সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, সাম্প্রদায়িকতা, ধর্মব্যবসা, ধর্ম নিয়ে অপ-রাজনীতিসহ সকল প্রকার অন্যায়ের বিরুদ্ধে দেশের মানুষকে সচেতন করতে দেশব্যাপী জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে মানবতার কল্যাণে নিবেদিত আন্দোলন হেযবুত তওহীদ। এ লক্ষ্যে ধর্মের প্রকৃত শিক্ষা ও সঠিক আদর্শকে লক্ষাধিক সভা, সেমিনার, র্যালিসহ বিভিন্ন আয়োজনের মাধ্যমে দেশের জনগণের সামনে তুলে ধরছে হেযবুত তওহীদ। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখ রোজ সোমবার রাজধানীর উত্তর বাড্ডার সাতারকুল রোডস্থ এলিন কমিউনিটি সেন্টারে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় মুখ্য আলোচকের বক্তব্য রাখেন হেযবুত তওহীদের এমাম হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাড্ডা ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হেযবুত তওহীদের সাধারণ সম্পাদক মো. মশিউর রহমান, সংগঠনটির ঢাকা মহানগরীর সভাপতি আলী হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান টিটু, বাড্ডা থানা সভাপতি মো. মেজবাহ উল ইসলাম, রামপুরা থানা সভাপতি ফরিদ উদ্দিন রব্বানী, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের বাড্ডা থানা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল আউয়াল, বাংলাদেশ হকার্স লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. হারুন চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু জাতীয় যুব পরিষদ ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মো. ইকবাল হোসেন, উপদেষ্টা খন্দকার সাজ্জাদ আলম, আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট রুহুল আমীন, বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা হারিছ মিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান, বাড্ডা থানা মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হরিমহন বাবু, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আজিজ ভূঁইয়া, বাড্ডা ানা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহিম, জাতীয় শ্রমিক লীগের বাড্ডা থানার সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান দিপু, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি রূপ চান বিশ্বাস, নারায়ণগঞ্জ মহানগর ওলামা লীগের সভাপতি আব্দুল মতিন, নারায়ণগঞ্জ জেলা কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন করিব, কাজী মাওলানা আলী আশরাফ, হেযবুত তওহীদের সাহিত্য সম্পাদক রিয়াদুল হাসান।
মুখ্য আলোচক তার বক্তব্যে বলেন, মানুষ হচ্ছে সর্বশক্তিমান স্রষ্টার শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি। তাই মানুষকে পশুর মত জীবন যাপন করলে চলবে না। মানুষকে তার চিন্তাশক্তি কাজে লাগাতে হবে। বর্তমানে আমাদের সমাজের সর্বত্র অন্যায়-অশান্তির জয়-জয়কার। এথেকে মুক্তির পথ সম্পর্কে আজ মানুষকে ভাবতে হবে, চিন্তা করতে হবে। তিনি বলেন, আজ পুরো বিশ্বজুড়ে চলছে ক্ষমতার লড়াই। সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলো আজ একে অন্যের সাে হুমকির ভাষায় কথা বলছে। সীমান্তজুড়ে বসানো হয়েছে পাহারা, সমুদ্রে সব সময় টহল দিচ্ছে প্রহরীরা। সকলের মধ্যে এখন শত্রু দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার ভয়। পুরো মানব জাতি এখন সংকটাপন্ন জীবন যাপন করছে। এমতাবস্থায় সচেতন ও মানবতাবাদী মানুষের পক্ষে নির্বিকার বসে থাকা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, সারা বিশ্বের সম্পদ কুক্ষিগত হয়ে আছে গুটিকয় পুঁজিবাদী ব্যক্তির হাতে। অপরপক্ষে বিশ্বব্যাপী অসংখ্য মানুষের দিন কাটছে অনাহারে-অর্ধাহারে। এসব সংকট থেকে বাঁচতে বিভিন্ন আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সংস্থা পর্যন্ত গঠন করা হয়েছে, কিন্তু কাক্সিক্ষত সেই শান্তি আসেনি। তাই এখন আমাদেরকে এই সংকট থেকে বাঁচার উপায় খুঁজতে হবে।
হেযবুত তওহীদের এমাম বলেন, এ সংকট থেকে বাঁচার একমাত্র প হচ্ছে ধর্মের প্রকৃত শিক্ষা নিজেদের মধ্যে ধারণ করে বাস্তব জীবনে এর প্রতিফলন ঘটানো। তিনি বলেন, ধর্মের প্রকৃত শিক্ষাকে সকলের সামনে তুলে ধরছে হেযবুত তওহীদ। আপনারা সকলে হেযবুত তওহীদের এই জনহিতৈষী কাজে সহযোগিতা করুন। তাহলেই ধ্বংসের এই প থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে সমগ্র মানবজাতি। বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে হেযবুত তওহীদের এমাম অনুষ্ঠানে উপস্থিত দর্শকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।