হেযবুত তওহীদ

মানবতার কল্যাণে নিবেদিত

ভাগ্য পরিবর্তনের পূর্বশর্ত – প্রচেষ্টা

হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম

পৃথিবীর যে অংশটিতে আমরা বসবাস করি অর্থাৎ ইরান থেকে শুরু করে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে প্রতি বছর ১৫ শাবানকে একটি আধ্যাত্মিক রজনী হিসাবে পালন করা হয়। বলা হয়ে থাকে এই রজনীতে আল্লাহ তাঁর প্রত্যেক বান্দার পরবর্তী বছরের ভাগ্য লিপিবদ্ধ করেন। যেহেতু কোর’আন হাদিসে এই দিবস সম্পর্কে সন্দেহাতীতভাবে কিছু পাওয়া যায় না, তাই লায়লাতুল বরাত নিয়ে অনেক বিতর্ক রয়েছে। আমাদের আলেম সমাজের কাছে শবে বরাত একটি আকর্ষণীয় বিতর্কের বিষয়। এ নিয়ে তাদের হাজার হাজার ওয়াজ, ফতোয়া ও মাসলা-মাসায়েল রয়েছে।

আল্লাহ কি প্রতি বছর তাঁর বান্দার ভাগ্য লিপিবদ্ধ করেন, নাকি প্রত্যেক মানুষের ভাগ্য তার জন্মের আগেই নির্দিষ্ট করা হয় এ জাতীয় অনর্থক ও অন্তহীন বিতর্কের দিকে আমরা যাব না। কারণ আল্লাহ পবিত্র কোর’আনে সুস্পষ্টভাষায় বলেছেন, আল্লাহ অবশ্যই কোনো জাতির অবস্থা পরিবর্তন করেন না, যতক্ষণ না তারা নিজের অবস্থা নিজে পরিবর্তন করে (সুরা রাদ- ১১)।

ইসলামের একটি নাম দীনুল ফিতারাত অর্থাৎ প্রাকৃতিক জীবনব্যবস্থা। আল্লাহ কিছু ঐশী নিয়ম প্রকৃতির মধ্যে প্রতিষ্ঠিত করে দিয়েছেন। এই প্রাকৃতিক নিয়মেরই একটি হচ্ছে, কর্মফল। মানুষ তার কর্ম অনুযায়ী ফল লাভ করে। সে কোনোভাবেই কৃতকর্মের ফল এড়াতে পারে না। একইভাবে কেবল দোয়া দিয়ে কোনো কাঙ্ক্ষিত সফলতা অর্জিত হয় না। দোয়া-প্রার্থনা মানুষকে আধ্যাত্মিকভাবে অনুপ্রাণিত করে, কিন্তু বাস্তব্য প্রচেষ্টা ছাড়া কোনোভাবেই আল্লাহর সহায়তা সে লাভ করবে না। আল্লাহর রসুল ও তাঁর সাহাবিদেরকে এই জাতির ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য সমগ্র জীবন কঠোর সংগ্রাম করতে হয়েছে, জীবন-সম্পদ দিতে হয়েছে, রক্ত ও ঘাম ঝরাতে হয়েছে। তার বিনিময়ে আরবের অবজ্ঞাত বেদুইন পরস্পর দাঙ্গা-হাঙ্গামায় বিজড়িত জাতিটি বিশ্বের সেরা জাতি হয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছিল।

হেযবুত তওহীদের কাছে লায়লাতুল বরাত একটি বিশেষ কারণে গুরুত্বপূর্ণ। সেটা হচ্ছে, এই রাতেই ধরাপৃষ্ঠে আবির্ভূত হন যামানার এমাম, এমামুয্যামান জনাব মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নী। আল্লাহ পাক তাঁকে প্রকৃত ইসলামের জ্ঞান দান করেছেন যে জ্ঞানকে বহন করে মানবজাতির কাছে পৌঁছে দিচ্ছে হেযবুত তওহীদ। একটি বিশেষ জ্ঞান, একটি আদর্শ সমগ্র মানবজাতিকে, মানব ইতিহাসকে পাল্টে দিতে পারে। মাননীয় এমামুয্যামানের আগমন তাই কেবল হেযবুত তওহীদের জন্যই সৌভাগ্যের কারণ নয়, ইনশা’আল্লাহ তাঁর রেখে যাওয়া আদর্শ ও জ্ঞান সমগ্র মানবজাতির ভাগ্যকে তথা পরবর্তী ইতিহাসকে পাল্টে দিবে অচিরেই। তিনিই হেযবুত তওহীদকে শিক্ষা দিয়ে গেছেন কীভাবে কঠোর সংগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের অবস্থা ও ভাগ্যকে পরিবর্তন করতে হয়। আজকের এই মহিমান্বিত দিনে আমরা তাঁকে পরম শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার সঙ্গে স্মরণ করছি। তিনি প্রত্যক্ষ দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছেন কিন্তু আমাদের অস্তিত্বের প্রতিটি কণায় মিশে আছেন, প্রতি মুহূর্তে আমরা তাঁকে আমাদের হৃদয়ের গভীরে ধারণ করি, অনুভব করি।

লেখাটি শেয়ার করুন আপনার প্রিয়জনের সাথে

Email
Facebook
Twitter
Skype
WhatsApp
সার্চ করুন

যুক্ত হোন আমাদের ফেসবুক পেজের সাথে...