বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম
আচরণবিধি১. হিজবুত তাওহীদের সদস্য-সদস্যাদেরকে সম্বোধন করা হয় ‘মোজাহেদ-মোজাহেদা’ বলে। মোজাহেদ শব্দের সঠিক বাংলা হচ্ছে অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রামকারী। (সুরা মোহাম্মদ ৩১, সুরা নিসা ৯৫)
২. আমীর কোনো মোজাহেদ-মোজাহেদাকে কোনো কারণে ডাকলে ওই মোজাহেদ-মোজাহেদা ‘লাব্বায়েক’ বলে সালাতের মত মেরুদ- সোজা করে আমীরের সামনে দাঁড়াবে। লাব্বায়েক অর্থ আমি হাজির।
৩. আমীর কোনো হুকুম করলে সঙ্গে সঙ্গে ‘আসমাউ ওয়া আত্তাবিয়্যু’ বলে তা পালন করবে। আসমাউ ওয়া আত্তাবিয়্যু অর্থ শুনলাম এবং অবশ্যই মান্য করব। (সুরা নুর ৫১)
৪. কোনো মোজাহেদ-মোজাহেদা কাউকে কোনো সহযোগিতা বা উপকার করলে বা উপহার দিলে দাতাকে বলবে- ‘যাযাকাল্লাহ’, এর জবাবে দাতা বলবে- ‘শুকরিয়া’। (হাদীস)
৫. মিটিং-এ গোল হয়ে বসা যাবে না।
৬. নিয়মিত কর্মসুচির ধারাগুলো পাঠ করে তার প্রেক্ষিতে নিজের অবস্থান মূল্যায়ন করবে।
৭. দীন সংক্রান্ত কোন স্বপ্ন দেখলে তা নির্ধারিত কাগজে লিখে মাননীয় এমামকে প্রদান করবে।
৮. বেশি বেশি করে সুরা আল ইমরানের ৮ নম্বর আয়াতটি (রাব্বানা লা তুজিক কুলুবানা বাদাইজ হাদাইতানা, ওয়া হাবলানা মিল্লাদুনকা রাহমা, ইন্নাকা আনতাল ওয়াহাব) পাঠ করে আল্লাহর কাছে হেদায়াতে অটল থাকার জন্য দোয়া করবে।
৯. নিয়মিতভাবে ২ রাকাত নফল সালাহ করে আল্লাহর কাছে সুলতানান নাসিরাহর জন্য কায়মনোবাক্যে দোয়া করবে।
১০. বালাগে যাওয়ার আগে বাসা থেকে দুই রাকাত নফল সালাহ কায়েম করবে এবং কাজের ক্ষেত্রে আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করবে।
১১. নিম্নলিখিত প্রচলিত শব্দগুলির কোরানের পরিভাষা ব্যবহার করবে। যেমন:- নামাযের বদলে সালাহ্, রোযার বদলে সওম, খোদার বদলে আল্লাহ, ফেরেশতার বদলে মালায়েক, পয়গম্বরের বদলে নবী-রসুল ইত্যাদি।
১২. বিশেষ কোন জামাতে সালাহ কায়েম করতে হলে প্রত্যেকের সবচেয়ে ভালো পোশাকটি পরবে। তবে বাসায় সালাহ কায়েম করলে দ্বিতীয় ভালো পোশাকটি পরলেও চলবে। মোট কথা সালাতের জন্য বিশেষ পোশাক পরবে, কাজের পোশাক পরে সালাহ কায়েম করা যাবে না।
১৩. কোনো কারণে দিনের কোনো ওয়াক্তের সালাহ কাযা হয়ে গেলে তা রাতের মধ্যেই কায়েম করবে।
১৪. ফজরের সালাহ বিশেষ কারণ ব্যতীত ওয়াক্তমত কায়েম করা বাধ্যতামূলক। যদি কেউ কোনো কারণে সময়মত উঠতে না পারে তাহলে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে ২ রাকাত সুন্নাহসহ সালাহ কায়েম করবে। (আবু হোরায়রা রা. থেকে মুসলিম)
১৫. প্রত্যেক সালাতের সময় হলে একে অপরকে জামাতে অংশগ্রহণের জন্য আহ্বান করবে।
১৬. হিজবুত তাওহীদের ছেলে মেয়েরা একই জামাতে সালাহ কায়েম করবে। মেয়েরা পেছনের সারিতে দাঁড়াবে।
১৭. যারা হিজবুত তাওহীদের সদস্য নয় তাদের কাছ থেকে আন্দোলনের কাজে খরচের জন্য কোন অর্থ গ্রহণ করা যাবে না।
১৮. নিজের অর্থ খরচ করে ক্রয় করা কোনো জিনিস মাননীয় এমামকে উপহার দেবে না। বরং ওই অর্থ অভাবী দরিদ্র ভাইবোনদেরকে প্রদান করাই উত্তম।
১৯. যারা তওহীদের স্বীকৃতি দেয় নাই, আল্লাহর দীনের বিরোধিতা করে তাদের কেউ ইন্তেকাল করলে তার জানাজায় অংশগ্রহণ করবে না।
২০. যারা সংগঠনে যোগ দেওয়ার পূর্বে সুদের সাথে সম্পৃক্ত ছিল এবং এখনও সুদ থেকে মুক্ত হোতে পারে নি, তাদেরকে যত দ্রুত সম্ভব সুদ থেকে মুক্ত হওয়ার চেষ্টা করবে। কিন্তু যারা সর্বসময়ে সুদের সাথে সম্পৃক্ত থাকতে চায় তাদের কোন অর্থ গ্রহণ করা হবে না।
২১. একজনের সাথে আরেকজনের সাক্ষাৎ হলে ‘মোসাহফা’ করবে। মোসাহফার নিয়ম হলো- অত্যন্ত দৃঢ়ভাবে দুই হাত দিয়ে অপরের তালু ও কবজি ধারণ করা। এ সময় মনে মনে একে অপরের জন্য দোয়া করবে- ইয়াগফিরু লাহু লানা ওয়ালাকুম (আল্লাহ আমাকে ও আপনাকে (বা আপনাদেরকে) ক্ষমা করুন)। (হাদীস)
২২. কারও ঘরে প্রবেশের পূর্বে দরজায় দাঁড়িয়ে উচ্চস্বরে সালাম দিবে। অতঃপর জবাবের জন্য অপেক্ষা করবে। সালামের জবাব পেলে অর্থাৎ অনুমতি পেলে প্রবেশ করবে, নতুবা ফিরে আসবে (সুরা নূর ২৭-২৮)
২৩. অনুমতি ছাড়া কারো ছবি তোলা বা কথা রেকর্ড করবে না। একজনের ছবি তার অনুমতি ব্যতিরেকে কেউ অন্যকে দিবে না।
২৪. আলোচনা সভায় প্রবেশের সময় উচ্চস্বরে সালাম দিবে না। তাতে সবার মনোযোগের বিচ্যুতি হয়।
২৫. আর্থিক লেনদেন করতে বা ব্যবসায়ের অংশীদার করতে সাক্ষী রাখবে এবং লিখিত চুক্তির ভিত্তিতে করবে। (সুরা বাকারা ২৮২)
২৬. মোশরেকদের সালামের জবাবে ওয়ালাইকুম ইয়াহ দিকুমুল্লাহ (আল্লাহ আপনাকে হেদায়াত করুন)বলবে। তবে তওহীদের পক্ষ অবলম্বনকারীদেরকে সালামু আলাইকুম বলবে।
২৭. কোনো আলোচনায় উপস্থিত কোনো মোজাহেদ মোজাহেদা কথা বলতে চাইলে ডান হাত তুলে অপেক্ষা করবে। আমীর বা দায়িত্বশীল অনুমতি দিলে তখন মতামত পেশ করবে।
২৮. সবাই তাদের পরিবারের প্রতি একটি অসিয়ত করবে যে, তাদের মৃত্যুর পর যেন তাদের জানাজা হিজবুত তাওহীদের সদস্যদের মাধ্যমে করা হয়।
২৯. মোজাহেদ-মোজাহেদারা যেখানেই যাবে, যদি দুইজনও থাকে, তাদের মধ্যে একজনকে আমীর মনোনীত করবে।
৩০. কোথাও পবিত্র কোর’আন থেকে তেলাওয়াত করা হলে, কিংবা সালাহ কায়েমের সময়ও উচ্চস্বরে কোর’আন তেলাওয়াত চলাকালে সবাই মনোযোগ সহকারে কোর’আন শুনবে, কেউ কোনো হৈ চৈ করবে না, কারও কথা বলার দরকার পড়লে দূরে সরে গিয়ে বলবে। (সুরা আরাফ ২০৪)
৩১. কোর’আন তেলাওয়াত করবে অর্থ বুঝে, সুন্দরভাবে, সুমধুর সুরে। তেলাওয়াতের সময় অন্তরে আল্লাহর প্রতি ভয় থাকবে (মেশকাত, আহমদ, আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ, দারেমী)। ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রকাশিত কোর’আনের বাংলা অনুবাদটি অধিক গ্রহণযোগ্য।
৩২. আন্দোলনের কোনো আলোচনা-মিটিং শুরু করার প্রাক্কালে কবি কাজী নজরুল ইসলাম রচিত ‘আল্লাহতে যার পূর্ণ ঈমান কোথা সে মুসলমান’ গানটি মনোযোগ দিয়ে শুনবে।
৩৩. কোনো কাজ শুরুর পূর্বে অবশ্যই ‘বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম’ বলতে হবে।
৩৪. নবী করিম (সা.) যেভাবে ঘুমাতেন, যেভাবে অজু করতেন, যেভাবে খানা খেতেন, তা ভালোভাবে জেনে তাঁকে যথাসাধ্য অনুসরণ করার চেষ্টা করতে হবে। কারণ তিনি হচ্ছেন আমাদের আদর্শ।
৩৫. নিয়মিত গোসল করবে। অন্তত সাতদিনে একবার গোসল করতেই হবে। তবে স্থান-কাল-পাত্রভেদে এর ব্যত্যয় ঘটতে পারে। (মেশকাত, বোখারী ও মুসলিম)
৩৬. গোসল ফরদ অবস্থায় কোর’আন তেলাওয়াত, সালাহ কায়েম করবে না।
৩৭. ছেড়া স্যান্ডেল ব্যবহার করবে না।
৩৮. খাবারের পূর্বে ভালোভাবে হাত ধুবে।
৩৯. প্লেট, পানি, গ্লাস, লবণ, ঝুটা ফেলার পাত্র ইত্যাদি প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আগে থেকে নিয়ে খাবার খেতে বসবে।
৪০. খাওয়ার পাত্র বা পানপাত্র যেমন গ্লাস, খাদ্যভর্তি হাড়ি-পাতিল ইত্যাদি ঢেকে রাখবে (হাদীস)
৪১. ক্ষুধা লাগলে খাবে, ক্ষুধা ছাড়া খাবে না। পেটের তিন ভাগের একভাগ পরিমাণ খাবে। প্লেটে অল্প পরিমাণ খাবার নেবে। ক্ষুধা বাকি থাকতেই খাওয়া শেষ করবে।
৪২. কেউ খাবার নষ্ট করলে বিশৃঙ্খলা হিসেবে গণ্য করা হবে। আল্লাহ বলেছেন অপচয়কারী শয়তানের ভাই (সুরা বনী ইসরাইল ২৭)
৪৩. গাড়ি চালানোর সময় বা রাস্তা পার হওয়ার সময় মোবাইলে কথা বলা থেকে বিরত থাকবে।
৪৪. রসুলাল্লাহ (সা.) বলেছেন- আল্লাহ হাঁচি ভালোবাসেন এবং হাই ঘৃণা করেন। তাই তোমাদের কেউ হাঁচি দিলে সে যেন আলহামদুলিল্লাহ বলে এবং যে মো’মেনগণ আলহামদুলিল্লাহ শুনবে তারা যেন জবাবে ইয়ার হামুকাল্লাহ বলে। হাই শয়তান থেকে আসে। যখন তোমাদের কেউ হাই তোলে সে যেন তা যথাসাধ্য রোধ করার চেষ্টা করে। (আবু হোরায়রা রা. থেকে মেশকাত)। হিজবুত তাওহীদের মোজাহেদ-মোজাহেদারা রসুলাল্লাহর (সা.) এ নির্দেশ মান্য করবে।
৪৫. হাঁচির সময় রুমাল দিয়ে মুখম-ল আবৃত করবে যেন রোগজীবাণু সংক্রামিত না হয়। (আবু হোরায়রা (রা.) থেকে তিরমিযি)
৪৬. কারো কোনো ভালো কাজ বা ভালো বৈশিষ্ট্য দেখলে মাশাআল্লাহ বলবে। আর ভবিষ্যতে কোনো কাজ করা হবে বলার ক্ষেত্রে ইনশাআল্লাহ বলবে।
৪৭. নারী, বৃদ্ধ বা শারীরিকভাবে অক্ষম ব্যাতীত সক্ষম কোনো মোজাহেদ বেকার থাকতে পারবে না। তাকে জীবিকা নির্বাহের জন্য কোনো না কোনো বৈধ কাজ করবে। তবে বাবা-মায়ের উপর নির্ভরশীল সন্তানের কথা ভিন্ন।
৪৮. নিয়মিত মিসওয়াক/ব্রাশ করা। (মেশকাত, বোখারী ও মুসলিম)
৪৯. ব্যক্তিগত ব্যবহারের জিনিসপত্র অন্য কেউ অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করবে না।
৫০. প্রত্যেক কাজ শুরু করা উচিত ডান দিক থেকে। (মেশকাত)
৫১. প্রতিদিন সুস্থ শরীরের মোজাহেদ-মোজাহেদারা কিছুক্ষণের জন্য হলেও খেলাধুলা, ব্যায়াম, সাঁতার ইত্যাদি করবে।
৫২. বিয়ের জন্য কোনো মোজাহেদ বা মোজাহেদা কাউকে পছন্দ করলে সেটা নিজের অভিভাবককে জানাবে, আন্দোলনের কাছে অনুমতি চাইবে।
৫৩. বিয়ের ক্ষেত্রে তিনটি শর্ত অবশ্যই পূরণ করতে হয়। ১) পারস্পরিক সম্মতি, ২) নগদ দেন মোহর পরিশোধ করবে ৩) সাক্ষী থাকবে। বিয়ের পর স্থানীয় কাজী অফিসে গিয়ে সরকারী নিয়ম মোতাবেক রেজিস্ট্রেশান করিয়ে নিবে।
৫৪. কারও কোনো বিপদ-আপদ আসলে, কোনো চিন্তার কারণ ঘটলে কিছু সাদকা দিবে।
৫৫. নবজাতকের নাম রাখবে নবী-রসুল ও সাহাবাদের নামের সাথে মিল রেখে সুন্দর ও অর্থবোধক।
৫৬. হাফেজে কোর’আন যারা আছেন তাদেরকে নিয়মিত হিফজ চর্চা অব্যাহত রাখবে।
৫৭. কেউ আন্দোলন সম্পর্কিত-ঈমান-আকীদা-দীন সম্পর্কিত স্বপ্ন দেখলে নাম-ঠিকানাসহ আন্দোলনের কেন্দ্রে পাঠাতে হয়। রসুলাল্লাহ (সা.) সাহাবাদের স্বপ্ন শুনতেন (হাদীস)।
৫৮. কেউ কোনো ভুল করলে তার কাছেই সেটা বলবে অর্থাৎ ভুল ধরিয়ে দেবে। কেউ কারও পেছনে গীবত করতে পারবে না। কারণ গীবত ঐক্য ধ্বংস করে।
৫৯. হারাম রোজগারের সাথে কেউ সম্পৃক্ত থাকবে না, কেননা পবিত্র উপার্জন এবাদত কবুলের পূর্বশর্ত।
৬০. নবী করিম (সা.) এর নাম শোনার সঙ্গে সঙ্গে তাজিমের সঙ্গে বিগলিতচিত্তে দরুদ পড়বে।
৬১. নবী-করিম (সা.) এর স্ত্রীগণের ব্যাপারে কথা আসলে নামের আগে অবশ্যই ভক্তি-শ্রদ্ধাসহকারে ‘মা’ বা ‘আম্মা’ বলবে। যেমন আম্মা খাদিজা, মা আয়েশা (রা.)।
৬২. কোনো সাহাবীদের ব্যাপারে কেউ কোনো সমালোচনা করবে না।
৬৩. হিজবুত তাওহীদ আন্দোলনকে সমর্থন ও সহযোগিতা করেন, ভালোবাসেন এমন লোকদের সাথে অবশ্যই বন্ধুসুলভ আচরণ করবে, তিনি যেই হোন না কেন।
৬৪. অন্য ধর্মের দেব-দেবী, উপাসক ও ধর্ম প্রবর্তকদের বিষয়ে অসম্মানসূচক শব্দ ব্যবহার করবে না। (সুরা আনআম ১০৮)
৬৫. রাস্তায় পথ চলার সময় মেরুদ- সোজা ও মাথা উচু করে বীরত্বপূর্ণভাবে হাটবে। (সুরা মুলক ২২)
৬৬. পবিত্র কোর’আন, হাদীসগ্রন্থ বাসস্থানের উচ্চস্থানে রাখার চেষ্টা করবে।
৬৭. কেবলার দিকে ফিরে ইসতেঞ্জা করা যাবে না।
৬৮. কারও সামনে আল্লাহ, রসুল, কোর’আন, রসুলের আসহাবগণ, মহামান্য এমামুযযামান ও হিজবুত তাওহীদকে গালাগালি করলে কেউ উত্তেজিত হয়ে পাল্টা গালাগালি করবে না, অশোভন আচরণ করবে না, বরং যৌক্তিকভাবে বোঝানোর চেষ্টা করবে। প্রয়োজনে নিজের আমীরকে জানাবে।
৬৯. কোনোরূপ অবৈধ অস্ত্রের সংস্পর্শে যাওয়া যাবে না, দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজ করা যাবে না।
৭০. দীনের কাজ হবে একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির লক্ষ্যে। দীনের কাজ করে কোনো বিনিময় গ্রহণ করবে না। যারা পার্থিব মূল্যের বিনিময়ে দীনের কাজ করে তাদেরকে অনুসরণও করা যাবে না। (সুরা বাকারা ১৭৪, সুরা ইয়াসীন ২১)
৭১. কোর’আনের কোনো আয়াত নিয়ে মতবিরোধ করা যাবে না। এছাড়াও কোনো বিষয়ে মোজাহেদ-মোজাহেদাদের মধ্যে মতভেদ হবার সম্ভাবনা সৃষ্টি হলে তখন সবাই চুপ হয়ে যাবে এবং সেটা আল্লাহর উপর সোপর্দ করবে।
৭২. সর্বাত্মক চেষ্টা করবে যাবতীয় অশ্লীলতা থেকে বিরত থাকতে, কারণ অশ্লীলতা পাপের দিকে নিয়ে যায়।
সকল মোজাহেদ/মোজাহেদাকে অবশ্যই শরীয়াহ নির্ধারিত পর্দা রক্ষা করার অভ্যাস গড়ে তুলবে। আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করি উপরোক্ত শৃঙ্খলাগুলোকে মেনে চলতে। আল্লাহ আমাদেরকে উপরোক্ত শৃঙ্খলা-সংস্কৃতিকে সঠিকভাবে মেনে চলার তওফিক দান করুন। আমরা যেন প্রকৃত মো’মেন হতে পারি এবং পৃথিবীময় আল্লাহর সত্যদীন প্রতিষ্ঠা করতে পারি। আল্লাহ আমাদের সেই চরিত্র দান করুন।