হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম:
আমরা আজকে সত্যের দাওয়াত দিচ্ছি। কিন্তু একটা সময় ছিল আমরা সত্য জানতাম না। এমামুয্যামানের মাধ্যমে আমরা সত্যের সন্ধান পেয়েছি। তাঁর আহ্বানে ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। আমি যখন ঐক্যবদ্ধ হলাম আমার বক্তব্য না শুনেই অনেকে নানান প্রশ্ন করতে লাগল, তিরস্কার করতে লাগল। আমি বললাম, ‘তোমরা আমাকে ভুল বুঝ না। মাথা ঠান্ডা করে আমার কথা শোনো। আজকে তোমাদের সমাজ, জাতি অন্যায়, অবিচার, অশান্তিতে ডুবে আছে তার কারণ তোমরা আল্লাহ-রসুলের প্রকৃত ইসলামে নেই। তোমরা নামাজ পড়ে, রোজা রেখে, হজ্ব করে আমল করে যাচ্ছ, কিন্তু তোমাদের ঈমান নাই। আল্লাহর অস্তিত্বে তোমাদের অগাধ বিশ্বাস আছে, এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু আল্লাহর অস্তিত্বে বিশ্বাস করাই তো ঈমান নয়। ঈমান হচ্ছে আল্লাহর তওহীদের ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ থাকা। আমরা তওহীদে নেই। হেযবুত তওহীদ মানুষকে তওহীদের দিকে আহ্বান করে যাচ্ছে। কাজেই আমাকে ভুল বুঝো না।’
আমি আরও বললাম, আপনারা যারা ধর্মের নামে বিনিময় নিচ্ছেন, মানুষের বাড়িতে দাওয়াত খেয়ে বেড়াচ্ছেন, ওয়াজ করে টাকা কামাই করছেন, কোর’আন খতম দিয়ে টাকা নিচ্ছেন, মিলাদ পড়িয়ে টাকা কামাচ্ছেন- এগুলো হারাম। দ্বীনের কাজের বিনিময় হয় না। ইসলাম নষ্ট হবার মেইন কারণ এগুলো। এই কথা বলার সাথে সাথে অনেকের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ল।
আমি জানতাম একটা পরীক্ষা আমার জীবনে আসবে। আগুনের টুকরায় হাত দিলাম কিন্তু হাত পুড়ল না- এটা হতে পারে? যে ঈমানের ঘোষণা দেওয়ার কারণে বেলাল, আম্মারদের (রা.) বুকে পাথর চাপিয়ে রাখা হলো, অকথ্য নির্যাতন চালানো হলো সেই একই ঈমানের ঘোষণা দিয়ে আমি ধর্মব্যবসায়ীদের কাছ থেকে আদর ভালোবাসা আশা করতে পারি না। অবশ্যই পরীক্ষা আসবে। কিন্তু সেই পরীক্ষা যে এত ভয়াবহ হবে তা কল্পনাও করতে পারি নাই। যেইনা তওহীদের ঘোষণা দিলাম শুরু হলো অপপ্রচার। মিথ্যাচারগুলো কে শুরু করল, কে তৈরি করল তার হদিস পাওয়া গেল না। কিন্তু মিথ্যাচারগুলো শুনে আমরা বারবার অবাক হই। বলা হলো- হেযবুত তওহীদে গেলে সিল মেরে দেওয়া হয়। তাদের কোর’আন নব্বই পারা। তিরিশ পারা প্রচলিত কোর’আন, বাকি ষাট পারা নাকি আমাদের উপরে নাজেল হয়েছে। আরও মিথ্যাচার করা হলো- আমরা নাকি কালো কাপড় দিয়ে মাটি দেই। আমরা নাকি পূর্ব দিকে নামাজ পড়ি। এমন এমন জঘন্য মিথ্যা। আমাদের নাকি বিয়ে সাদীর দরকার হয় না। মসজিদে মসজিদে ওয়াজ করে মানুষকে বিভ্রান্ত করা শুরু হলো। মুসল্লিদেরকে বলা হলো- সেলিম যে এত ইসলামের কথা বলে, কীভাবে বলে? সে তো মাদ্রাসায় পড়ে নাই। তার মানে তাকে এসব শেখায় খ্রিস্টানরা! কী জঘন্য মিথ্যাচার! সাধারণ ধর্মবিশ্বাসী মানুষ সেই মিথ্যাচারই বিশ্বাস করল। কেউ আমার কাছে আসলো না, যাচাই করে দেখল না। তাদেরকে শেখানো হলো হেযবুত তওহীদের সদস্যদেরকে প্রতিরোধ করা সবার ঈমানী কর্তব্য। সেই ঈমানের দাবি পূরণ করতে গিয়ে তারা বারবার আমার বাড়িতে হামলা চালাল। বাড়িঘর ভাঙচুর করল। লুটপাট করল। আমার দুইজন ভাইকে জবাই করে হত্যা করল। অনেককে আহত ও পঙ্গু করল। আমরা আমাদের বক্তব্যটা উপস্থাপনই করতে পারলাম না।
পরে যখন তারা হেযবুত তওহীদকে সম্যকভাবে জানতে পারল তখন আফসোস করতে লাগল। মামলার আসামীরা এসে কান্নাকাটি করতে থাকে- আমরা কিছু বুঝি নাই। আমরা না বুঝে প্রতারিত হয়েছে। পাপ করেছি। আপনি আমাদেরকে ক্ষমা করে দেন ইত্যাদি। কিন্তু তখন আফসোস করে কী হবে, ঘটনা তো ঘটে গেছে। ধর্মব্যবসায়ীরা তাদের চক্রান্ত সফল করে ফেলেছে।
আপনারা জানেন ২০১২ সালে মাননীয় এমামুয্যামান জনাব মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নী ইন্তেকাল করেন। এই আকস্মিক ঘটনার জন্য আমরা মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না। আমরা কল্পনাও করতে পারি নাই এত দ্রুত এমামুয্যামান আমাদের ছেড়ে চলে যাবেন। আমরা ভেবেছি- তাঁর মাধ্যমে আমরা সত্য পেয়েছি, সেই সত্য প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত তিনি আমাদের মাঝে থাকবেন। কিন্তু আল্লাহর অভিপ্রায় ছিল ভিন্ন। উনি যখন ইন্তেকাল করেন তখন বয়স ছিয়াশী। কঠিন একটা অসুখে ইন্তেকাল করলেন। চলে যাবার ঘটনাটি বলি আপনাদেরকে।
এমামুয্যামান অনেক অসুস্থ। সবাই খুব উদ্বিগ্ন। কী হতে যাচ্ছে কেউ জানে না। ইন্তেকালের কিছুক্ষণ আগে আমার ডাক পড়ল। একজন এসে বললেন, এমামুয্যামান আপনাকে ডাকছেন। আমি লাব্বাইক বলে দাঁড়ালাম। দেখলাম এমামুয্যামান সোজা হয়ে বসলেন। তিনি অত্যন্ত শক্ত-সামর্থ্য মানুষ ছিলেন। শারীরিক, মানসিক, আত্মিক সবদিক দিয়েই। শত বিপদও তাকে টলাতে পারত না। তিনি সোজা হয়ে বসে আমাকে বললেন, আন্দোলনের খবর কী? আমি বললাম, আলহামদুলিল্লাহ এমামুয্যামান, সবকিছু ঠিকমত চলছে। তিনি বললেন, হ্যাঁ, সব যেন ঠিকমত চলে। আর শোনো- ‘সংগ্রাম চলবে। সংগ্রাম যেন বন্ধ না হয়।’ জবাবে আমি বললাম, আসমাউ ওয়া আত্তাবিয়্যু অর্থাৎ ‘শুনলাম এবং পালন করছি।’ তারপর তিনি তাঁর স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে বললেন, আমার যা কিছু আছে সবকিছু আমি আল্লাহর রাস্তায় দিলাম।
আমি চিন্তাও করতে পারি নাই এটাই তাঁর শেষ নির্দেশ হবে। এরপর আর কোনো কথা বলেন নাই তিনি। আসলে তিনি দায়িত্ব হস্তান্তর করে দিলেন। আল্লাহ যে দায়িত্ব হস্তান্তর প্রক্রিয়া এইভাবে রাখলেন আমি প্রথমে বুঝতে পারি নি। আমরা অনেক চেষ্টা করলাম উনার শ্বাস-প্রশাস যেন ফিরে আসে। আশা করে থাকলাম। কিন্তু ডাক্তার এসে বললেন, উনি চলে গেছেন। জানাজা ও দাফন হলো টাঙ্গাইলের গড়াইতে। শত শত ভাইবোন কান্নাকাটি করলেন। প্রিয় নেতাকে হারিয়ে সবার দিশেহারা অবস্থা।
এরপর আমার কাছে দায়িত্ব আসল। এমামুয্যামানের নির্দেশ ছিল সংগ্রাম থামবে না, আল্লাহর রহমে একদিনের জন্যও সংগ্রাম থামে নাই। একটা কথা সবাই ভালোভাবে বুঝে নেবেন, কারো মস্তিষ্ক দিয়ে বিচার-বিবেচনা করে হেযবুত তওহীদ চলে না। হেযবুত তওহীদ পরিচালনা করেন আল্লাহ। কাজেই পৃথিবীর কোনো শক্তি নাই যে হেযবুত তওহীদের সামনে দাঁড়ায়। আল্লাহ মোজেজা অর্থাৎ অলৌকিক ঘটনার মাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছেন সারা পৃথিবীতে হেযবুত তওহীদ দিয়ে সত্য প্রতিষ্ঠিত হবে। দাজ্জাল ধ্বংস হবে। কাজেই হেযবুত তওহীদের ধ্বংস নাই, পরাজয় নাই, মৃত্যু নাই। এবং যদি আপনারা এমামের, আমীরের আনুগত্য করতে পারেন তাহলে আপনাদের কোনো ভুল নাই। কেন ভুল নাই জানেন? আল্লাহ সুরা নিসার ৫৯ নম্বর আয়াতে বলেছেন, ‘হে মো’মেনরা, তোমরা আল্লাহর আনুগত্য কর, রসুলের আনুগত্য কর এবং আনুগত্য কর তোমাদের আমীরের।’ কাজেই আপনারা আমীরের আনুগত্য করবেন। আমীর যে নির্দেশ দেন তা এমামের পক্ষ থেকে আসে। আর এমাম যে নির্দেশ দেন তা আল্লাহর ফয়সালা মোতাবেকই হয়। আল্লাহ কি ভুল নির্দেশ দিতে পারেন? কখনও না। কাজেই আপনারা আনুগত্য করবেন শর্তহীন, প্রশ্নহীন, দ্বিধাহীন চিত্তে। মনে সন্দেহ রাখবেন না। কেননা সন্দেহ মোনাফেকী। যারা সন্দেহ করবে ইবলিশ তাদেরকে ছিনিয়ে নেবে। ইবলিশ তো সিরাতাল মুস্তাকীমের চারপাশে ওঁত পেতে আছে। আমরা এমন একটি সময়ে আছি যখন চারদিকে মিথ্যার জয়জয়কার। সারা পৃথিবীতে এখন চলছে দাজ্জালের রাজত্ব। এই অবস্থায় আপনারা একদল মানুষ দাঁড়িয়েছেন সত্য নিয়ে। কাজেই শত্রুর অভাব হবে না। ঘরে শত্রু বাইরে শত্রু। সর্বাত্মকভাবে চেষ্টা চলবে আপনাকে সেরাতুল মোস্তাকীম থেকে সরানোর জন্য। আপনারা অটল থাকলে ভয় নেই।
আপনাদের মধ্যে যারা মুরুব্বি তাদের কাজ হবে তরুণদের উৎসাহ দেওয়া, কোনো সমস্যা সৃষ্টি হলে সুন্দরভাবে মীমাংসা করে দেওয়া। আর তরুণদেরকে বলি, তোমরা এখন সুস্থ, সবল, রক্ত গরম, তোমাদের প্রাণের শক্তি অফূরন্ত। এই অবস্থা কিন্তু চিরকাল থাকবে না। এই অফূরন্ত জীবনীশক্তিও এক সময় নিঃশেষ হয়ে পড়বে, রক্ত ঠান্ডা হবে। কাজেই এই সময়টিকে তোমরা যতটা সম্ভব মানবতার কল্যাণে সত্য প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে কাজে লাগাও। এখানেই তোমাদের সফলতা।
আর বোনদেরকে বলতে চাই- আপনারা যে এতক্ষণ আমার কথা শুনলেন, আশা করি বুঝতে পেরেছেন। আল্লাহ-রসুলের ইসলাম কিন্তু আজ আর নাই। রসুলের যুগে মেয়েরা গৃহবন্দী ছিলেন না। তারা পুরুষদের মতই জাতির জাতীয়, সামাজিক, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করতেন। যুদ্ধ করেছেন মেয়েরা। বাজার দেখাশোনা করেছেন মেয়েরা। শহীদদের দাফন করেছেন মেয়েরা। হাসপাতাল পরিচালনা করেছেন মেয়েরা। জুমার নামাজে অংশ নিয়েছেন মেয়েরা। সকল কাজে মেয়েদের অংশগ্রহণ ছিল। অথচ অর্ধেক জনগোষ্ঠীকে আজকে ঘরের মধ্যে বন্দী করে রাখা হয়েছে। তাদের মুখে প্রতিবাদের ভাষা নেই, শরীরে শক্তি নেই। কে তাদের এমন স্থবির করে দিল? আপনারা নিজেকে পাল্টাবেন। মনে রাখবেন ইসলামে নারী-পুরুষ ভেদাভেদ নাই। হ্যাঁ, পুরুষ হিসেবে যেমন আলাদা কিছু দায়িত্ব আছে, নারী হিসেবেও কিছু আলাদা দায়িত্ব আছে। সেটা ভিন্ন কথা। তার মানে এই না যে, আপনি দুনিয়ার খবর রাখবেন না, জাতির খবর রাখবেন না, ঘরের চার দেওয়ালে আবদ্ধ হয়ে থাকবেন। আপনার চিন্তাভাবনাও আবদ্ধ হয়ে থাকবে। আজকে জেনে রাখুন- নারী, পুরুষ, বৃদ্ধ, বৃদ্ধা, তরুণ, তরুণী নির্বিশেষে সমস্ত জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারলে পৃথিবীর কোনো শক্তি নাই আপনাদেরকে পরাজিত করতে পারে। সেই ঐক্য কেমন ঐক্য? বাঁশের মত, লোহার মত, কাঠের মত? কখনই না। সীসাগলানো প্রাচীরের ন্যায় ঐক্যবদ্ধ হবেন। যেন কেউ সুঁইও ঢোকাতে না পারে। মো’মেনরা ভাই ভাই- এটা আল্লাহ বলেছেন। আর রসুল বলেছেন তারা একটি দেহের ন্যায়। এর কোনো অংশ ব্যথা পেলে সারা দেহে ব্যথা অনুভূত হয়। আমাদেরকে এরকম হতে হবে। আমরা হব ভাই ভাই। রক্তের সম্পর্কের চেয়েও আপন। যদি কলেমাতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ভাই ভাই হতে পারি তাতে লাভ হবে দুইটা। দেশ বাঁচবে, ধর্ম বাঁচবে।
এখানে বলে রাখি মাটি আর ধর্ম কিন্তু আলাদা না। আপনার যদি মাটি না থাকে তাহলে মসজিদ বানাবেন কোথায়, মন্দির বানাবেন কোথায়? খাবেন কী, পরবেন কী? আজকে পৃথিবীর দিকে তাকিয়ে দেখুন- যার মাটি নাই তার কোনো ধর্মও নাই। আমাদের নবী যখন মদিনায় আসলেন তিনি দেখলেন মদিনা তার বসবাসের জায়গা। সাহাবীদের টিকে থাকার একমাত্র সম্বল। রিজিকের জায়গা। সেই মদিনাকে রক্ষা করার জন্য তিনি কী না করেছেন? পেটে পাথর বেঁধে লড়াই করেছেন। যুদ্ধ করেছেন, রক্তাক্ত হয়েছেন। সে কারণেই আজকে আমরা মুসলমান পরিচয় দিতে পারি। বাংলার মাটিতে হেযবুত তওহীদের জন্ম হয়েছে। এই জমিতে সত্য এসেছে। এই জমিতে আমাদের পূর্বপুরুষের অস্থিমজ্জা মিশে আছে। এখানকার আলো বাতাসে আমরা বড় হয়েছি। এখন এই মাটিকে রক্ষা করা এই তওহীদকে রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। সত্য প্রতিষ্ঠার পূর্বশর্ত এখন আমাদের এই মাটিকে যাবতীয় শয়তানী শক্তির হাত থেকে রক্ষা করা।
আপনারা খবর রাখেন না? বাতাস কোনদিকে আসতেছে কোনদিকে যাবে খবর রাখতে হবে। বিবিসি বলেছে, রোহিঙ্গাদেরকে তাড়িয়ে দেওয়ার পর হাজার হাজার একর জমির ধান কেটে নিয়ে যাচ্ছে, বিপুল ব্যবসার বাজার বসেছে। বহুজাতিক কোম্পানিগুলো খুঁটি গেড়ে বসেছে। আর রোহিঙ্গারা থালাবাটি নিয়ে লাইন ধরে ত্রাণ সংগ্রহ করছে। একজন কান্নাকাটি করছে। তাকে বলা হলো ভাই আপনি কান্না করছেন কেন? ত্রাণ নিবেন না? তিনি বললেন, ভাই আমি রাখাইনের একটি এলাকার চেয়ারম্যান ছিলাম। গতকালকেও আমি লোকজনকে ত্রাণ দিয়েছি। আর আজকে আমি নিজেই ত্রাণের থালিবাটি হাতে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। তাদের মাটি হারিয়েছে, তাদের ইজ্জত হারিয়েছে, তাদের সম্মান হারিয়েছে। আমাদের দেশ নিয়েও তেমন ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। কাজেই চোখ-কান বন্ধ করে রাখলে চলবে না।
সাদ্দাম হোসেন ইরাক রক্ষা করতে পারে নাই, বাদশাহ জহির আফগানিস্তান রক্ষা করতে পারে নাই, গাদ্দাফি লিবিয়া রক্ষা করতে পারে নাই, আসাদ সিরিয়া রক্ষা করতে পারে নাই। এজন্যই জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। মিয়ানমার, লিবিয়া, ইরাক, আফগানিস্তান, ইয়েমেন উদাহরণ।
যারা আজকে এই নিঃস্বার্থ আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছেন তাদেরকে বলব- আপনারা কোনো রকম সন্দেহ করবেন না। কোনো সন্দেহ জাগলে, প্রশ্ন এলে আমাদেরকে বলবেন। অবশ্যই যথাযথ উত্তর পাবেন। একটা কথা সারাজীবন মনে রাখবেন যে, আসমান-জমিনে তওহীদের চাইতে বড় সত্য আর নাই। পথভ্রষ্ট মার খাওয়া এই জাতিকে রক্ষা করতে পারে কেবল তওহীদ। আপনাকে জান্নাতে নিবে কেবল তওহীদ।