মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নী:
হেদায়াহ ও তাকওয়া দু’টো সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয় হলেও আজকের বিকৃত আকিদায় দুটোকেই সমার্থক বানিয়ে ফেলা হয়েছে। তাই কোনো গুণ্ডা প্রকৃতির অসৎ ব্যক্তি যদি নামাজ রোজা শুরু করে, গুণ্ডামি পরিহার করে তখন আমরা বলি যে লোকটা হেদায়াত পেয়েছে। কিন্তু প্রকৃত সত্য হলো, লোকটা হেদায়াত পায় নি, সে তাকওয়া অর্জন করেছে বা মুত্তাকি হয়েছে।
তাকওয়ার অর্থ সাবধানে জীবনের পথ চলা। অর্থাৎ জীবনের পথ চলায় ন্যায়-অন্যায়, ঠিক-অঠিক দেখে চলা, অসৎ কাজ পরিহার করে সৎ কাজ করে চলা। কোর’আনের অনুবাদগুলোতে তাকওয়া শব্দের অনুবাদ করা হয়েছে, ‘আল্লাহভীতি’ দিয়ে, ইংরেজিতে Fear of God দিয়ে। তাতে প্রকৃত অর্থ প্রকাশ পায় না। ইংরেজি অনুবাদে আল্লামা ইউসুফ আলী অনুবাদ করেছেন Fear of God বলে এবং মোহাম্মদ মারমাডিউক পিকথল করেছেন Mindful of duty to Allah অর্থাৎ আল্লাহর প্রতি কর্তব্য সম্বন্ধে চেতনা বলে। প্রকৃতপক্ষে তাকওয়া শব্দের মর্ম হলো আল্লাহ ন্যায়-অন্যায়ের যে মাপকাঠি নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন, সেই মাপকাঠি মোতাবেক জীবনের পথ চলা। যারা অমন সাবধানতার সঙ্গে পথ চলেন তাদের বলা হয় মুত্তাকি।
তাকওয়া ও হেদায়াত দু’টো আলাদা বিষয়। তাকওয়া হচ্ছে সাবধানে পথ চলা আর হেদায়াত হচ্ছে সঠিক পথে চলা। আপনি আপনার গন্তব্য স্থানের দিকে দু’ভাবে যেতে পারেন। এক, অতি সাবধানে পথের কাদা, নোংরা জিনিস এড়িয়ে, গর্ত থাকলে গর্তে পা না দিয়ে, কাঁটার উপর পা না ফেলে চলতে পারেন। ওভাবে চললে আপনার গায়ে ময়লা লাগবে না, আছড়ে পড়ে কাপড়ে কাদামাটি লাগবে না। দুই, পথের ময়লা, গর্ত, কাঁটা ইত্যাদির কোন পরওয়া না করে সোজা চলে যেতে পারেন। ওভাবে গেলে আপনি আছাড় খাবেন, গায়ে-কাপড়ে ময়লা কাদামাটি লাগবে। আর হেদায়াত হচ্ছে আপনি এ উভয়ভাবের যে কোনও ভাবেই যে পথে চলছেন সে পথটি সঠিক হওয়া। পথ যদি সঠিক না হয়ে থাকে অর্থাৎ হেদায়াত না থাকে তবে আপনার শত সাবধানে পথ চলা অর্থাৎ শত তাকওয়া সম্পূর্ণ বিফল, কারণ আপনি আপনার গন্তব্যস্থানে পৌঁছবেন না। আর যদি সঠিক পথে অর্থাৎ হেদায়াতে থাকেন তবে তাকওয়া না করেও গায়ের কাপড়ে কাদামাটি লাগিয়ে আপনি আপনার গন্তব্যস্থানে পৌঁছে যাবেন আপনি সফলকাম হবেন। অর্থাৎ তাকওয়া অর্থহীন যদি হেদায়াহ না থাকে এবং সেই হেদায়াত, সঠিক পথটি হলো সেরাতুল মোস্তাকীম, সহজ সরল পথ, জীবনের কোন ক্ষেত্রে এক আল্লাহ ছাড়া কারো আদেশ না মানা, তওহীদ। এ জন্যই রসুলাল্লাহ (দ.) মোয়ায (রা.) কে বললেন, ‘মোয়ায! কোন লোক যদি মৃত্যু পর্যন্ত এক আল্লাহকে ছাড়া আর কাউকে এলাহ (হুকুমদাতা, প্রভু) বলে স্থান না দেয়, তবে জাহান্নামের আগুন তাকে স্পর্শ করতে পারবে না।” তারপর আবু যর (রা.)-কে বললেন, যে আল্লাহ ছাড়া আর কোন প্রভু স্বীকার না করে তবে সে ব্যভিচার করলেও, চুরি করলেও, জান্নাতে প্রবেশ করবে (বোখারি ও মুসলিম)। অর্থাৎ ঐ লোক সঠিক পথে সেরাতুল মোস্তাকীমে আছে, হেদায়াতে আছে, কিন্তু তাকওয়ায় নেই, সে মুত্তাকি নয়। সে সঠিক পথে আছে বলে সে গায়ে কাদামাটি ময়লা নিয়েও তার গন্তব্য স্থানে, ‘জান্নাতে’ পৌঁছবে আর যারা অতি সাবধানে পথ চলছেন অতি মুত্তাকি কিন্তু সেরাতুল মোস্তাকীমে হেদায়াতে নেই তাদের সম্বন্ধেও আল্লাহর রসুল (দ.) বলে গেলেন। বলেছেন, ‘ভবিষ্যতে এমন সময় আসছে, যখন মানুষ রোজা রাখবে কিন্তু তা উপবাস অর্থাৎ না খেয়ে থাকা হবে (রোজা হবে না), রাত্রে ওঠে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়বে কিন্তু শুধু তাদের ঘুম নষ্ট করা হবে (নামাজ হবে না)”।
রসুলাল্লাহ যে সময়টার কথা বলে গেছেন এখন সেই সময়। বর্তমান মুসলিম দুনিয়ার যে উল্লেখযোগ্য অংশটা অতি মুত্তাকি সেটার শুধু ব্যক্তিগত জীবন ছাড়া আর সবটাই অর্থাৎ রাষ্ট্রীয়, সামাজিক, পারিবারিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ইত্যাদি সব ক্ষেত্রেই আল্লাহকে বাদ দিয়ে মানুষের তৈরি ব্যবস্থা গ্রহণ ও প্রয়োগ করা হয়েছে, অর্থাৎ তওহীদে সেরাতুল মোস্তাকীমে দীনুল কাইয়্যেমাতে ‘হেদায়াতে’ নেই। আদম (আ.) থেকে বিশ্বনবী (দ.) পর্যন্ত ইসলামের ভিত্তিই হলো তওহীদ, সেরাতুল মোস্তাকীম, দীনুল কাইয়্যেমা। সেখানেই যদি না থাকে তবে আর ইসলামে রইল কেমন করে? কাজেই গোনাহ সওয়াব দেখে দেখে অতি সাবধানে তাকওয়ার সাথে পথ চললেও সেই পথ তাদের জান্নাতে নিয়ে যাচ্ছে না, নিয়ে যাচ্ছে জাহান্নামে।
সুরা ফাতেহার পর সুরা বাকারা দিয়ে কোর’আন আরম্ভ করেই আল্লাহ বলছেন, “এই বই সন্দেহাতীত।” (এটা) মুত্তাকিদের (সাবধানে পথ চলার মানুষদের) জন্য হেদায়াহ (সঠিক পথ প্রদর্শনকারী)” (সুরা আল-বাকারা ২)। পরিষ্কার দু’টো আলাদা জিনিস হয়ে গেল। একটি তাকওয়া অন্যটি হেদায়াহ। কাজেই আল্লাহ বলছেন, যারা মুত্তাকি, কিন্তু হেদায়াতে নেই- সঠিক পথে নেই, তাদের পথ দেখাবার জন্যই এই কোর’আন। অন্যান্য ধর্মে, এমন কি আল্লাহকে অবিশ্বাসকারী নাস্তিক কমিউনিস্টদের মধ্যেও বহু মানুষ আছেন যারা সত্য-মিথ্যা, ন্যায়-অন্যায়, ঠিক-অঠিক দেখে জীবনের পথ চলতে চেষ্টা করেন। তারা মিথ্যা বলেন না, মানুষকে ঠকান না, অন্যের ক্ষতি করেন না, যতটুকু পারেন অন্যের ভালো করেন, গরীবকে সাহায্য করেন ইত্যাদি। তারা মুত্তাকি, কিন্তু তারা হেদায়াতে নেই। তাদের হেদায়াতে অর্থাৎ তওহীদে আনার জন্য কোর’আন।
সুরা বাকারা ছাড়াও অন্যত্রও তাকওয়া ও হেদায়াত যে দু’টো ভিন্ন বিষয় তা আল্লাহ পরিষ্কার করে দিয়েছেন। তিনি বলছেন- যারা সঠিক পথে (হেদায়াতে) চলে (আল্লাহ) তাদের হেদায়াত বৃদ্ধি করেন ও তাদের তাকওয়া প্রদান করেন (সুরা মোহাম্মদ ১৭)। এই আয়াতেও তাকওয়া ও হেদায়াহ যে এক নয়, আলাদা তা দেখা গেল এবং হেদায়াত তাকওয়ার পূর্বশর্ত (Pre-condition) তাও পরিষ্কার হয়ে গেল। তাকওয়া ও হেদায়াহ যে এক নয় তার প্রকৃষ্ট প্রমাণ হচ্ছে সুরা আল ফাতাহ’র ২য় আয়াতে আল্লাহ তাঁর রসুলকে বলেছেন, আমি তোমাকে সেরাতুল মোস্তাকীমে হেদায়াত করেছি”। তারপর সুরা দুহার ৭ম আয়াতে বলছেন, “তোমাকে হেদায়াত করেছি।” বর্তমানে প্রচলিত ভুল আকিদায় মুত্তাকি হওয়া মানেই যদি হেদায়াত হওয়া হয় তবে বিশ্বনবীর (দ.) চেয়ে বড় মুত্তাকি কে ছিলেন, আছেন বা হবেন? আল্লাহ নবুয়াত দেবার আগেও যার গোনাহ, পাপ ছিল না তাকে আবার হেদায়াত করার দরকার কি? বর্তমান পৃথিবীর মুসলিম জাতির একটা বড় অংশ প্রচণ্ড তাকওয়ায় আপ্রাণ চেষ্টা করছেন আল্লাহকে খুশি করার জন্য, তাঁর সান্নিধ্য ও জান্নাত লাভ করার জন্য, কিন্তু চলছেন আল্লাহ ও রসুল (দ.) প্রদর্শিত পথের বিপরীতে। সে পথ অবশ্যই জাহান্নামের পথ। তারা ওয়াজ করছেন- অমুক কাজ করলে এত হাজার সওয়াব লেখা হয়; অমুক কাজ করলে এত লাখ সওয়াব লেখা হয়। তারা হাওলা দিচ্ছেন যে এসব কথা হাদিসে আছে। হাদিসে ঠিকই আছে। কিন্তু আকিদার বিকৃতিতে তারা বুঝছেন না যে ওগুলো যাদের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে যারা সেরাতুল মোস্তাকীমে আছেন, সঠিক পথে আছেন, যাদের আকিদা সঠিক তাদের জন্য। যারা উল্টোপথে আছেন বিপরীত দিকে চলছেন তাদের জন্য নয়। এই দীনের কঠিনতম দু’টি এবাদত রোজা ও তাহাজ্জুদই যদি তাদের জন্য অর্থহীন হয় তবে ওসব ছোটখাটো ব্যাপারগুলো তো প্রশ্নের অতীত। আল্লাহর রসুল (দ.) জানতেন যে আকিদা ভ্রষ্ট হয়ে তাঁর উম্মাহ একদিন আল্লাহ ও তাঁর প্রদর্শিত দিক-নির্দেশনা থেকে বিচ্যুত হয়ে উল্টো দিকে চলতে থাকবে। সেদিন অনেক আগেই এসে গেছে। তিনি ভবিষ্যদ্বাণী করে গেছেন “এমন সময় আসবে যখন মসজিদগুলো মুসল্লি দিয়ে পূর্ণ হবে” এমন কি একটি হাদিসে আছে যে, “এমন পূর্ণ হবে যে সেগুলোতে জায়গা পাওয়া যাবে না, (আজকাল তাই হয়েছে) কিন্তু সেখানে হেদায়াত থাকবে না।” লক্ষ্য করুন মহানবী (দ.) কোন শব্দটা ব্যবহার করলেন। তিনি তাকওয়া শব্দ ব্যবহার করলেন না, ব্যবহার করলেন হেদায়াত। অর্থাৎ তাকওয়া থাকবে, কারণ তাকওয়া না থাকলে তো আর মসজিদ পূর্ণ হতো না, কিন্তু হেদায়াত থাকবে না (আলী রা. থেকে বায়হাকি, মেশকাত)। মহানবীর (দ.) ভবিষ্যদ্বাণী বহু আগেই পূর্ণতা লাভ করেছে।
তারপর লক্ষ করুন সেই ঘটনাটির দিকে- একজন লোকের জানাযার নামাজ পড়ার জন্য লোকজন সমবেত হলে রসুলাল্লাহ সেখানে এলেন। ওমর (রা.) বিন খাত্তাব বললেন- ইয়া রসুলাল্লাহ! আপনি এর জানাযার নামাজ পড়াবেন না। কারণ জিজ্ঞাসা করায় তিনি বললেন, ঐ লোকটি অত্যন্ত খারাপ প্রকৃতির দুষ্কৃতিকারী লোক ছিলেন। শুনে বিশ্বনবী সমবেত জনতার দিকে চেয়ে জিজ্ঞাসা করলেন- তোমাদের মধ্যে কেউ এই লোকটিকে কখনও ইসলামের কোনো কাজ করতে দেখেছ? একজন লোক বললেন- ইয়া রসুলাল্লাহ! আমি একে একবার আল্লাহর রাস্তায় (জেহাদে) একরাত্রি (অন্য একটি হাদিসে অর্ধেক রাত্রি) পাহারা দিতে দেখেছি। এই কথা শুনে মহানবী ঐ মৃত ব্যক্তির জানাযার নামাজ পড়ালেন, তাকে দাফন করার পর, (তাকে উদ্দেশ্য করে) বললেন তোমার সঙ্গীরা মনে করছে তুমি আগুনের অধিবাসী (জাহান্নামী), কিন্তু আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি তুমি জান্নাতের অধিবাসী (হাদিস- ইবনে আয়াজ (রা.) থেকে বায়হাকী, মেশকাত)।
ইসলামের প্রকৃত আকিদা বুঝতে গেলে এই দুইটি হাদিস গভীরভাবে চিন্তা করতে হবে। ওমর (র.) যখন রসুলাল্লাহকে বললেন যে ঐ মৃত লোকটি অত্যন্ত খারাপ লোক ছিলেন তখন সমস্ত লোকজন থেকে কেউ ও কথার আপত্তি করলেন না, অর্থাৎ ওমরের (রা.) ঐ কথায় সবাই একমত। কারণ হাদিসের ব্যাখ্যাকারীগণ বলেছেন ঐ মৃত লোকটি ডাকাত ছিলেন। তারপর মহানবী যখন সমবেত লোকজনকে জিজ্ঞাসা করলেন তাদের মধ্যে কেউ ঐ মৃত লোকটিকে কোনোদিন ইসলামের কোনো কাজ করতে দেখেছেন কিনা তখন ঐ একমাত্র লোক ছাড়া আর কেউ কিছু বলতে পারলেন না। বিশ্বনবী বলেছিলেন ইসলামের কোনো কাজ, শব্দ ব্যবহার করেছিলেন- আমলে ইসলাম। ইসলামের আমল অবশ্যই নামাজ, যাকাত, হজ্ব, রোজা ইত্যাদি আরও বহুবিধ ফরজ, ওয়াজেব, সুন্নত, নফল ইত্যাদি। একটি দুশ্চরিত্র ঘৃণিত ডাকাত যাকে কেউ কোনোদিন কোনো এবাদত করতে দেখে নি, শুধুমাত্র জেহাদে যেয়ে অর্ধেক রাত্রি মুসলিম শিবির পাহারা দেয়ার জন্যই আল্লাহর রসুল প্রকাশ্যে ঘোষণা দিলেন যে ঐ লোক জান্নাতী এবং তিনি স্বয়ং সে ব্যাপারে সাক্ষী। কেন? এই জন্য যে, মানব জীবনের সমস্ত অন্যায় অবিচার মুছে ফেলে, আল্লাহকে ইবলিসের চ্যালেঞ্জে জয়ী করাবার জন্য সংগ্রামে নেমেছিলেন, ঐ লোকটি তাদের সঙ্গে ছিলেন এবং অর্ধেক রাত্রি ঐ যোদ্ধাদের শিবির পাহারা দেওয়ার মত সামান্য কাজ করেছিলেন। অতএব, লোকটির তাকওয়ার অভাব থাকলেও তার হেদায়াত অর্থাৎ পথ ভুল ছিল না, সেটা সঠিক ছিল।
নুবয়্যত শেষ হয়ে গেছে। এই উল্টো পথে চলা জাতিকে আবার উল্টিয়ে সঠিক পথে কে আনবে? শেষনবী (দ.) বলে গেছেন একজন মাহদী আসবেন ঐ কাজ করার জন্য। মাহদী শব্দটি এসেছে হেদায়াত থেকে- যিনি হেদায়াত প্রাপ্ত এবং হেদায়াতকারী; সত্যপথপ্রাপ্ত এবং সত্যপথ প্রদর্শনকারী। শেষনবী (দ.) ভবিষ্যতের সেই মানুষটির উপাধি ও বিশেষণে বললেন ‘মাহদী’ তিনি বললেন না যে মুত্তাকি আসবেন। কারণ মুত্তাকি আমরা যথেষ্ট, একেবারে চুলচেরা ব্যাপারেও আমরা প্রচণ্ড মুত্তাকি। আমাদের নামাজ, রোজা, হজ্ব¡, যাকাত, দাড়ি, মোচ, পাগড়ি, পাজামা, খাওয়া-দাওয়া, তসবিহ যিকরে ভুল ধরে কার সাধ্য? কিন্তু চলছি সেরাতুল মোস্তাকীমের, দীনুল কাইয়্যেমার ঠিক বিপরীত দিকে, সংগ্রামের বিপরীত দিকে, গর্তের দিকে, পলায়নের দিকে, জাহান্নামের ভয়াবহ আযাবের দিকে। যিনি আমাদের এই জাহান্নামের দিকে গতি উল্টিয়ে আবার জান্নাতের দিকে করবেন অর্থাৎ হেদায়াত করবেন তাঁর উপাধি, বিশেষণ হচ্ছে মাহদী (আ.)।
পথ যদি ভুল হয় তাহলে গন্তব্যে কখনো পৌঁছানো যাবে না। এই সঠিক পথই হলো হেদায়াহ। আজ ইসলামের নাম করে বহুজন বহুভাবে আমল করছে। কিন্তু পথ ভুল হওয়ার কারণে সেই সব আমল ব্যর্থতায় পর্যবসিত হচ্ছে। এজন্যই মহানবী (সা.) বলেছিলেন, সময় আসবে যখন মসজিদসমূহ জাঁকজমকপূর্ণ ও লোকে লোকারণ্য হবে কিন্তু সেখানে হেদায়াত থাকবে না।