই-হাকিম (কাব্যগ্রন্থ)
২. দাহুলবাদ (কাব্যগ্রন্থ)
৩. ইশারাত (খাকসার আন্দোলনের গঠনতন্ত্র ও মূলনীতি)
৪. খিতাব-ই-মিসর (মিশরে প্রদত্ত ভাষণ)। ১৯২৫ সনে মুতমার-ই-খেলাফতের প্রতিনিধি হিসাবে কায়রোতে প্রদত্ত ভাষণ
৫. মৌলভী কা ঘালাত মাযহাব (মৌলভীদের পথভ্রষ্টতা)
৬. তাজকিরাহ (১ম খণ্ড-১৯২৪), বিভিন্ন ধর্মের দ্বান্দ্বিক বিষয়, ধর্ম ও বিজ্ঞানের মধ্যে তুলনামূলক আলোচনা ও এই সকল দ্বন্দ্ব নিরসনের উপায় নিয়ে লিখিত গ্রন্থ
৭. তাজকিরাহ (২য় খণ্ড) (১৯৬৪)
৮. তাজকিরাহ (৩য় খণ্ড)
৯. God, man, and universe: as conceived by a mathematician (একজন গণিতবিদের অনুভবে ঈশ্বর, মানুষ ও মহাবিশ্ব) ১৯৮০ (সাব্বির হোসেন সম্পাদিত)