গত ১৬ই জুন, ২০১৭ রোজ শুক্রবার রাজধানীর মতিঝিলে অবস্থিত ঢাকা জেলা ক্রীড়া সংস্থা মিলনায়তনে হেযবুত তওহীদের উদ্যোগে এক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হেযবুত তওহীদের এমাম হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম। ইফতারপূর্ব আলোচনা সভায় তিনি হেযবুত তওহীদের উপস্থিত সদস্য-সদস্যা এবং শুভানুধ্যায়ীদের উদ্দেশে গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ প্রদান করেন।
হেযবুত তওহীদের এমাম তাঁর দীর্ঘ আলোচনায় মানবজাতি সৃষ্টির উদ্দেশ্য, শেষ নবী মোহাম্মদ (স.) এর আগমন ও উম্মতে মোহাম্মদী নামক জাতি গঠনের লক্ষ্য, মুসলিম জাতির বর্তমান দুর্দশাগ্রস্ত অবস্থার কারণ, এ থেকে উত্তরণের উপায় ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় অত্যন্ত প্রাণবন্ত ভাষায় তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আল্লাহ আদমকে (আ.) সৃষ্টি করেছেন পৃথিবীতে তাঁর খলিফা তথা প্রতিনিধি হিসেবে প্রেরণের উদ্দেশ্যে। আল্লাহর খলিফা হিসেবে আদম তথা মানুষের প্রধান দায়িত্বই হচ্ছে পৃথিবীকে ন্যায়, সুবিচার দ্বারা পরিচালিত করা, শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। আর এই শান্তি কিভাবে প্রতিষ্ঠিত হবে সেই দিক-নির্দেশনাও যুগে যুগে তিনি তাঁর নবী-রসুলদের মাধ্যমে পাঠিয়েছেন। মানবসমাজ যখন আল্লাহর পাঠানো সত্যদীনকে গ্রহণ করে নিয়েছে, সামষ্টিক জীবনে প্রতিষ্ঠা করেছে তখন তার অবধারিত ফল হিসেবে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এ জন্যই এ দীনের নাম ইসলাম। হেযবুত তওহীদের এমাম এসময় বলেন, শেষ নবীকে আল্লাহ পৃথিবীতে পাঠিয়েছিলেন সমস্ত পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে। যেহেতু একা ও এক জীবনে এই কাজ সম্ভব নয় তাই তিনি সারা জীবনের প্রচেষ্টায় একটি জাতি গঠন করলেন। সেই জাতির নাম উম্মতে মোহাম্মদী। আল্লাহর রসুল চলে যাওয়ার পর এই উম্মাত তার নেতার সঠিক দিক-নির্দেশনা মোতাবেক যতদিন সত্য প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম করে গেছে ততদিন আল্লাহ তার প্রতিশ্রুতি মোতাবেক তাদেরকে বিজয় দিয়েছেন। কিন্তু রসুলের আসহাবরা একে একে চলে যাওয়ার পর পরবর্তী প্রজন্ম তাদের লক্ষ্য থেকে সরে যেতে শুরু করে। ফলে দীনের মধ্যে বিকৃতি প্রবেশ করতে শুরু করে। এক সময় তারা সত্য প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম বাদ দিয়ে ব্যক্তিগত আমল নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। আর তখন আল্লাহ তার ঘোষণা মোতাবেক এ জাতিকে শাস্তি প্রদান করেন, তাদেরকে ইউরোপের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জাতির গোলাম বানিয়ে দেন। সেই গোলামি আমরা আজও করে যাচ্ছি। জনাব হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম বলেন, আজকে পৃথিবীময় ১৬০ কোটি মুসলিম। তাদের হাতে বিপুল পরিমাণ প্রাকৃতিক সম্পদ। তাদের নামাজ-রোজা ইত্যাদি আমলে কোনো ঘাটতি নেই। অথচ মুসলিম জাতি গত কয়েকশ বছর ধরে লাঞ্ছনাময় জীবনযাপন করছে। যাদের দায়িত্ব ছিল সারা পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা তারা এখন সবচেয়ে বেশি অশান্তিতে নিপতিত।
হেযবুত তওহীদের এমাম বলেন, এই দুর্দশা ঘুচাতে হলে আজকের মুসলিম জাতিকে সর্বপ্রথম তওহীদ অর্থাৎ আল্লাহর হুকুম তথা ন্যায়-সত্য আর হকের ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। অন্যায়, অবিচার, মিথ্যা, দালালতের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সত্য প্রতিষ্ঠার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করতে হবে। রাজনৈতিক দল, ফেরকা, মাজহাব ইত্যাদি যাবতীয় অনৈক্য ঘুচিয়ে তাদেরকে অবশ্যই ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আর হেযবুত তওহীদ সেই ঐক্যের ডাকই দিয়ে যাচ্ছে, বলেন হেযবুত তওহীদের এ সর্বোচ্চ নেতা।
পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে শুরু হয়ে ইফতার ও মাগরিবের নামাজের পর প্রশ্নোত্তর পর্বের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন হেযবুত তওহীদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মসীহ উর রহমান, সাহিত্য-বিষয়ক সম্পাদক রিয়াদুল হাসান, ঢাকা মহানগর হেযবুত তওহীদের সভাপতি আলী হোসেন প্রমুখ।
হেযবুত তওহীদের এমাম তাঁর দীর্ঘ আলোচনায় মানবজাতি সৃষ্টির উদ্দেশ্য, শেষ নবী মোহাম্মদ (স.) এর আগমন ও উম্মতে মোহাম্মদী নামক জাতি গঠনের লক্ষ্য, মুসলিম জাতির বর্তমান দুর্দশাগ্রস্ত অবস্থার কারণ, এ থেকে উত্তরণের উপায় ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় অত্যন্ত প্রাণবন্ত ভাষায় তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আল্লাহ আদমকে (আ.) সৃষ্টি করেছেন পৃথিবীতে তাঁর খলিফা তথা প্রতিনিধি হিসেবে প্রেরণের উদ্দেশ্যে। আল্লাহর খলিফা হিসেবে আদম তথা মানুষের প্রধান দায়িত্বই হচ্ছে পৃথিবীকে ন্যায়, সুবিচার দ্বারা পরিচালিত করা, শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। আর এই শান্তি কিভাবে প্রতিষ্ঠিত হবে সেই দিক-নির্দেশনাও যুগে যুগে তিনি তাঁর নবী-রসুলদের মাধ্যমে পাঠিয়েছেন। মানবসমাজ যখন আল্লাহর পাঠানো সত্যদীনকে গ্রহণ করে নিয়েছে, সামষ্টিক জীবনে প্রতিষ্ঠা করেছে তখন তার অবধারিত ফল হিসেবে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এ জন্যই এ দীনের নাম ইসলাম। হেযবুত তওহীদের এমাম এসময় বলেন, শেষ নবীকে আল্লাহ পৃথিবীতে পাঠিয়েছিলেন সমস্ত পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে। যেহেতু একা ও এক জীবনে এই কাজ সম্ভব নয় তাই তিনি সারা জীবনের প্রচেষ্টায় একটি জাতি গঠন করলেন। সেই জাতির নাম উম্মতে মোহাম্মদী। আল্লাহর রসুল চলে যাওয়ার পর এই উম্মাত তার নেতার সঠিক দিক-নির্দেশনা মোতাবেক যতদিন সত্য প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম করে গেছে ততদিন আল্লাহ তার প্রতিশ্রুতি মোতাবেক তাদেরকে বিজয় দিয়েছেন। কিন্তু রসুলের আসহাবরা একে একে চলে যাওয়ার পর পরবর্তী প্রজন্ম তাদের লক্ষ্য থেকে সরে যেতে শুরু করে। ফলে দীনের মধ্যে বিকৃতি প্রবেশ করতে শুরু করে। এক সময় তারা সত্য প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম বাদ দিয়ে ব্যক্তিগত আমল নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। আর তখন আল্লাহ তার ঘোষণা মোতাবেক এ জাতিকে শাস্তি প্রদান করেন, তাদেরকে ইউরোপের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জাতির গোলাম বানিয়ে দেন। সেই গোলামি আমরা আজও করে যাচ্ছি। জনাব হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম বলেন, আজকে পৃথিবীময় ১৬০ কোটি মুসলিম। তাদের হাতে বিপুল পরিমাণ প্রাকৃতিক সম্পদ। তাদের নামাজ-রোজা ইত্যাদি আমলে কোনো ঘাটতি নেই। অথচ মুসলিম জাতি গত কয়েকশ বছর ধরে লাঞ্ছনাময় জীবনযাপন করছে। যাদের দায়িত্ব ছিল সারা পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা তারা এখন সবচেয়ে বেশি অশান্তিতে নিপতিত।
হেযবুত তওহীদের এমাম বলেন, এই দুর্দশা ঘুচাতে হলে আজকের মুসলিম জাতিকে সর্বপ্রথম তওহীদ অর্থাৎ আল্লাহর হুকুম তথা ন্যায়-সত্য আর হকের ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। অন্যায়, অবিচার, মিথ্যা, দালালতের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সত্য প্রতিষ্ঠার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করতে হবে। রাজনৈতিক দল, ফেরকা, মাজহাব ইত্যাদি যাবতীয় অনৈক্য ঘুচিয়ে তাদেরকে অবশ্যই ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আর হেযবুত তওহীদ সেই ঐক্যের ডাকই দিয়ে যাচ্ছে, বলেন হেযবুত তওহীদের এ সর্বোচ্চ নেতা।
পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে শুরু হয়ে ইফতার ও মাগরিবের নামাজের পর প্রশ্নোত্তর পর্বের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন হেযবুত তওহীদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মসীহ উর রহমান, সাহিত্য-বিষয়ক সম্পাদক রিয়াদুল হাসান, ঢাকা মহানগর হেযবুত তওহীদের সভাপতি আলী হোসেন প্রমুখ।