সারকথা
চট্টগ্রাম, কোতোয়ালী থানার জিডি- ১১৫৬, তারিখ- ১৯/০৭/২০০৯ ইং, ধারা- ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৫৪।
সন্দিগ্ধ আসামী ১. জামাল উদ্দীন (৩৬) এবং
২. রফিকুল ইসলাম (২৬)
প্রকৃত ঘটনাঃ যামানার এমাম এমামুয্যামান জনাব মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নীর উক্ত অনুসারীত্রয় হেযবুত তওহীদ আন্দোলনের ধর্মীয় কার্যক্রমের বৈধতা ও স্বচ্ছতা সংক্রান্তে মহামান্য হাইকোর্ট প্রদত্ত আদেশ, বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার কর্মকর্তাগণ প্রদত্ত তদন্ত প্রতিবেদন এবং শুধুমাত্র সন্দেহের শিকার হয়ে হেযবুত তওহীদ সদস্য-সদস্যাদের নির্যাতন ও হয়রানীর সংক্ষিপ্ত তথ্য সুধী মহলের অবগতির জন্য আপনি জানেন কি শিরোনামের হ্যান্ডবিল বাংলাদেশের সকল দৈনিক পত্রিকার মধ্যে দেয়ার উদ্দেশ্যে ৪নং মোমিন রোডস্থ চেরাগী পাহাড় নামক স্থানে পৌঁছালে সেখানে উপস্থিত থাকা টহল পুলিশ হেযবুত তওহীদ সদস্যদের গ্রেফতার করে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে প্রকৃত সত্য তথ্য জেনে এবং অনুসন্ধানে অবৈধ কিছু না পেয়েও আটককৃতদের সন্দিগ্ধ আসামী হিসাবে আদালতে সোপর্দ করে। অথচ উক্ত হ্যান্ডবিলটিতে রাষ্ট্রীয় আইন শৃঙ্খলা পরিপন্থী হয় এরূপ একটি শব্দও ছিল না।
পুলিশ ফরোয়ার্ডি-এর বক্তব্যঃ ……….. গোপন সংবাদ পাই যে, ৪নং চোরাগী পাহাড় মোমিন রোডস্থ পূর্বকোন ডিষ্টিবিউটর অফিসের সামনে উল্লেখিত আসামীদ্বয় হেযবুত তওহীদ (প্রতিষ্ঠা- ১৯৯৫), প্রতিষ্ঠাতা ও এমাম মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নী নামীয় প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থা ও প্রশাসন বিরোধী লিফলেট বিভিন্ন পত্রিকার ভিতরে বিতরণ করিতেছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে যাইয়া তাহাদেরকে ধৃত করিয়া লিফলেট সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করিলে কোন সন্তোস জনক জবাব দিতে পারে নাই। ধৃত আসামীদের আচার-আচরণ ও কথাবার্তায় জঙ্গি সংগঠনের সহিত জড়িত আছে মর্মে সন্দেহ করা হইতেছে এবং কোন ধর্তব্য অপরাধ সংঘটনের জন্য তথায় অবস্থান করিতেছে বলিয়া সন্দেহ করা হইতেছে।
তদন্ত প্রতিবেদনঃ …………. আসামীদ্বয় “হেযবুত তওহীদ”এর সাথে জড়িত থাকিলেও কোন জঙ্গি সংগঠনের সহিত জড়িত নয় মর্মে জানা যায়। স্থানীয় তদন্তে থানার রেকর্ডপত্রে বর্ণিত আসামীদের বিরুদ্ধে অপরাধজনক কোন তথ্য নাই বলিয়া ই/এস তদন্তকারী অফিসার জানান।
তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল ০১/০৮/২০০৯ ইং।