জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ, সাম্প্রদায়িকতা ও মাদকের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে আলোচনা সভা করেছে মানবতার কল্যাণে নিবেদিত অরাজনৈতিক আন্দোলন হেযবুত তওহীদ। গত ০৮ মার্চ ২০১৯ তারিখে রাজধানীর মিরপুরের পল্লবী এলাকার আব্বাস উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিকেল তিনটা ৩০ মিনিটে মুসলিম ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ’র চেয়ারম্যান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা বিচারপতি ছিদ্দিকুর রহমান অনুষ্ঠানটি ফিতা কেটে উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী সোসাইটির চেয়ারম্যান, মেকদাদ-মেহরাদ এগ্রো লিমিটেড’র চেয়ারম্যান ও হেযবুত তওহীদের এমাম হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- হেযবুত তওহীদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আলী হোসেন, ঢাকা মহানগর সভাপতি মো. শরিফুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক ও দৈনিক বজ্রশক্তির প্রকাশক ও সম্পাদক এস এম শামসুল হুদা, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক উম্মুত তিজান মাখদুমা পন্নী।
বিচারপতি ছিদ্দিকুর রহমান মিয়া তার উদ্বোধনী বক্তব্যে বলেন, ১৯৭১ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমরা মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানি হানাদারদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম এবং দেশকে শত্রুমুক্ত করেছিলাম। সেই মহান সংগ্রামের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল, যেন বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক ভূখ- হিসেবে গড়ে ওঠে। সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ, অন্যায়-অবিচার মুক্ত একটি স্বাধীন দেশের স্বপ্ন দেখেছিলাম আমরা। তিনি জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদের কথা উল্লেখ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স অবস্থান নিয়েছেন। হেযবুত তওহীদও জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী কাজ করে যাচ্ছে। আমরা আশা করবো দেশের সর্বস্তরের মানুষ হেযবুত তওহীদের সাথে একাত্ম হয়ে একটি সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলবে।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন মিরপুর থানা হেযবুত তওহীদের সভাপতি মো. আব্দুল হক বাবুল। তিনি বলেন, আল্লাহ প্রেরিত সর্বশেষ ধর্ম ইসলামে বিগত ১৪শ’ বছরে বহু বিকৃতি প্রবেশ করেছে। জঙ্গিবাদ, উগ্রবাদ তেমনই কিছু বিকৃতি ছাড়া কিছুই নয়। এ সমস্ত বিকৃতির বিরুদ্ধে জাতিকে স্রষ্টার সার্বভৌমত্বের ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ করতে হেযবুত তওহীদ কাজ করছে। এ মহতী কাজে সকলের সহযোগিতা ও অংশগ্রহণ প্রয়োজন।
মুখ্য আলোচকের বক্তব্যে হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম বলেন, পৃথিবীতে মুসলিম জাতিকে ধ্বংস করার জন্য সাম্রাজ্যবাদী অস্ত্র ব্যবসায়ীরা মুসলিমদেরকে জঙ্গি বলে আখ্যায়িত করে। এরপর তারা মুসলিম ভূ-খণ্ডগুলো দখল করে নেয়। কিন্তু বাংলার মাটিতে হেযবুত তওহীদ রয়েছে, ইনশাল্লাহ বাংলাকে ইরাক, আফগানিস্তান, ফিলিস্তিন, সিরিয়া হতে দেবো না। তিনি হেযবুত তওহীদের কার্যক্রম সম্পর্কে বলেন, বিগত ২২ বছর আমরা সারাদেশে জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদ সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে নিজেদের অর্থ ও শ্রম ব্যয় করে কাজ করেছি। কেউ কোনো প্রমাণ দিতে পারবে না, আমরা একটি অন্যায় করেছি বা দেশের কোনো আইন ভঙ্গ করেছি। এটি আমাদের কথা নয়, এটি সরকারের শক্তিশালী গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন। তিনি আরো বলেন, হেযবুত তওহীদ কোনো অন্যায় করেনি, কিন্তু যারা হেযবুত তওহীদের বিরুদ্ধে অন্যায়ে লিপ্ত তাদের প্রতিহত করা আমাদের ন্যায়সঙ্গত অধিকার। অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে হেযবুত তওহীদের ইমাম বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।