মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানে হামলা চালিয়েছিল ২০০১ সালে। তখন আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ ছিল তালেবানের হাতে। হামলার কারণ হিসেবে সন্ত্রাসবাদ ইস্যুকে সামনে আনা হয়েছিল। বলা হয়, আফগানিস্তানের তালেবান সরকারের আশ্রয় ও প্রশ্রয় পেয়ে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী আল কায়েদা বেপরোয়া হয়ে উঠছে এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সন্ত্রাসবাদী ঘটনা ঘটাচ্ছে। অভিযোগ হালে পানি পেয়ে যায় যখন ১১ সেপ্টেম্বর ২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ারে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা হয়। সেই হামলায় ৩০০০ মানুষ নিহত হয়। তড়িঘড়ি করে যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা করে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ (ডধৎ ড়হ ঃবৎৎড়ৎরংস)। প্রথমেই লক্ষ্যবস্তু হয় তালেবান। আফগানিস্তানের মাটি থেকে তালেবানকে উৎখাত করার জন্য আমেরিকা সেনা পাঠায়। শুরু হয় একবিংশ শতাব্দীর অন্যতম দীর্ঘ যুদ্ধ আফগান-মার্কিন যুদ্ধের।
তারপর পেরিয়ে গেছে বিশটি বছর। আর পেছনে ফিরতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র। তালেবানরা কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ক্ষমতাচ্যুৎ হয়ে সীমান্ত এলাকা ও দুর্গম পার্বত্য এলাকায় পালিয়ে গেলেও নিঃশেষ হয়ে যায়নি। বরং গেরিলা পদ্ধতিতে হামলা, আত্মঘাতি হামলা ইত্যাদি চালিয়ে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের গলার কাঁটা হয়ে বিঁধে আছে বিশটি বছর। বিবিসির সূত্রমতে, এই বিশ বছরের সহিংসতায় প্রত্যক্ষভাবে প্রাণ হারিয়েছে ৭১ হাজার সাধারণ মানুষ, যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র ন্যাটো বাহিনীর সৈন্য মারা গেছে সাড়ে ৩ হাজারের বেশি, আর এই যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের মোট ব্যয় হয়েছে ২.২৬ লক্ষ কোটি ডলার। পরিহাসের বিষয় হলো- এতকিছুর পরেও যুক্তরাষ্ট্র বিজয়ের স্বাদ পায়নি, বরং যে তালেবানকে সন্ত্রাসী তকমা দিয়ে যুদ্ধ শুরু করেছিল তাদের সাথে শান্তিচুক্তি করতে বাধ্য হয়েছে। ফলে আফগানিস্তান ঠিক সেখানেই ফেরত যাচ্ছে যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলার আগে ছিল। ইতোমধ্যেই আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের কার্যক্রম শুরু হয়ে গেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহারের পর আফগানিস্তানের ভাগ্যে কী ঘটবে- আপাতত এই প্রশ্নটাই সবার মুখে মুখে ফিরছে। বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরাও এই প্রশ্নের মীমাংসা করতেই গলদঘর্ম হচ্ছেন। উপরন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়ার পর থেকেই তালেবানরা যেন নতুনভাবে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। মাত্র কয়েক মাসের মধ্যে তারা আফগানিস্তানের বহু জেলার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ফেলেছে, আর এখন তারা রাজধানী কাবুলের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে। তালেবান দাবি করছে- আফগানিস্তানের ৮০ শতাংশ এলাকা নাকি তাদের নিয়ন্ত্রণে। এমতাবস্থায়, আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক পরাশক্তিদের সমস্ত মনোযোগ এখন আফগানিস্তানের মাটিতে।
পাঠক, ভৌগোলিকভাবে আফগানিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রায় আড়াই হাজার কিলোমিটার দূরত্ব থাকলেও ধর্মীয়, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে দক্ষিণ এশিয়ার এই দুইটি দেশই একে অপরের সাথে গভীরভাবে সম্পর্কিত। আমরা অতীতে দেখেছি আফগানিস্তানে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য বাংলাদেশ থেকে অনেকে ছুটে গেছে। তারপর আফগানিস্তান থেকে ফিরে বাংলাদেশে জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়েছে। তাছাড়া আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের রাজনৈতিক পরিস্থিতির সাথে ভারতের নিরাপত্তার বিষয়টি অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত, আর ভারতের ভূখণ্ড দ্বারা বেষ্টিত বাংলাদেশের ভাগ্য যে ভারতের সাথে বহুদিক দিয়ে সম্পর্কিত সেটাও জানা কথা। কাজেই, আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতির সাথে বাংলাদেশও প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত হবে তাতে সন্দেহ নেই। এই লেখায় আমি একনজরে আফগানিস্তানের ইতিহাস থেকে কিছু অংশ আলোকপাত করার চেষ্টা করব- যা পাঠকদেরকে আফগানিস্তানের বর্তমান ঘটনাপ্রবাহ বুঝতে যথেষ্ট সহায়ক হবে।
ইসলামপূর্ব আফগানিস্তান:
আফগানিস্তান অর্থ হলো আফগানদের ভূমি। আফগানিস্তানের মূল জাতিগোষ্ঠী পশতুন, তারাই আফগান নামে পরিচিত ছিল, তবে বর্তমানে দেশটির সব নাগরিককেই আফগান বলে অভিহিত করা হয়। এখন থেকে ৪০০০ বছর আগে আফগানিস্তানের নাম ছিল আরিয়ানা। ৬০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে পারস্য সাম্রাজ্য আরিয়ানা দখল করেছিল। তারপর কয়েকশ’ বছর এই এলাকা পারস্য সাম্রাজ্যের অধীনে ছিল। ৩৩০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে আলেকজান্ডার দিগি¦জয়ে বের হলে পারস্য সম্রাটকে পরাজিত করে আরিয়ানা অর্থাৎ আফগানিস্তান দখল করতে সক্ষম হন। এরপর আফগানিস্তান কখনও মৌর্য সাম্রাজ্যের অধীনে যায়, আবার কখনও মধ্য এশিয় বিভিন্ন জাতির নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকে। ৩০০ খ্রিস্টাব্দ থেকে ৮০০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত আফগানিস্তানের প্রধান ধর্ম ছিল বৌদ্ধধর্ম। এই পর্বের বৌদ্ধমন্দির ও মূর্তিগুলো আজও আফগানিস্তানে গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক নিদর্শন হয়ে আছে।
আফগানিস্তানে ইসলাম:
৭ম শতাব্দীতে আরব সৈন্যরা আফগানিস্তানে অভিযান চালায়। এই অভিযানে আফগানিস্তানের পশ্চিমের হেরাত ও সিস্তান প্রদেশে আরবদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হয়। কিন্তু মুসলিম সৈন্যরা বেশিদিন আফগানিস্তানে থাকতে পারেনি। তারা চলে গেলে স্থানীয় জনগণ পুনরায় তাদের পুরোনো ব্যবস্থা ও রীতি-নীতিতে ফেরত যায়। এরপর দশম শতাব্দীতে বর্তমান উজবেকিস্তানের বুখারা থেকে সামানিদ নামের মুসলিম রাজবংশ আফগান এলাকায় অভিযান চালায়। এই সময় আফগানিস্তানের গজনীতে গজনবী রাজবংশ প্রতিষ্ঠিত হয়। গজনীর সুলতান মাহমুদ প্রায় সমগ্র আফগানিস্তানকে ঐক্যবদ্ধ করতে সক্ষম হন। এ সময় ইসলামের ব্যাপক বিস্তার ঘটে। গজনীর সুলতান মাহমুদের মৃত্যুর পর গজনীর প্রভাব হ্রাস পেয়ে ১২শ শতাব্দীতে আফগানিস্তানের ঘুর শহরে আরেক রাজ্য শক্তিশালী হয়ে ওঠে, সেটা হলো ঘুরি সাম্রাজ্য। ঘুরিদেরকে পরাজিত করে মধ্য এশিয়ার খোয়ারিজমি শাহরা আফগানিস্তানের শাসনকতর্তৃত্ব গ্রহণ করে। এরপর আফগানিস্তানে চেঙ্গিস খানের হামলা হয়। ১২১৯ সালে মঙ্গোল সেনাপতি চেঙ্গিস খান তার সৈন্যদল নিয়ে আফগানিস্তানে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে। বহু মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। এরপর ১৪শ শতাব্দীর শেষদিকে মধ্য এশীয় সেনাপতি তৈমুর লং আফগানিস্তান জয় করেন ও ভারতে অগ্রসর হন।
১৫শ শতাব্দীতে ভারতে মুঘল সাম্রাজ্য স্থাপন করেন জহিরুদ্দিন মুহম্মদ বাবর। এরপর ১৬শ থেকে ১৮শ শতাব্দীর পুরোটা জুড়ে ভারতে অবস্থিত মুঘল সাম্রাজ্যের শাসকরা চেষ্টা করতে থাকে আফগানিস্তান দখল করতে। কিন্তু একই সময় আফগানিস্তান দখলের প্রতিযোগিতায় নামে উজবেকিস্তানের বুখারা খানাত ও পারস্যের সাফাভি রাজবংশের রাজারা। এই তিন শক্তির মধ্যে আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে যুদ্ধ চলতে থাকে। যুদ্ধের পশ্চাতে সাধারণত মুঘলরা কাবুলের দখল রাখত, পারসিকরা হেরাত দখলে রাখতো আর কান্দাহারের শাসনভার প্রায়ই হাতবদল হত।
১৭৪৭ সালে আহমদ শাহ দুররানি আফগানিস্তানের কান্দাহার শহরকে রাজধানী করে দুররানি সাম্রাজ্যের পত্তন করেন। তিনি আফগানিস্তানে আধুনিক ধাঁচের প্রশাসনিক ব্যবস্থা তৈরি করেন। এভাবে আধুনিক আফগানিস্তানের পথচলা শুরু হয়। আহমদ শাহ দুররানিকে বলা হয় আধুনিক আফগানিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা।
উনবিংশ ও বিংশ শতাব্দীর আফগানিস্তান
উনবিংশ শতাব্দীর আফগানিস্তানকে অনেক কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। আফগানিস্তানে রুশ সাম্রাজ্যের প্রভাব স্পষ্ট হয়ে উঠছিল। আর তা দেখে ভারতীয় ব্রিটিশ সাম্রাজ্য প্রবলভাবে ভীত হয়ে উঠেছিল। ব্রিটিশরা ভাবত রাশিয়ানরা কোনোভাবে আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ফেললে সহজেই ভারতে আক্রমণ করে বসবে, যা ভারতের ব্রিটিশ সাম্রাজ্যকে হুমকির মুখে ফেলে দিবে। সে জন্য রাশিয়ানদের প্রভাব বলয় থেকে আফগানিস্তানকে বের করে ব্রিটিশের উপনিবেশ বানানোর স্বপ্ন দেখতে থাকে ইংরেজরা। হামলা করে আফগানিস্তানে। বেশ কয়েকটি হামলা পরিচালনা করে ব্রিটিশরা, তবে আফগানিস্তানের ভূপ্রকৃতি, ভৌগোলিক পরিবেশ, আফগানদের স্বাধীনচেতা যুদ্ধংদেহী মনোভাব ও গোত্রীয় জীবনধারার বিপরীতে ব্রিটিশরা কখনই সুবিধা করতে পারেনি। দেখা গেছে প্রথম হামলাতেই আফগানরা পরাজিত হয়ে পালিয়ে গেছে ঠিকই, কিন্তু মাথা নত করেনি। সুযোগ সুবিধা মত পাল্টা আঘাত হেনেছে অচীরেই। তবে রাশিয়া ও ভারতীয় ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের এই দ্বন্দ্বে পড়ে আফগানিস্তান দেশটি ক্রীড়নক রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছিল, যে অবস্থা চলেছিল বিংশ শতাব্দীর প্রথমভাগ পর্যন্ত। এই ত্রাহী অবস্থা থেকে আফগানিস্তানকে যিনি স্বাধীনতা এনে দেন তিনি হলেন আফগান বাদশাহ আমানুল্লাহ খান। ১৯১৯ সালে তিনি আফগানিস্তানের বাদশাহ হন। সঙ্গে সঙ্গে ব্রিটিশের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন- যা ইতিহাসে তৃতীয় অ্যাংলো-আফগান যুদ্ধ নামে পরিচিত। এক মাসের সেই যুদ্ধে আমানুল্লাহ খান বিজয়ী হন। তবে এই যুদ্ধের পর আমানুল্লাহ খান বুঝতে পারেন দুনিয়া বহুদূর চলে গেছে। মোল্লাতান্ত্রিক ধ্যান ধারণায় ডুবে থাকলে আফগানিস্তানের কোনো ভবিষ্যৎ নেই। কাজেই তিনি অনেক সংস্কারমূলক, নারী উন্নয়নমূলক ও রাষ্ট্রীয় কল্যাণমূলক নীতি গ্রহণ করতে থাকেন। কিন্তু আফগানিস্তানের ধর্মীয় নেতারা মোল্লাতান্ত্রিক ভাবধারায় বিশ্বাসী হওয়ায় আমানুল্লাহ খানের গৃহীত নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে ওঠে। ব্রিটিশরাও এই সুযোগে মোল্লাদেরকে অস্ত্র ও অর্থ সহায়তা দিয়ে সাহায্য করতে থাকে। ফলে প্রচণ্ড ধর্মোন্মাদনার মুখে আমানুল্লাহ খান ১৯২৯ সালে ক্ষমতা ছেড়ে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন।
এরপর আফগানিস্তানে পরপর কয়েকটি ক্ষমতার পালাবদল ঘটে। অবশেষে নাদির শাহ ক্ষমতায় আরোহন করেন। তিনি ছিলেন বাদশাহ আমানুল্লাহর চাচাত ভাই। চার বছর পর ১৯৩৩ সালে নাদির শাহও খুন হয়ে যান। বাদশাহ হন নাদির শাহের ছেলে জহির শাহ। জহির শাহ আফগানিস্তান শাসন করেন ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত। ১৯৭৩ সালে দাউদ খান জহির শাহকে উৎখাত করে রাজতন্ত্র বিলুপ্ত ঘোষণা করেন। এরপর নিজেকে প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেন। তার শাসন চলে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত।
আফগানিস্তানের ইতিহাস আলোকপাত করতে গিয়ে যে বিষয়টিতে অবাক হতে হয় তাহলো- আফগানিস্তানের মাটির উপর দিয়ে বহু সাম্রাজ্যের অধিপতিরা অতিক্রম করে গেলেও আফগানিস্তানকে কেউ বশে রাখতে পারেনি। কিন্তু তারপরও এক মুহূর্তের জন্যও বিশ্বের আধিপত্যবাদীরা আফগানিস্তান দখলের চেষ্টায় ক্ষান্ত দেয়নি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর দুইটি সুপার পাওয়ারের আবির্ভাব ঘটে পৃথিবীতে- একটি আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র, অপরটি সোভিয়েত ইউনিয়ন। কে জানত এই দুইটি মহাশক্তিও নিজেদের দ্বন্দ্বের জন্য বেছে নিবে সেই আফগানিস্তানকেই! সেই রুক্ষ পরিবেশে বাস করা আফগান গোত্রগুলোই হয়ে উঠবে বৈশ্বিক সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসনের নতুন ক্রীড়নক।
পাঠক, আগামী পর্বে আমরা আলোকপাত করব আফগানিস্তানে সোভিয়েত ইউনিয়নের সেনা অভিযান ও তার সূত্র ধরে আমেরিকার প্রক্সি যুদ্ধ নিয়ে। জানার চেষ্টা করব দুইটি সুপার পাওয়ারের বৈশ্বিক আধিপত্যের ক্ষুধা মেটানোর জন্য কীভাবে একটি দেশের কয়েক প্রজন্মকে রক্ত ঝরাতে হয় এবং সারা বিশ্বের মুসলিম জনগোষ্ঠীর জেহাদী চেতনাকে হাইজ্যাক করে সাম্রাজ্যবাদী নীতি বাস্তবায়নে কাজে লাগানো হয়। বর্তমান আফগানিস্তানের ঘটনাপ্রবাহ বোঝার জন্য ১৯৭৯ সালের আফগানিস্তানকে বোঝা অত্যন্ত জরুরি।
দ্বিতীয় পর্ব পড়তে ক্লিক করুন এই লিংকে
আফগানিস্তান: আগুন নিয়ে খেলছিল যুক্তরাষ্ট্র!