সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে আলোচনা সভা করেছে মানবতার কল্যাণে নিবেদিত আন্দোলন হেযবুত তওহীদের কিশোরগঞ্জ জেলা শাখা। আজ বিকেলে জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে অনুষ্ঠিত এ সভায় মুখ্য আলোচকের বক্তব্য রাখেন হেযবুত তওহীদের এমাম হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম। স্থানীয় সামাজিক ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিপুল সংখ্যক সাধারণ জনতা ও সুধীজনেরা এতে অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- হেযবুত তওহীদের সাধারণ সম্পাদক; বাংলাদেশ অনলাইন টেলিভিশন এসোসিয়েশনের সভাপতি ও জেটিভি অনলাইনের চেয়ারম্যান মো. মশিউর রহমান, কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জেলা জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পি. পি) অ্যাড: শাহ আজিজুল হক, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের কিশোরগঞ্জ জেলা সভাপতি অ্যাড: ক্ষিতিষ চন্দ্র দেবনাথ, হেযবুত তওহীদের সংগঠক ও মুখপাত্র রুফায়দাহ পন্নী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক বাপ্পা ও নিজাম উদ্দিন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কিশোরগঞ্জ জেলা হেযবুত তওহীদের সভাপতি ডা: মোহাম্মদ আব্দুর রব।
মুখ্য আলোচক তার বক্তব্যে বলেন, বাঙালিরাই একদিন সমস্ত পৃথিবীকে ‘সভ্যতা’ উপহার দিবে। ‘সভ্যতার নামে দুনিয়াতে চলছে অসভ্যতা। আল্লাহ যুগে যুগে নবী-রসুল পাঠিয়ে মানুষকে সভ্যতা শিখিয়েছেন। তারপর আবার মানুষ অসভ্যতার দিকে ফিরে গেছে। আবারও নবী-রসুল এসে তাদেরকে সভ্যতা শিক্ষা দিয়েছেন। কাজেই এখন সভ্যতার নামে দুনিয়াময় যে অসভ্যতা চলছে, সেটারও পতন ঘটবে। তিনি আরও বলেন, সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশরা আমাদের দেশে আসার আগে আমরা হতদরিদ্র ছিলাম না। আমাদের গোয়ালভরা গরু, ক্ষেতভরা ফসল, পুকুরভরা মাছ ছিল। টাকায় আট মন চাল পাওয়া যেত। আমাদের সমৃদ্ধি দেখে সাম্রাজ্যবাদীদের চোখ ছানাবড়া হয়ে যেত। সেই জাতিকে আজ ভাত-কাপড়ের জন্য এত প্রাণপনে লড়াই করতে হবে কেন? আমাদেরকে অনুন্নত দরিদ্র বানাল কারা? কারা আমাদের তিন কোটি ভারতবাসীকে না খাইয়ে মেরেছিল তা কি আমাদের অজানা? অথচ সেই সাম্রাজ্যবাদীদের কাছ থেকে এখন আমাদেরকে ‘উন্নয়নশীল’ হবার সার্টিফিকেট নিতে হয়। না, ওই পরধনলোভী শোষকদের কাছে থেকে উন্নয়নের সার্টিফিকেট নেওয়ার দরকার নেই, আমরা বাঙালিরাই সারা পৃথিবীকে উন্নতি-সমৃদ্ধির সন্ধান দিব ইনশা’আল্লাহ।