রিয়াদুল হাসান পর্ব: ০৬
জঙ্গিবাদের সমাধান?
গত দেড়যুগ ধরে জঙ্গিবাদ সারা বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত বিষয়। এ বিষয়টিকে কেন্দ্র করে রক্তের বন্যায় লাল হয়ে গেছে পৃথিবীর মাটি, ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে আফগানিস্তান, ইরাক। পাকিস্তান, সিরিয়া, নাইজেরিয়াসহ বিশ্বের প্রায় সকল মোসলেম দেশেই জ্বলছে জঙ্গিবাদ নামক সহিংসতার আগুন। কেবল ইরাকেই মারা গেছে ১০ লক্ষ আদম সন্তান। জঙ্গিদেরকে যতই জোর করে দমনের চেষ্টা করা হচ্ছে, ফাঁসি দেওয়া হচ্ছে ততই তাদের উগ্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে, তারা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছে, এমন কি তারা আত্মঘাতীও হচ্ছে। এভাবে দিন কে দিন বেড়েই চলেছে ধর্মের নামে সহিংসতা আর জনগণের দুর্ভোগ কিন্তু সমাধান আসছে না। দীর্ঘ দেড় যুগের এত অপূরণীয় ক্ষয়ক্ষতির পর অবশ্য এখন জ্ঞানী-গুণীরা বুঝতে সক্ষম হচ্ছেন যে, শুধুমাত্র শক্তিপ্রয়োগে, সামরিক কায়দায় জঙ্গিবাদ দমন করা সম্ভব নয়; কারণ জঙ্গিবাদ কোন সাধারণ ও বিচ্ছিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নয়, এটি একটি বিকৃত আদর্শ। এই আদর্শ যতদিন টিকে থাকবে, জঙ্গিবাদও ততদিন টিকে থাকবে। তাই একে মোকাবেলাও করতে হবে আদর্শ দিয়েই। ২৮ আগস্ট ’১৩ তারিখ একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল “বাংলাদেশে জঙ্গি তৎপরতা”-র উপর একটি অনুষ্ঠানে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, “জঙ্গি কর্মকাণ্ডের পেছনে একটি আদর্শ থাকে। আদর্শকে আদর্শ দিয়েই মোকাবেলা করতে হবে।” এয়ার কমোডর (অব.) ইশফাক ইলাহী বলেন, “জঙ্গিবাদ দূরীকরণে বাংলাদেশ সরকার যে পদক্ষেপ নিয়েছে তা যথেষ্ট নয়। কারণ জঙ্গিবাদ হচ্ছে একটি আদর্শগত যুদ্ধ। সে হিসেবে বাংলাদেশ সরকার এখনো কিছুই করে নি।”
অর্থাৎ তারা বোঝাতে চাইছেন যে, কোর’আন হাদিসের অপব্যাখ্যার মাধ্যমে জঙ্গিবাদ নামক যে ভুল মতবাদের সৃষ্টি হয়েছে সেই আদর্শিক যুদ্ধে জয়ী হতে হলে কোর’আন হাদিসের উক্ত বিষয়গুলির সঠিক ব্যাখ্যা মানুষকে জানাতে হবে। ঠিক এই কথাটিই কয়েকবছর পূর্বে বলেছিলেন যামানার এমাম জনাব মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নী। তিনি ২০০৯ সনে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি একটি চিঠি দিয়েছিলেন যেখানে তিনি সরকারকে আদর্শিক যুদ্ধের মাধ্যমে জঙ্গিদমনে সহায়তা করার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। কারণ এই আদর্শিক যুদ্ধে জঙ্গিদের পরাজিত করতে হলে তাদের আদর্শের বিপরীতে কোর’আন ও সুন্নাহ ভিত্তিক যে অলঙ্ঘনীয় যুক্তি ও প্রমাণ দরকার, সেই যুক্তি প্রমাণ আল্লাহ তাঁকে দান করেছেন।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রতি মাননীয় এমামুযযামানের প্রেরিত সেই চিঠি
বিসমিল্লাহির রহমানের রহিম
২২/০৪/২০০৯ ঈসায়ী
মাননীয়া,
প্রধানমন্ত্রী,
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার।
মহোদয়া,
যথাবিহীত সম্মান প্রদর্শনপূর্বক নিবেদন এই যে, বর্তমানে সারা বিশ্ব এক মহা সংকটকাল অতিক্রম করছে। সন্ত্রাসবাদ, অর্থনৈতিক মন্দা ইত্যাদি কারণে সমগ্র বিশ্ব চরম অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতার মধ্যে পতিত হয়েছে। বিশেষ করে ইসলামিক সন্ত্রাসবাদ প্রায় সমগ্র মোসলেম বিশ্বকে একটি যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে ঠেলে দিয়েছে। আমাদের দেশও এ সমস্যার বাইরে নয়। বিশ্বের ক্ষমতাধর রাষ্ট্রগুলি সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ মোকাবেলায় তারা শক্তিপ্রয়োগকে (Violence) নীতি হিসাবে গ্রহণ করেছে। কিন্তু সুদীর্ঘকাল আফগানিস্তান ও ইরাকে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার পরও এই পথে কাক্সিক্ষত সফলতা অর্জন করা সম্ভব হচ্ছে না; বরং সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে (War on terror) যে জয়ের ব্যাপারে তারা একসময় নিশ্চিত ছিল তা এখন প্রশ্নের সম্মুখীন। প্রশ্নটি হচ্ছে-
শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে সফলতা আসবে কি?
পৃথিবীর সর্ববৃহৎ পরাশক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র রাষ্ট্রগুলি তাদের বিশাল শক্তি, অর্থ ব্যয় করে বিশ্বময় সন্ত্রাস মোকাবেলায় ব্যর্থ হচ্ছে। তাদের নেতৃবৃন্দের বিবৃতি ও বক্তব্যের মধ্যেই তাদের ব্যর্থতার চিত্র ফুটে উঠছে। তাদের অধিকাংশই একমত যে, সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে জয়লাভ করা সম্ভব হবে না। সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে নেতৃত্বদানকারী যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা সম্প্রতি সি.বি.এস টেলিভিশনকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে অকপটে স্বীকার করেছেন যে, US Afghan plan must have Ôexit strategy’ যুক্তরাষ্ট্রকে আফগানিস্তান থেকে নিরাপদে চলে আসার পথ সুগম করতে হবে।১
একই মত প্রকাশ করেছেন আফগান যুদ্ধে নিয়োজিত ব্রিটিশ সেনা সর্বাধিনায়ক ব্রিগেডিয়ার মার্ক কার্লটন স্মিথ। তিনি বলেন যে, The Afghan war is un-winnable..অর্থাৎ-আফগান যুদ্ধে কোনভাবেই জেতা সম্ভব নয়।২ পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে নিয়োজিত যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিক রিচার্ড হলব্র“কও আফগান যুদ্ধের জয় সম্পর্কে একই মত প্রকাশ করেছেন-First of all, the victory, as defined in purely military terms, is not achievable অর্থাৎ প্রথম কথাই হচ্ছে, সামরিক পরিভাষায় জয় বলতে যা বোঝায় এখানে তা অর্জন করা সম্ভব নয়।৩ এ যুদ্ধে যৌথবাহিনীর সহায়ক শক্তি পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারীও বলেছেন,US failed to accomplish desired goals so far in Afghanistan অর্থাৎ আফগানিস্তানে কাক্সিক্ষত লক্ষ্য অর্জনে যুক্তরাষ্ট্র এখন পর্যন্ত ব্যর্থ হয়েছে।৪
শক্তিপ্রয়োগ করে সন্ত্রাসবাদ দমনের প্রচেষ্টা যে শুধু সফলই হচ্ছে না, তাই নয় বরং ইরাক, আফগানিস্তান, ভারত, পাকিস্তানসহ যেখানেই যত বেশী শক্তিপ্রয়োগ করা হয়েছে সেখানেই সন্ত্রাসীদের আগ্রাসন ও বেপরোয়া আক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং তাদের নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পোড়েছে। মার্কিন নেভাল পোস্টগ্রাজুয়েট স্কুলের সমর বিশেষজ্ঞ মি. আরকুইলা সন্ত্রাসী হামলার উত্তরোত্তর বৃদ্ধি সম্পর্কে বলেছেন যে, “It is most curious that the areas where we have military operations have the most attacks.” অর্থাৎ–এটা সাংঘাতিক অনুসন্ধানজ্ঞাপক বিষয় যে, যেখানেই আমরা সামরিক অভিযান চালিয়েছি সেখানেই আমাদের উপর সবচেয়ে বেশী হামলা করা হয়েছে।৫ গত দুই বছরেরও কম সময়ে পাকিস্তানে সন্ত্রাসী হামলায় ১৭০০ মানুষ নিহত হয়েছে।৬ বিগত কয়েকমাসে এ হামলার পরিমাণ আগের চেয়ে অনেক বেড়ে গেছে। পাশাপাশি যে সমস্যাটি সবচেয়ে বেশী সন্ত্রাসবিরোধীদেরকে নাজেহাল করে ফেলছে তা হলো আত্মঘাতী বোমা হামলা।
সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে প্রতিপক্ষকে দুর্বল করতে সর্বত্রই সন্ত্রাসীরা আত্মঘাতী হামলার কৌশল অবলম্বন করেছে। প্রায় প্রতিদিনই বিশ্বের কোথাও না কোথাও আত্মঘাতী বোমা হামলা চলেছেই। দিন দিন এ ধরণের হামলার তীব্রতা ও পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০০৩ থেকে এ বছরের ফেব্র“য়ারি পর্যন্ত শুধু এক ইরাকেই আত্মঘাতী বোমা হামলা হয়েছে মোট ১২৬০টিরও উপরে অর্থাৎ গড়ে প্রতি বছরে ২০৯টিরও বেশী। একই বছরে এ ধরণের হামলা হয়েছে সর্বোচ্চ ৪৭৮টি।৭ এ হামলাগুলি যে শুধুমাত্র তরুণরা করছে তা নয়। সব ধরণের মানুষ, বালক থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত সব বয়সের পুরুষ ও নারী নিজেদের শরীরে বাঁধা বোমা ফাটিয়ে জীবন বিসর্জন দিয়েছেন, এমনকি অনেক গর্ভবতী নারীও আত্মঘাতী হয়েছেন। সন্ত্রাসীদেরকে দমন করার জন্য যারা মরিয়া তাদের সবাই এখন একবাক্যে স্বীকার করছেন যে তাদের পক্ষে আত্মঘাতী হামলা বন্ধ করা সম্ভব নয়, নিয়ন্ত্রণ করাও সম্ভব নয়। কাবুলে নিয়োজিত ন্যাটো পরিচালিত International Security Assistance Force (ISAF) এর মুখপাত্র মেজর ল্যুক নিটিং বলেছেন, “It is simply impossible for lwa enforcement agencies to prevent suicide attacks since they could not be predicted and, therefore, not to be averted. ” অর্থাৎ আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলির পক্ষে আত্মঘাতী বোমা হামলা বন্ধ করা একেবারেই অসম্ভব। যেহেতু কখন হামলা হবে তা আগে থেকে কেউ বলতে পারে না, তাই এটি এড়ানোও সম্ভব নয়।৮
কল্পনাতীত ব্যয়:
গত প্রায় ৭/৮ বছর ধরে পরিচালিত সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে যে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় হচ্ছে তা আমাদের ধারণারও অনেক বাইরে। ২০০৮ সনে শুধু ইরাক যুদ্ধের পেছনে কেবল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি মাসে ১২ বিলিয়ন ডলার ব্যয় হয়েছে। এ যুদ্ধে তাদের এ যাবৎ ব্যয় হয়েছে মোট ৬,৪৯,৪৮,৪২,২৩,৩৫৮ ডলার অর্থাৎ প্রায় ৪,৫৪,৬৩,৮৯,৫৬,৩৫,০৬০ টাকা। প্রতি সেকেন্ডে ব্যয় হচ্ছে ৫,০০০ মার্কিন ডলার অর্থাৎ ৩,৫০,০০০ টাকা। প্রতি মার্কিন সৈন্যের জন্য এক বছরে খরচ হয় ৩,৯০,০০০ ডলার বা দুই কোটি তেহাত্তর লক্ষ টাকা (প্রতি মার্কিন ডলার ৭০ টাকা হিসাবে)।৯ আফগান যুদ্ধে ব্যয় হয়েছে এর চেয়ে আরো অনেক বেশী, কারণ সেখানে যুদ্ধ আরম্ভ হয়েছে তারও দুই বছর আগে। আজ সারা দুনিয়া যে ভয়াবহ অর্থনৈতিক মন্দার সম্মুখীন হয়েছে এ বিপুল অর্থব্যয় তার অন্যতম প্রধান কারণ।
সুতরাং সন্ত্রাসবিরোধী এ যুদ্ধের নেট ফল হচ্ছে–সর্বপ্রকার শক্তি নিয়োগ করে, অকল্পনীয় পরিমাণ অর্থ ব্যয় করেও সন্ত্রাসীদেরকে দমন তো করা যাচ্ছেই না বরং তাদের হামলা উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে এবং এ যুদ্ধের ব্যয় যোগাতে গিয়ে সারা বিশ্ব চরম অর্থনৈতিক মন্দার শিকার হয়েছে। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে মিডিয়াগুলিও নিরবচ্ছিন্ন প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছে না। ক্রমশই দেশে দেশে সন্ত্রাসবাদ বিস্তার লাভ করছে। ব্রিটেনের একটি স্কুলে ছাত্রদের মধ্যে পরিসংখ্যান চালিয়ে দেখা গেছে ২০০৮ সালের জুন মাসে সেখানে মাত্র ১০টি শিশুর সন্ত্রাসী হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। অথচ মাত্র ৯ মাস পরে এমন শিশুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০০ তে।১০ খোদ ব্রিটেনের যদি এই অবস্থা হয়ে থাকে তাহোলে মোসলেমপ্রধান দেশগুলির অবস্থা কি তা সহজেই অনুমান করা যায়।
এ দশকের শুরু থেকেই কতগুলি সংগঠন আমাদের দেশেও তাদের উগ্রবাদী ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম আরম্ভ করেছে। আজ পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বহু সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে, সারা দেশের প্রায় সবকটি জেলায় সন্ত্রাসীরা একযোগে সিরিজ বোমা বিষ্ফোরণ ঘটিয়েছে, অনেকগুলি আত্মঘাতী বোমা হামলাও সংঘটিত হয়েছে, অনেক নিরীহ মানুষ হতাহত হয়েছেন। আমাদের দেশেও তাদেরকে দমন করার জন্য পশ্চিমা বিশ্বের মত শক্তি প্রয়োগের নীতিই (Violence) গ্রহণ করা হয়েছে। সারাদেশ তন্ন তন্ন করে খুঁজে বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ ও অস্ত্রপাতি উদ্ধার করা হচ্ছে। সরকার বিপুল পরিমাণ অর্থ, শ্রম, সময় ব্যয় করে এবং মিডিয়ার নিরবচ্ছিন্ন প্রচারের মাধ্যমে প্রাণান্তকর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এই সন্ত্রাসী তৎপরতা বন্ধ করার জন্য, কিন্তু কিছুতেই বন্ধ করা যাচ্ছে না। কিছুদিন আগেও দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে অত্যাধুনিক সব আগ্নেয়াস্ত্রসহ বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে, এমন প্রায়ই হচ্ছে। শক্তিপ্রয়োগ করে চরমপন্থীদের দমন করার চেষ্টার ব্যর্থতা এখন এমন পর্যায়ে এসেছে যে পশ্চিমা শক্তিগুলির ও পাকিস্তানের ঐক্যবদ্ধ আক্রমণের পরও ১৩/০৪/২০০৯ তারিখে পাকিস্তানকে তালেবানদের সাথে শান্তিচুক্তিতে আসতে হয়েছে এবং পাকিস্তান সরকার সোয়াতে ইসলামী শরীয়াহ আইন চালুর অনুমোদন দিতে বাধ্য হয়েছে। এভাবে সারা পৃথিবীতেই সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় দমননীতি ও সামরিক অভিযানের ব্যর্থতা প্রমাণিত হবার পর সকলেই এখন বিকল্প পথ খুঁজছে।
প্রস্তাবনায় ব্যবহৃত তথ্যের সূত্রসমূহ:
১। বিবিসি ও এএফপি-র বরাত দিয়ে দৈনিক ইত্তেফাক ও The Daly Star ২৪ মার্চ, ২০০৯, পৃ: ১০
২। ১৪ মার্চ, ২০০৯, ইন্টারনেট, ww w.paktribune.com
৩। ডধংযরহমঃড়হ, ঋবনৎঁধৎু ১৮, ২০০৯ (অচ), The NewsHour (Internet)
৪। ANI, Islamabad থেকে ঞযব The Daily Star, 25, মার্চ, ২০০৯।
৫। ০১/০৫/২০০৭, ঘবি ণড়ৎশ ঞরসবং, ওহঃবৎহবঃ
৬। অঋচ, চঞও, চবংযধধিৎ এর বরাতে ঞযব উধরষু ঝঃধৎ-গধৎপয, ৩০, ২০০৯
৭। ডরপশরঢ়বফরধ, ২৩/৩/২০০৯.
৮। ইন্টারনেট,ww w.paktribune.com
৯। Internet- Iraq War Results & Statistics as of February 18, 2009
১০। তথ্যটি প্রদান করেছেন ব্রিটেনের পশ্চিম ইয়র্কশায়ারের পুলিশপ্রধান ও ব্রিটেনের সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রমের নেতৃত্বদানকারী কর্মকর্তাদের মধ্যে সবচেয়ে প্রবীন কর্মকর্তা স্যার নরম্যান বেটিসন (ব্রিটেনের পত্রিকা Independent-এর বরাত দিয়ে আমাদের সময়, ২৯ মার্চ, ২০০৯ ইং)।