আজকের তরুণরাই নিকট ভবিষ্যতে জাতির কর্ণধার হবে, জাতিকে নেতৃত্ব দিবে। তাই একটি জাতিকে সমৃদ্ধ জাতি হিসেবে গড়ে তুলতে হলে তরুণদেরকে সঠিক আদর্শের ভিত্তিতে গড়ে তোলা সবথেকে জরুরি। আজকে আদর্শহীন তরুণসমাজ নানাভাবে সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ, মাদক ইত্যাদি ভুল পথে পা বাড়াচ্ছে। তাদেরকে এসব জাতিবিধ্বংসী পথ থেকে ফিরিয়ে আনতে ছাত্র ও তরুণদের সামনে ধর্মের সঠিক আদর্শ তুলে ধরতে হবে। গতকাল ঢাকার লালবাগ থানার আজিমপুর ওয়েস্ট ইন্ড হাই স্কুলে ঢাকা মহানগর হেযবুত তওহীদ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় মুখ্য আলোচকের বক্তব্যে এসব কথা বলেন হেযবুত তওহীদের সর্বোচ্চ নেতা ও এমাম হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম।
‘সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, ধর্মব্যবসা, মাদক প্রভৃতি রোধে করণীয়’ শীর্ষক এ আলোচনা সভায় স্থানীয় তরুণ ও ছাত্রসমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ২৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলহাজ্ব হাসিবুর রহমান মানিক। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- হেযবুত তওহীদের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. আলী হোসেন, নারী বিষয়ক সম্পাদক ও দৈনিক দেশেরপত্রের সম্পাদক রুফায়দাহ পন্নী, হেযবুত তওহীদের প্রচার সম্পাদক ও দৈনিক বজ্রশক্তি পত্রিকার সম্পাদক এস এম শামসুল হুদা, ঢাকা মহানগর হেযবুত তওহীদের সভাপতি মো. শরিফুল ইসলাম, ইলদ্রীম মিডিয়ার চেয়ারম্যান খাদিজা খাতুন।
সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী সোসাইটির চেয়ারম্যান হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম তার বক্তব্যে বলেন, একটি জাতিকে বিনষ্ট করার জন্য তার শত্রুরা সেই জাতির তরুণদেরকে টার্গেট করে। আজ মুসলিম জাতির তরুণদেরকে বিপথে পরিচালিত করা হচ্ছে। তাদেরকে ধর্মের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে জঙ্গিবাদের দিকে পরিচালিত করা হচ্ছে। আজ মুসলিম জাতির আলেম শ্রেণিটি ধর্মের নানা বিষয় নিয়ে এতোটাই বিভক্ত যে, ধর্মের প্রকৃত রূপটিই আজ আর খুঁজে পাওয়া যায় না। ধর্মকে একেক দল, একেক তরিকা একেকভাবে ব্যবহার করছে। কেউ ধর্মকে ব্যবহার করে নিজের রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল করছে, কেউ পীরতন্ত্রে লিপ্ত, কেউ বা ধর্মের বিভিন্ন কাজ করে নিজের অর্থনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করছে। সবমিলে এখন আর আমাদের সামনে ধর্মের কোনো সুনির্দিষ্ট, সুস্পষ্ট, বিশুদ্ধ আদর্শ নেই। এই আদর্শহীনতার সঙ্কটই আমাদের তরুণদের জন্য সবথেকে বড় সঙ্কট।
হেযবুত তওহীদের এমাম বলেন, এই সঙ্কট ঘুচাতেই হেযবুত তওহীদের আবির্ভব। হেযবুত তওহীদ বলে, মানবতার কল্যাণই সকল ধর্মের মর্মকথা। হেযবুত তওহীদ বলে, ধর্মের কোনো কাজের বিনিময়ে কোনো পার্থিব স্বার্থ হাসিল করা যাবে না। আমরা বলি, সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ, ধর্মের নামে নারীদেরকে গৃহবন্দি করে রাখা ইত্যাদি ধর্মেরই বিকৃতির ফল। আমরা বলছি, সুস্থ সাংস্কৃতির চর্চা, সুস্থ মনোবিকাশকে ধর্ম নিষেধ করে না। এই মহান আদর্শকে আজ দেশের সকলের কাছে পৌঁছে দেওয়ার তাগিদ দেন তিনি। বক্তব্যের পর অনুষ্ঠানে উপস্থিত তরুণদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন হেযবুত তওহীদের এমাম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন হেযবুত তওহীদের লালবাগ শাখার সভাপতি ডা. জাকারিয়া হাবিব, সঞ্চালনায় ছিলেন শাহবাগ থানা সভাপতি মো. আমান উল্লাহ।