রিয়াদুল হাসান:
আত্মাহীন, আল্লাহহীন ধর্মনিরপেক্ষ জীবনব্যবস্থায় মানুষ দিন দিন যত বেশী অভ্যস্ত হয়ে উঠছে, ততই তাদের মধ্য থেকে সততা, ন্যায়নিষ্ঠা, সত্যবাদিতা, ওয়াদারক্ষা ইত্যাদি নৈতিক সদ্গুণাবলী দুর্লভ হয়ে যাচ্ছে। ব্যক্তিগত, দলীয়, জাতীয় স্বার্থের চক্রেই আবর্তিত হচ্ছে গোটা মানবজাতি, স্বার্থসিদ্ধিই হচ্ছে তাদের কাছে ন্যায়নীতির কার্যকর মানদণ্ড। এই বস্তুবাদী জীবনব্যবস্থার প্রভাবে প্রতিটি মানুষের মধ্যে সুপ্ত হিংস্র পশুটি প্রবল হয়ে উঠেছে এবং মনুষ্যত্বের উপর জয়ী হয়ে বিশ্ব-মানবতাকে প্রতিনিয়ত পদদলিত করে চলেছে। স্মরণাতীতকালের মধ্যে এখনই বনী আদমের অবস্থা নিকৃষ্টতম, যদিও তার বাইরে রয়েছে সভ্যতার চাকচিক্যময় চোখ ধাঁধানো মোড়ক, যার অহঙ্কারে সে চরম উদ্ধত ও স্ফীত। প্রযুক্তিগত দিক থেকে সে দিন দিন যতই উন্নতির শীর্ষে আরোহণ করছে, মানুষ হিসাবে সে ততই নিচে নেমে যাচ্ছে। তার হাতে রয়েছে প্রচণ্ড শক্তিধর বিধ্বংসী পারমাণবিক বোমা যার আঘাতে এই সবুজ গ্রহটিকে হাজার হাজার বার ভেঙ্গে চুরমার করে দেওয়ার ক্ষমতার মালিক হয়ে গেছে সে। পৃথিবীতে এখন একটিই আইন Might is right- জোর যার মুল্লুক তার। পৃথিবী আজ অন্যায়, অবিচার, যুলুম, যুদ্ধ, রক্তপাত, হত্যা, ধর্ষণ, বেকারত্ব, দারিদ্র্য অর্থাৎ অশান্তিতে পরিপূর্ণ। এমন কোনো দেশ নেই যেখানে সংঘাত, সংঘর্ষ হচ্ছে না। শান্তির আশায় বিভিন্ন রকম তন্ত্র-মন্ত্র, বিধান, ব্যবস্থা তৈরি করে একটা একটা করে প্রয়োগ করে দেখা হয়েছে। শান্তি রক্ষার জন্য বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থা তৈরি করে, বিভিন্ন নামে আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী আধুনিক অস্ত্র-শস্ত্র ও প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ হয়ে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে। শান্তির আশায় সকল ধর্মের লোক প্রতিনিয়ত প্রার্থনা করে যাচ্ছে। অথচ এই নতুন শতাব্দীর প্রথম দশকের একটি দিনও যায় নাই যেদিন পৃথিবীর কোথাও না কোথাও যুদ্ধ, রক্তপাত চলে নাই। শান্তির সকল প্রচেষ্টাই আজ ব্যর্থ।
এই অবস্থা থেকে মুক্তির পথ মহান আল্লাহর অশেষ করুণায় এমামুয্যামান মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নীর মাধ্যমে দুনিয়ার মানুষকে দান করেছেন। পথটি পুরাতন, কিন্তু ১৩০০ বছরের অব্যবহারে সে পথের সন্ধান আর কেউ জানে না। সেই পথটি হচ্ছে ১৪০০ বছর আগে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তওহীদ-ভিত্তিক যে সত্যদীন তাঁর শেষ রসুলের উপর নাযেল করেছিলেন সেই প্রকৃত ইসলামে ফিরে যাওয়া। মানবজাতি কোন্ ব্যবস্থায় তাদের সামষ্টিক জীবনে সুখে শান্তিতে ও নিরাপত্তায় বসবাস করতে পারবে সে জ্ঞান যিনি এই মানবজাতির স্রষ্টা তাঁর চেয়ে বেশী কি আর কারও থাকতে পারে? অবশ্যই নয়। সেই স্রষ্টা যখন একটি পুর্ণাঙ্গ জীবনবিধান দিয়েই দিয়েছেন, যার নাম তিনি রেখেছেন ‘ইসলাম’ – আক্ষরিক অর্থেই শান্তি, সেই ব্যবস্থার চেয়ে উন্নত কোন ব্যবস্থা তৈরি করা কারও প¶েই সম্ভব নয়। তাই আমাদেরকে নিশ্চিত ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচতে হলে এখন আল্লাহর দেওয়া ব্যবস্থার দিকেই ফিরে যেতে হবে, আর কোন উপায় নেই।
কিন্তু আল্লাহর দেওয়া ব্যবস্থা কোনটি? বর্তমানে যে ইসলামটি পৃথিবীর ১৮০ কোটি মুসলিম নামধারী জনসংখ্যাটি পালন করে চলেছে, যে ইসলামটি বিশ্বময় মাদ্রাসায় পড়ানো হচ্ছে, সেটি? কখনোই নয়। কারণ এই ১৮০ কোটি মানুষ তো একটি ইসলামের উপর ঐক্যবদ্ধ নেই, তারা হাজার হাজার ফেরকা, মাযহাব, তরিকায়, দলে-উপদলে খণ্ডবিখণ্ড। তাদের কারও কাছেই আল্লাহর রসুলের সেই প্রকৃত ইসলাম নেই, আছে বিকৃত বিপরীতমুখী বহু ইসলাম। এই ইসলাম তার অনুসরীদেরকেই শান্তি দিতে পারছে না, পৃথিবীর সকল মানুষকে শান্তি দেওয়া তো দূরের কথা। এমামুয্যামান এই আত্মাহীন, তওহীদহীন মৃত ইসলাম পরিত্যাগ করে সেই ইসলামে ফিরে আসতে মানবজাতিকে আহ্বান করেছেন যে ইসলাম সত্যিকার অর্থেই অর্ধ্বপৃথিবীর মানুষকে অতুলনীয় শান্তি ও নিরাপত্তার স্বাদ দিয়েছিল। ইতিহাসের পাতায় সেই যুগ আজও “মুসলিম সভ্যতার স্বর্ণযুগ” নামে পরিচিত। একজন যুবতী নারী একা অলঙ্কার পরিহিত অবস্থায় শত শত মাইল পথ অতিক্রম করত; তার মনে এক আল্লাহ ও বন্য জন্তুর ভয় ছাড়া আর কোনরূপ ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা জাগ্রত হত না। মানুষ বাড়ির দরজা খুলে ঘুমাতো, কোন চুরি-ডাকাতি হতো না। অর্থনৈতিকভাবে পুরো জাতির লোকেরা এতটাই স্বচ্ছল হয়ে গিয়েছিল যে সদকা বা যাকাত নেওয়ার মত দরিদ্র লোকই খুঁজে পাওয়া যেত না। মাসের পর মাস আদালতে কোন অপরাধ সংক্রান্ত মামলা আসতো না। এগুলি গল্প নয়, ইতিহাস। যে ইসলাম পালন করার ফলে ঐরকম শান্তি সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল সেই ইসলামের দিকেই হেযবুত তওহীদ মানবজাতিকে গত ২৭ বছর ধরে আহ্বান করে চলেছে।
পাশ্চাত্যের প্রদত্ত জীবনব্যবস্থার পূজারীরা স্বভাবতই ইসলামের বিরোধী। তাই তারা হেযবুত তওহীদের এই উদ্যোগকেও ভালোভাবে গ্রহণ করে নি, বরং একে অঙ্কুরে বিনষ্ট করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। তারা হেযবুত তওহীদের বিরুদ্ধে বহু বানোয়াট মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে গেছে যার দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে দেশের সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে প্রশাসনের কর্মকর্তাগণও। ফলে তারা নির্বিচারে এই আন্দোলনের নিরপরাধ কর্মীদের উপর চালিয়েছেন নির্যাতনের স্টীম রোলার। তওহীদের কথা বলতে গেলেই করেছেন গ্রেফতার, তারপরে রিমান্ডের নামে নির্যাতন, কারাগারে নিক্ষেপ। ২৭ বছরে সহস্রাধিকবার তাদেরকে গ্রেফতার করে থানায়, র্যাব অফিসে, পুলিশ ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে ৫০০টির মত। মিথ্যা সন্দেহের উপর ভিত্তি করে একই ব্যক্তিকে এক বছরের মধ্যে ৮ বার পর্যন্ত গ্রেফতার করার মত ঘটনাও তারা ঘটিয়েছেন। পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে তদন্ত করেও এই আন্দোলনের কোন কর্মীর একটিও অপরাধ তারা আদালতে প্রমাণ করতে পারেন নি। এই অনর্থক নির্যাতন ও হয়রানি বন্ধ করার জন্য হেযবুত তওহীদের প্রতিষ্ঠাতা মাননীয় এমামুয্যামান সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরগুলিতে হেযবুত তওহীদের সকল কর্মকাণ্ডের বিস্তারিত বিবরণ দান করে চিঠি প্রেরণ করেছেন, সমঝোতায় উপনীত হওয়ার আমন্ত্রণ করেছেন। এর ফলে সরকারের প্রশাসন বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হেযবুত তওহীদ সম্পর্কে ভুল ধারণা বিদূরিত হলেও নিম্ন পর্যায়ে অর্থাৎ থানা ও জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নেতিবাচক ধারণা আগের মতই রয়ে গিয়েছিল। তাদের ভুল ধারণা ভাঙ্গাতে সরকার কোন ব্যবস্থা নেন নাই, ফলে নির্যাতন ও অত্যাচার চলমান থেকে গেছে। ফলে এমামুয্যামান সকল থানা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের থেকে শুরু করে ঊর্ধ্বতন সকল কর্মকর্তাকে পুনরায় চিঠি দেন।
হেযবুত তওহীদ এর কার্যক্রম শুরু করার কিছুদিন পর থেকেই এর উপর প্রশাসনিক ক্ষমতার অপব্যবহার আরম্ভ হয়। তখন থেকেই এমামুয্যামান নির্দেশ দেন কোন এলাকায় আন্দোলনের কোনরূপ প্রচার কার্যক্রম আরম্ভ করার আগেই থানায় গিয়ে, জেলার দফতরে গিয়ে কর্মকর্তাদেরকে হেযবুত তওহীদ সম্পর্কে সঠিক ধারণা দিতে হবে এবং ঐ প্রশাসনিক এলাকায় কাজ করার বিষয়টি তার গোচরীভূত করার জন্য। তাঁর এই সিদ্ধান্ত মোতাবেক দেশের অধিকাংশ জেলার এস.পি., ডি.সি. মহোদয়গণকে অবগতিসূচক পত্র প্রদান করা হয়েছে, তারা সেগুলি রিসিভ করার পর সে এলাকায় বালাগ করা হয়েছে। কিন্তু দেখা গেছে, এলাকার কোন প্রভাবশালী মহল যখন অন্যায়ভাবে হেযবুত তওহীদের কর্মীদেরকে কাজ করতে বাধা প্রদান করেছে বা আটক করে থানায় সোপর্দ করেছে, ঐ কর্মকর্তাগণ তখন মৌন হয়ে থেকেছেন, স্থানবিশেষে নিজেও অন্যায় অভিযোগ উত্থাপন করে তাদের কারাগারে প্রেরণের পথ তৈরি করেছেন।
জঙ্গিদমনের জন্য সরকার যখন ব্যতিব্যস্ত তখন মাননীয় এমামুয্যামান সরকারের উদ্দেশ্যে এ বিষয়ে তাদেরকে সহায়তা করার জন্য এগিয়ে যান এবং বলেন যে, যে তথাকথিক জঙ্গী-সন্ত্রাসীদের দমন করার জন্য বিশ্বের পরাশক্তিধর রাষ্ট্রগুলো সর্বশক্তি নিয়োগ করেও হিমশিম খাচ্ছে সেই জঙ্গিদের সহিংসতা থেকে বিরত করার পথ হেযবুত তওহীদের কাছে রয়েছে। যথারীতি এই চিঠির কোন জবাব দেওয়ার মত ন্যূনতম ভদ্রতাও সরকার দেখায় নি। সরকারের সন্ত্রাসদমনের ক্ষেত্রে এই মৌনতা সম্পর্কে আমাদের কোন মন্তব্য নেই।
হেযবুত তওহীদ মানবজাতির সামনে যে সত্য উপস্থাপন করেছে তা দিনের আলোর মত সুস্পষ্ট। এই আন্দোলন পরিচালনার ক্ষেত্রেও তাই এমামুয্যামান সকল গোপনীয়তা বর্জন করে সব কথা ও কাজকে দিনের আলোর মতই উজ্জ্বল ও প্রকাশ্যরূপে পরিচালিত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। কারণ গোপনীয়তা সন্দেহ সৃষ্টি করে, সন্দেহ থেকেই আসে অনুমান, আর অধিকাংশ অনুমানই মানুষকে ভুল সিদ্ধান্তের পথে পরিচালিত করে। তিনি চান নি হেযবুত তওহীদের ক্ষেত্রে মানুষ কোন ভুল ধারণা করুক। কিন্তু আমরা যতই প্রকাশ্য হতে চাই পত্র-পত্রিকা, টিভি, ইন্টারনেটে বসে ইসলাম বিরোধী শক্তি আমাদেরকে গোপন সংগঠন বলেই প্রচার চালিয়ে যেতে থাকে। আমরা তাদের সাথে সাক্ষাৎ করে কথা বলে তাদের এই অন্যায় প্রচার বন্ধ করতে বলি, অনুরোধ করি কিন্তু কিছুতেই তারা হেযবুত তওহীদকে তার সঠিক রূপে মানুষের কাছে উপস্থাপিত হতে দেয় না। তারা সবসময় গোপন, জঙ্গী, নিষিদ্ধ ইত্যাদি নেতিবাচক শব্দের আড়ালে হেযবুত তওহীদের উপস্থাপিত বক্তব্যকে ঢেকে রাখতে চায়, মিথ্যার আবরণ মানুষের চোখ বেঁধে তাদের দৃষ্টিকে হেদায়াতের আলো থেকে ফিরিয়ে রাখতে চায়। তারা হেযবুত তওহীদের আদর্শ ও উদ্দেশ্যকে বিকৃতভাবে মানুষের কাছে প্রায় ১৭ বছর ধরে নিরবচ্ছিন্নভাবে উপস্থাপন করার ফলে স্বাভাবিকভাবেই সাধারণ মানুষ হেযবুত তওহীদকে আর দশটি আন্দোলনের মতই একটি আন্দোলন বলে ভুল করেছে। তাদের সামনে হেযবুত তওহীদের প্রকৃত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সংক্ষেপে তুলে ধরার জন্য এমামুয্যামান একটি পুস্তিকা লিখলেন, যার নাম তিনি দিলেন “হেযবুত তওহীদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য”। এ বইটিও তিনি প্রশাসনের সর্বস্তরে পৌঁছে দিলেন। শুধু এগুলিই নয়, হেযবুত তওহীদের যে কোন প্রকাশনা সেটা বই হক বা ডকুমেন্টারি সিডিই হক, প্রকাশিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই এমামুয্যামান চেষ্টা করেছেন যথাসম্ভব দেশের যত বেশি প্রশাসনিক কর্মকর্তার কাছে তা পৌঁছানো যায়।
হেযবুত তওহীদ এমন এক অনির্বাণ শিখা যা প্রজ্জ্বলিত করেছেন সর্বশক্তিমান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন স্বয়ং, যাঁর কোন ত্রুটি নেই, বিচ্যুতি নেই, কোন ব্যর্থতা নেই। তিনি পরিকল্পনা করেছেন এই পৃথিবীতে তিনি তাঁর দীনকে তথা ন্যায় ও সত্যকে বিজয়ী করবেন যেন মানুষ তাঁর মাহাত্ম্য সম্পর্কে প্রত্যক্ষ জ্ঞান লাভ করতে পারে। তিনি সমস্ত অন্যায় অশান্তি বিদূরিত করে এমন স্বর্গীয় শান্তি মানবজাতিকে আস্বাদন করাবেন যার নমুনা চৌদ্দশত বছর আগের মানুষেরা দেখেছিল। সারা দুনিয়ার সকল বনি আদমকে এক পরিবারভুক্ত করার জন্যই ইসলাম এসেছিল, রসুলাল্লাহর প্রকৃত উম্মাহ পৃথিবীর একটি বৃহৎ অংশে তার বাস্তবায়নও করেছিলেন। এবার ইনশা’আল্লাহ সমগ্র মানবজাতি এক জাতিতে পরিণত হবে। মহান আল্লাহ কোর’আনের বহুস্থানে প্রচ্ছন্নভাবে ও প্রকাশ্যভাবে জানিয়েছেন যে, সারা দুনিয়া একটি দীনের ছায়াতলে আসবে, রসুলাল্লাহও বহু হাদীসে এ ঘোষণা দিয়ে গেছেন। বলেছেন, এমন কোনো তাঁবু থাকবে না, যেখানে ইসলাম প্রবেশ না করবে।
সেই সময় এসে গেছে। পরম করুণাময়, অসীম মেহেরবান আল্লাহ তাঁর বিশেষ অনুগ্রহে তাঁর সেই সত্যদীনের হারিয়ে যাওয়া আকীদা, তাঁর সার্বভৌমত্বের প্রকৃত ধারণা, সেই দীন প্রতিষ্ঠার কর্মসূচিসহ প্রয়োজনীয় সবকিছু বুঝিয়ে দিয়েছেন, অর্থাৎ মানবজাতির হাতে এখন সেই প্রকৃত ইসলাম আবার এসে গেছে। মানবজাতির এক মহাসন্ধিক্ষণ এখন উপস্থিত হয়েছে। এখন সত্যের জয় হবে, মিথ্যার পতন হবে। প্রকৃত ইসলামের এই জয়যাত্রায় যারা অংশ নিতে চান তারা আমাদের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হবেন। আর যারা আমাদের বিরোধিতা করে যেতে চান তারা বিরোধিতা চালিয়ে যেতে পারেন। ইনশা’আল্লাহ কোন বাধাই আর হেযবুত তওহীদের বিজয়ের পথে বাধা নয়, সব বাধাই ঠুনকো, মাকড়সার জাল।