দূর বহুদূর বহুদূর বহুদূর…
আমাদরে যেতে হবে দূর থেকে দূরে।
দূর বহুদূর বহুদূর বহুদূর…
পৃথিবীটা পোড়ে কাঠফাটা রোদ্দুরে।
ফতোয়ার বড়োজাল ছিন্ন করি,
বেরিয়ে এসেছে শত বন্দী নারী,
তারা যেন স্বর্গ ঘোড়সওয়ারী।
এই মর্ত্যপরে।
তানপুরা নয় শুনি তূর্যধ্বনী
রণভেরী – অস্ত্রের ঝনঝনানি,
সমতল করে দেবে এই ধরণী,
ন্যায়যুদ্ধ করে।
যুগ যুগ ধরে যারা নির্যাতিতা,
খুঁজে পেল জীবনের র্সাথকতা,
ছিঁড়ে কালো যবনিকা, মিথ্যে প্রথা
দেহমনের পরে।
ছিল যারা গৃহকোণে হাতে নিয়ে ঝাঁটা
তাদের মগজে খেলে বিজুলি ছটা,
উড়ে গেছে চিন্তার ক্ষুদে সীমানাটা
এক নতুন ঝড়ে।
আমরা আনব এক বরষা সজল,
ফলাব শুষ্ক মাঠে সোনার ফসল,
ফসল না তুলে কউে যাব না ঘরে,
কেউ যাব না ঘরে।
ছোট হয়ে গেছে যেন আজ হিমালয়,
কদমে কদমে দিগন্ত মিলায়,
আমাদের উঁচুশির অবনত নয়
অবিচারীর ডরে।
বহুদূর যেতে হবে জানি গন্তব্য
পরোয়া করি না আর কারো মন্তব্য
পৃথিবী জানবে কারা লেখে মহাকাব্য
লাল অক্ষরে।