মোফাজ্জল হোসাইন সর্দার
পৃথিবীর ইতিহাসে চির অপরাজিত অর্থাৎ জীবনে কোন যুদ্ধেই হারেন নি এমন সেনাপতি হোয়ে গেছেন মাত্র পাঁচ জন, এবং এই পাঁচ জনই প্রাচ্যের। এই পাঁচ জন হোচ্ছেন শেষ নবী মোহাম্মদ (দ:) বিন আবদুল্লাহ, আল্লাহর তলোয়ার খালেদ বিন ওয়ালিদ (রা:), স্পেনের খলিফা আবদুর রহমান. সুলতান মাহমুদ এবং চেঙ্গিজ খান। এই পাঁচ জনের মধ্যে চারজনই মোসলেম। আমি যে তালিকা দিলাম এটা আমার করা নয় এটা প্রাচ্যের ঐতিহাসিকদের করা। আজ আমি আল্লাহর তলোয়ার খালেদ বিন ওয়ালিদ (রা:) সম্পর্কে কিছু জানাবো। খালেদ (রা:) তিনি জন্ম গ্রহণ করেন ৫৯২ সালে এবং তিনি প্রয়াত হন ৬৪২ সালে তিনি মোট যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন ৩৭ টিতে। নবী করিম (দ:)এর ওফাতের বছর তিনেক আগে তিনি ইসলামে প্রবেশ করেন। রসুল (দ:) খালেদ (রা:) কে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানান। তায়েক এবং বনু হাওয়াজিনে অভিযানকালে তাকে মোসলেম অগ্রগামী বাহিনীর অধিনায়কের দায়িত্ব দেয়া হয়। খালেদ (রা:) সামরিক নৈপুণ্যের চমৎকারিত্ব মু’তা যুদ্ধের সময় প্রকাশ পায়। এই যুদ্ধটি সংঘটিত হয় মৃত সাগরের দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্তে মু’তা নামক স্থানে এবং ৮ হেজরি মোতাবেক ৬২৯ সালে। ক্ষুদ্র মোসলেম বাহিনী যুুদ্ধ কোরতে কোরতে বাইজান্টাইনের অনেকখানি অভ্যন্তরে চলে যায়। এই সময় দুর্ধর্ষ এবং উন্নতমানের অস্ত্র-শস্ত্রে সুসজ্জিত শত্রুসেনারা আচমকা মোসলেম বাহিনীকে চারিদিক থেকে ঘিরে ফেলে ঐ খানে মোসলেম বাহিনীর তিন জন কমান্ডার শহীদ হন। আল্লাহর রসুল (দ:) এই তিন জন কমান্ডারের দায়িত্ব কার পর কে পালন করবে তাও তিনি ঠিক করে দেন। যুদ্ধের সময় যাতে কোন রকম শূন্যতার সৃষ্টি না হয় তার জন্য এ ব্যবস্থা করা হোয়েছিল। কিন্তু একে একে তিন জন অধিনায়কই শত্রুসেনার হাতে শহীদ হন। এমনি এক সংকটময় মুহূর্তে খালেদ (রা:) বিপর্যস্ত বাহিনীকে আবার সংগঠিত করেন। এবং শত্রুপক্ষের সাঁড়াশী আক্রমণ থেকে মোসলেম বাহিনীকে মুক্ত করতে সমর্থ হন। মু’তার যুদ্ধে খালেদ (রা:) চমৎকার নৈপুণ্যের জন্য রসুল (দ:) তাকে আল্লাহর তলোয়ার” খেতাবে ভূষিত করেন।