২০১৬ সালের ১৪ মার্চ নোয়াখালীর সোনাইমুড়িতে হেযবুত তওহীদের দুই সদস্যকে নৃশংসভাবে হত্যা, বাড়িঘর লুটপাট ও ধ্বংসযজ্ঞের সাথে জড়িতদের বিচারের দাবি জানিয়েছেন হেযবুত তওহীদ আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ। গতকাল রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি জানান তাঁরা। আন্দোলনটির নেতারা অভিযোগ করে বলেন, এক বছর আগে সোনাইমুড়িতে সংঘটিত ওই হামলা ও নৃশংস হত্যাকা-ের মূল হোতাদের এখনো বিচারের মুখোমুখি করতে পারে নি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তাদের এ ব্যর্থতা ধর্মব্যবসায়ী ও ধর্মোন্মাদ শ্রেণিকে এ ধরনের কর্মকাণ্ডে উৎসাহিত করবে বলেও মনে করেন তারা।
গত ১৪ মার্চ, ২০১৭ তারিখ সকাল এগারটায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির এক্সটেনশন হলে একটি সংবাদ সম্মেলন করেন হেযবুত তওহীদের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। গুরুত্বপূর্ণ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমের প্রতিনিধিগণ এসময় উপস্থিত ছিলেন। এতে মূল বক্তব্য পাঠ করে আন্দোলনটির মুখপাত্র রুফায়দাহ পন্নী। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন আন্দোলনের প্রচার সম্পাদক এস.এম.সামসুল হুদা ও সাহিত্য সম্পাদক রিয়াদুল হাসান।
বক্তারা বলেন, আন্দোলনের প্রতিষ্ঠালগ্ন অর্থাৎ ১৯৯৫ থেকেই হেযবুত তওহীদের বিরোধিতায় অবতীর্ণ হয়েছে এক শ্রেণির ধর্মব্যবসায়ী। তারা ওয়াজে, খোতবায়, হাটে বাজারে সর্বত্র অপপ্রচার চালিয়ে সাধারণ ধর্মবিশ্বাসী মানুষকে আন্দোলনের সদস্যদের উপর হামলা করতে উস্কানি দিয়ে আসছে। তাদের ফতোয়াবাজি ও মিথ্যাচারে প্রভাবিত হয়ে বহু জায়গায় তাদের উপর হামলার ঘটনাও ঘটেছে। বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া থেকে শুরু করে আন্দোলনের সদস্যদের হত্যা করার বেশ কিছু ঘটনাও ঘটেছে।
হেযবুত তওহীদের মুখপাত্র রূফায়দাহ পন্নী বলেন, “আমাদেরকে লক্ষ্যবস্তু বানানোর কারণ হচ্ছে, আমরা এদেশে ধর্মের দোহাই দিয়ে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল, সাম্প্রদায়িকতা, জঙ্গিবাদসহ ধর্মের নামে প্রচলিত প্রতিটি অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলি। কেননা আমরা মনে করি ধর্ম এসেছে বৃহত্তর মানবতার কল্যাণে, এটা কারো স্বার্থ উদ্ধারের হাতিয়ার হতে পারে না। আমরা পবিত্র কোরআন ও হাদীস থেকে ধর্মের নামে প্রচলিত এসব অন্যায়ের বিরুদ্ধে দলিল তুলে ধরেছি। এ সাধারণ সত্য কথাটি যখন হেযবুত তওহীদ সাধারণ মানুষের সামনে তুলে ধরতে শুরু করেছি তখন থেকেই যারা ধর্মকে তাদের রুটি-রুজি ও কায়েমী স্বার্থের হাতিয়ার বানিয়ে নিয়েছে, তারা আমাদের বিরোধিতা শুরু করে।”
গত বছর এই দিনে সোনাইমুড়িতে যে ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছিল সেটির বর্ণনা দিতে গিয়ে রুফায়দাহ পন্নী বলেন, “সেদিন স্থানীয় দাঙ্গা সৃষ্টিকারী আলেমরা নিকটবর্তী এলাকার বিভিন্ন মাদ্রাসা থেকে তাদের ছাত্রদের নিয়ে হেযবুত তওহীদের মাননীয় এমামের বাড়িতে আক্রমণ করে। সেখানে গত পনের বছর থেকে অপপ্রচার চালানো হয়েছে যে হেযবুত তওহীদের সদস্যরা নাকি নামাজ পড়ে না। তাদের এই কথাটি সর্বৈব মিথ্যা, কারণ আমরা নামাজ পড়ি ঠিকই, কেবল যে ইমামগণ নামাজ পড়ানোর বিনিময়ে অর্থ গ্রহণ করেন তাদের পেছনে পড়ি না। এর কারণ আল্লাহ ধর্মীয় কাজের বিনিময় গ্রহণকে হারাম করেছেন। ধর্মব্যবসায়ীদের এই রটনা যে ভুল তা মানুষের সামনে সুস্পষ্ট করার জন্য আমরা একটি মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ নেই। তখন ধর্মব্যবসায়ীরা নতুন করে প্রচারে নামে যে, ‘হেযবুত তওহীদ খ্রিষ্টান, তারা গির্জা নির্মাণ করছে’। তারা সকাল থেকে স্থানীয় কয়েকটি মসজিদের মাইকে বলতে শুরু করল যে, ‘গির্জা ভাঙ্গো, খ্রিস্টান মারো।’ তাদের উস্কানিতে স্থানীয় জামায়াত, শিবির, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন, হেফাজতে ইসলামের সন্ত্রাসীরা সহ মাদ্রাসার উন্মত্ত ছাত্র-শিক্ষকগণ নির্মাণাধীন মসজিদটিকে ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়। সকাল থেকে শুরু করে রাত অবধি চলা একের পর এক হামলায় আমাদের শতাধিক স্থানীয় নারী, পুরুষ, শিশু, যুবক, বৃদ্ধ মারাত্মকভাবে আহত হলেন। এমনকি থানা পুলিশ আসার পরও সন্ত্রাসীরা তাদের সামনেই মো. সোলায়মান খোকন ও ইব্রাহীম রুবেল নামে আমাদের দুজন সদস্যকে নির্মমভাবে হত্যা করে। এখানেই শেষ নয়, নিহত দু’জনের বুকের উপর চেপে বসে কয়েকজন তাদের হাতপায়ের রগ কেটে দেয়, গরু জবাই করা লম্বা ছুরি দিয়ে জবাই করে, তাদের চোখ উপড়ে ফেলে এবং শেষ পর্যন্ত পেট্রল ঢেলে তাদের শরীরে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। পিশাচদের রক্তের তৃষ্ণা তখনো মিটে নি, পুলিশ যখন আমাদের আহত অবরুদ্ধ মরণাপন্ন সদস্যদেরকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাওয়ার জন্য গাড়িতে তুলল তখন তাদেরকে গাড়ি থেকে নামিয়ে হত্যা করার জন্য গভীর রাত পর্যন্ত নিরাপত্তা বাহিনীর গাড়িতে হামলা চালায়। এমনকি থানায় পর্যন্ত তারা হামলা চালায়।”
ঘটনার বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে হেযবুত তওহীদ নেতৃবৃন্দ বলেন যে, তাদের দায়েরকৃত মামলার মোট ৮৩ জন আসামির মধ্য থেকে এখন পর্যন্ত হাতে গোনা কয়েকজনকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। তারা সবাই এখন জামিনেই আছে এবং সকল আসামিই এলাকায় দাপটের সাথে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং আবারো অনুরূপ ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটানোর হুমকি-ধামকি দিয়ে যাচ্ছে। হেযবুত তওহীদ নেতৃবৃন্দ সকল আসামিদের এবং যারা ঘটনার পূর্বে নামঠিকানা বিহীন উস্কানিমূলক হ্যান্ডবিল বিতরণ করেছিল সেই নেপথ্য নায়কদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। উক্ত ঘটনায় ভস্মীভূত ঘর-বাড়ি পুনর্নিমাণ ও ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ প্রদান ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা গ্রহণ করারও দাবি জানান তারা।
একই দিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে সংবাদকর্মীদের নিয়ে নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন হেযবুত তওহীদের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। আমাদের স্থানীয় প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্য অনুযায়ী নিচে বিস্তারিত তুলে ধরা হলো-
কচুয়া, চাঁদপুর: গতকাল বিকেলে কচুয়ার পুরান বাসস্ট্যান্ড এ দৈনিক বজ্রশক্তির উপজেলা কার্যালয়ে একটি সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। হেযবুত তওহীদের কচুয়া উপজেলা সভাপতি ইয়াসমিন আক্তার ইলার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য প্রদান করেন কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক শফিকুল আলম উখবাহ্। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন কচুয়া’র শহীদ সোলেমান খোকনের পিতা সামছুদ্দিন পাটোয়ারী, কচুয়া প্রেসক্লাবের প্রচার সম্পাদক মো. ইউনুছ, দপ্তর সম্পাদক আবু সাঈদ মেম্বার, হেযবুত তওহীদের চাঁদপুর জেলা সভাপতি হোসনে মোবারেক আজাদ, কচুয়া উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান প্রমুখ। এসময় উপস্থিত ছিলেন কচুয়া প্রেসক্লাবের প্রধান উপদেষ্টা আবুল হোসেন, সভাপতি প্রিয়তোষ পোদ্দার, সাধারণ সম্পাদক মানিক ভৌমিক, সহ-সভাপতি আতাউল করিম ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিসান আহমেদ নান্নু প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বক্তারা সোনাইমুড়িতে নৃসংশ হত্যাকা-, লুটপাট, ধ্বংসযজ্ঞ ও ষড়যন্ত্রের সাথে যুক্তদের দ্রুত বিচারের দাবি জানান।
পাবনা: ২০১৬ সালের ১৪ মার্চ নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলার পোরকরা গ্রামে হেযবুত তওহীদের ২ সদস্যকে প্রকাশ্য দিবালোকে জবাই করে হত্যার বিচারের দাবিতে পাবনা প্রেসক্লাবের ভিআইপি অডিটোরিয়ামে দুপুর ১২টায় সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে পাবনা জেলা হেযবুত তওহীদ। পাবনা জেলা হেযবুত তওহীদের সভাপতি শামসুজ্জামান মিলন সংবাদ সম্মেলনে বিষয়বস্তুর উপর বর্ণনা এবং বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরেন। এসময় হত্যাকা-ে জড়িত ও ইন্ধনদাতাদের দ্রুত শাস্তিরও দাবি জানান তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পাবনা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আঁখিনুর ইসলাম রেমন, দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশের প্রতিনিধি কাজী মাহবুব মোর্শেদ বাবলা, প্রথম আলোর জেলা প্রতিনিধি সরোয়ার মোর্শেদ উল্লাস, ভোরের কাগজের প্রতিনিধি কামাল আহম্মেদ সিদ্দিকী, বাংলাদেশ প্রতিদিন ও সময় টিভির প্রতিনিধি সৈকত আফরোজ আসাদ, দ্য ডেইলি স্টার প্রতিনিধি তপু আহম্মেদ, মানবজমিন ও একুশে টিভির রাজিউর রহমান রুমী, দৈনিক ভোরের ডাক এর প্রতিনিধি আব্দুর রশিদ, নতুন চোখ অনলাইনের প্রকাশক এসএম আলম, এসএ টিভির প্রতিনিধি কলিট তালুকদার, এটিএন নিউজের রিজভী রাইসুল ইসলাম জয়, পাবনা খবরের বার্তার সম্পাদক শিপন আহম্মেদ, দৈনিক বজ্রশক্তির প্রতিনিধি আলাউদ্দীন বিন কাশেম, খ.ম জাহেদুল ইসলাম, খালেকুজ্জামান পান্নুসহ প্রেসক্লাবের অন্যান্য সদস্য, বিভিন্ন টিভি চ্যানেল ও স্থানীয় পত্রিকার প্রতিনিধিগণ। সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন শামসুজ্জামান মিলন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন হেযবুত তওহীদের পাবনা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাহতাব উদ্দীন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রমজান আলী প্রমুখ।
সুনামগঞ্জ: নোয়াখালীর সোনাইমুড়ির ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার সুনামগঞ্জ জেলা হেযবুত তওহীদ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় সংবাদকর্মীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জের ডাক এর সম্পাদক, জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও সুনামগঞ্জ পৌর কলেজের অধ্যক্ষ মো. শেরগুল আহমদ, দৈনিক সুনামগঞ্জের সময়ের সম্পাদক ও দৈনিক দিনকালের জেলা প্রতিনিধি সেলিম আহমদ তালুকদার, মোহনা টিভির জেলা প্রতিনিধি কুলেন্দু শেখর দাশ, আলোকিত বাংলাদেশের প্রতিনিধি আল হেলাল, একুশে টিভির প্রতিনিধি আব্দুস সালাম, বৈশাখী টিভির প্রতিনিধি অরুন চক্রবর্তী, সুনামগঞ্জ সময়ের সহকারী সম্পাদক জসিম উদ্দিন, দৈনিক সুনামকণ্ঠের স্টাফ রিপোর্টার আকরাম উদ্দিন, সুনামগঞ্জ প্রতিদিনের বার্তা সম্পাদক বিপ্লব রায়, দৈনিক আজকালের খবরের জেলা প্রতিনিধি আমিনুল হক, এশিয়ান টিভির প্রতিনিধি রাজন মাহবুব, দৈনিক বজ্রশক্তির প্রতিনিধি হাফেজ সেলিম আহমেদ, চ্যানেল এসবিডি’র জেলা প্রতিনিধি ফুয়াদ, সাপ্তাহিক হাওরাঞ্চলের কথার স্টাফ রিপোর্টার কামাল উদ্দিন, দৈনিক নবরাজের জেলা প্রতিনিধি সিরাজুল ইসলাম শ্যামল, দোয়ারা বাজার প্রেসক্লাবের সভাপতি এমএ করিম লিলু, দৈনিক শাল্লার খবরের সম্পাদক ও শাল্লা প্রেসক্লাবের সভাপতি বাদল চন্দ্র দাশ প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্যের উপর বক্তব্য প্রদান করেন সুনামগঞ্জ জেলা হেযবুত তওহীদের সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হোসাইন। তিনি হেযবুত তওহীদের জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ ও সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী কার্যক্রম তুলে ধরেন এবং হেযবুত তওহীদের প্রতিবন্ধকতার উপর আলোকপাত করেন। এসময় হত্যাকা-ে জড়িত ও ইন্ধনদাতাদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন হেযবুত তওহীদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মোফাজ্জল হোসাইন সর্দার, জেলা কমিটির উপদেষ্টা হাফেজ মো. মোশাহিদ আলী, জেলা সভাপতি তানভীর আলম, জেলা প্রচার সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, জেলা দপ্তর সম্পাদক আতিকুর রহমান, জেলা কমিটির অর্থ সম্পাদক দীন মোহাম্মদ জেলা সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান তাসাদ্দুক রাজা ইমন প্রমুখ।
নবাবগঞ্জ, দিনাজপুর: সোনাইমুড়ির নৃশংসতার ঘটনায় জড়িত অপরাধীদের শাস্তির দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এসময় সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নবাবগঞ্জ উপজেলা হেযবুত তওহীদের সভাপতি মোহাম্মদ হাসিম উদ্দিন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এম রুহুল আমিন প্রধান, নবাবগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. ছানাউল্ল্যাহ, নবাবগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান (মিলন), দৈনিক ভোরের ডাক পত্রিকার নবাবগঞ্জ প্রতিনিধি সাজেদুল ইসলাম(সাগর), দৈনিক জনতা’র আব্দুল মান্নান, দৈনিক আখিরা’র আব্দুস সাত্তার, দৈনিক আজকালের খবর’র সুলতান মাহমুদ, বাংলাদেশ সময়’র আনিছুর রহমান, প্রথম আলো’র বিরামপুর প্রতিনিধি এসএম আলমগীর, দৈনিক বগুড়া’র সঞ্জয় রায়, ভোরের পাতা’র আতিকুল ইসলাম চৌধুরী, চপল প্রমুখ।
বরিশাল: নোয়াখালীর সোনাইমুড়ির নৃশংস ঘটনার এক বছর পূর্তি উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১১টায় বরিশাল শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে হেযবুত তওহীদের বরিশাল বিভাগীয় ও জেলা নেতৃবৃন্দ। এসময় মূল বক্তব্য প্রদান করেন হেযবুত তওহীদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. মাহবুব আলম মাহফুজ। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বরিশাল জেলা হেযবুত তওহীদের সভাপতি মো. খোকন হাওলাদার, সাধারণ সম্পাদক আলম বালী, আন্তঃধর্মীয় ও রাজনৈতিক সম্পাদক নূর মোহাম্মদ আরিফ প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় ও স্থানীয় গুরুত্বপূর্ণ সংবাদমাধ্যমের কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
মেহেরপুর: গত বছর ১৪ মার্চ নোয়াখালীর সোনাইমুড়িতে ধর্মব্যবসায়ীদের উস্কানিতে সংঘটিত হত্যাযজ্ঞের আসামিদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও তাদের বিচারের দাবিতে বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি মেহেরপুর জেলা ইউনিটি কার্যালয়ে গতকাল বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করে জেলা হেযবুত তওহীদ। সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য প্রদান করেন হেযবুত তওহীদের মেহেরপুর জেলা সভাপতি সাহারুল ইসলাম। এসময় উপস্থিত ছিলেন হেযবুত তওহীদের ও বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতির জেলা সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম, বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ও চ্যানেল ৪ এর সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার ডা: আল-আমিন হোসেন, সহ সভাপতি ও চ্যানেল ৪ এর জেলা প্রতিনিধি এম এ লিংকন, গাংনী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি হারুন অর-রশিদ রবি। আরো উপস্থিত ছিলেন মাই টিভির গাংনী উপজেলা প্রতিনিধি ওসমান গণি, জেটিভির জেলা প্রতিনিধি মিনারুল ইসলাম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক লিটন মাহমুদ, সহ-যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহিদ মাহমুদ, সইফুল ইসলাম, ডা: হেলাল উদ্দীন প্রমুখ।
মাদারীপুর: এদিকে ১৪ মার্চের নৃশংস ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তির দাবিতে গতকাল বিকালে মাদারীপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে মাদারীপুর জেলা হেযবুত তওহীদ। প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার স্থানীয় সংবাদকর্মীদের উপস্থিতিতে এসময় মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন গোপালগঞ্জ জেলা হেযবুত তওহীদের সভাপতি আরিফ মোহাম্মদ আলী আহসান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মাদারীপুর জেলা হেযবুত তওহীদের সভাপতি আবদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক রানা মিয়া, সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক মো. ফরিদ আহমেদ প্রমুখ।