হেযবুত তওহীদ

মানবতার কল্যাণে নিবেদিত

লাঞ্ছিত ইহুদি কেন সমৃদ্ধ? সমৃদ্ধ মুসলমান কেন লাঞ্ছিত?

মোহাম্মদ আসাদ আলী
১. পৃথিবীর যে কয়টি স্থানে নির্যাতিত মুসলমান পড়ে পড়ে মার খাচ্ছে, আর তা দেখে আমরা বাকি পৃথিবীর মুসলমানেরা মাতম করছি, তার মধ্যে অন্যতম ফিলিস্তিন। ফিলিস্তিনিদের প্রতি নির্যাতনকে ইহুদিবাদী ইজরাইল অন্য একটা মাত্রায় নিয়ে গেছে। কোনো রাখঢাক না করে, বিন্দুমাত্র লজ্জিত বা দ্বিধান্বিত না হয়ে, সম্পূর্ণ নির্বিকারচিত্তে ‘অত্যাচার’ চালাতে পারার অসম্ভব ক্ষমতাটি ইজরাইলী শাসকরা ভালোভাবেই রপ্ত করেছে। সেই ক্ষমতার বহিঃপ্রকাশ ঘটাতেই হয়ত- সম্প্রতি ফিলিস্তিনি নিধনের আরেকটি পর্ব অতিক্রম করছে ইহুদিবাদী রাষ্ট্রটি।
এই ইজরাইল নামক রাষ্ট্রটি আজ থেকে ৭০ বছর আগেও বিশ্বের মানচিত্রে ছিল না। ভূখণ্ডটি ছিল আরবদের অধিকারে। আরবরা বংশ-পরম্পরায় সেখানে বসবাস করে আসছিল। পক্ষান্তরে ইহুদিদের তখন বেহাল দশা। দুই হাজার বছর ধরে তারা লানতপ্রাপ্ত জাতি। স্বদেশ নেই, নিরাপত্তা নেই, স্বাধীনতা নেই, বিচ্ছিন্ন-বিক্ষিপ্ত একটি জনসংখ্যা মাত্র। সারা পৃথিবীতে যেখানেই যায় লানত তাদের পিছে পিছে যায়। লানত চলাকালে ইহুদিরা সবচাইতে বেশি নির্যাতনের শিকার হয় খ্রিষ্টানদের দ্বারা। তারা ইউরোপের সর্বত্র ইহুদিদেরকে সংঘবদ্ধভাবে আক্রমণ করে হত্যা করত, মেয়েদের ধর্ষণ করত, লুটপাট চালাত। এই হামলা ও হত্যাকাণ্ড এতবার হয়েছে যে, বিষয়টিকে বোঝাতে ইংরেজিতে একটি শব্দেরই জন্ম হয়- ঢ়ড়মৎড়স। বলা বাহুল্য, যখন ইহুদিদের এই ত্রাহি অবস্থা চলছে, তখন মুসলমানরা সামরিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, আধ্যাত্মিক সমস্ত দিক দিয়ে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জাতি। জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চায় ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনে, শিক্ষা-দীক্ষা ও সভ্যতায় তাদের সমত‚ল্য কেউ নেই। ইহুদি তো বটেই, খ্রিষ্টানরাও এদের উন্নতি-প্রগতির দিকে ঈর্ষাকাতর নয়নে তাকিয়ে থাকত।
২.
এক সময় ইহুদিরা ঘুরে দাঁড়াল। ঐক্যবদ্ধ হলো। একজন নেতার অধীনে নিজেদেরকে সমর্পণ করল। সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকলেও তারা বিচ্ছিন্ন-বিক্ষিপ্ত রইল না, তারা হয়ে গেল একদেহ একপ্রাণ। তাদের সিদ্ধান্ত একটা, লক্ষ্য একটা, কর্মসূচি একটা। ফলে বিভিন্ন দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা হাতে নেওয়া তাদের জন্য সহজ হয়ে গেল। তারা বুঝতে পারল- ভাসমান জীবন অনিশ্চিত জীবন। সবার আগে একটি স্থায়ী আবাস দরকার। কাজেই তাদের নেতারা বসে লক্ষ্য স্থির করল- আজ হোক কাল হোক আমরা জেরুজালেমে ফিরে যাবে। সেখানেই হবে আমাদের নতুন রাষ্ট্র, শুরু হবে নতুন যাত্রা।
তারপর থেকে প্রতিটি মুহূর্তে তাদের সম্মিলিত প্রয়াসের একটিই লক্ষ্য হয়ে দাঁড়াল- ‘ইজরাইল’ রাষ্ট্র গঠন। বছরের পর বছর চলে যায়, যুগের পর যুগ চলে যায়, তারা লক্ষ্যে অটল, কর্তব্যে স্থির। নেতা যা বলে তারা তা-ই করে। তারা ব্যবসা করছে? জাতির জন্য। চাকরি করছে? জাতির জন্য। বৈজ্ঞানিক গবেষণাকার্য চালাচ্ছে? জাতির জন্য। বিভিন্ন দেশের সামরিক বাহিনীতে ভর্তি হয়ে যুদ্ধের প্রশিক্ষণ নিচ্ছে? জাতির জন্য। এমনকি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে হিটলার কর্তৃক তারা যে গণহত্যার শিকার হয়, সেই গণহত্যাকেও তারা জাতীয় লক্ষ্যের অনুক‚লে কাজে লাগায়। সারা পৃথিবীর মানুষকে, পরাশক্তিগুলোকে বোঝাতে সক্ষম হয়- ‘এই দ্যাখো, একটা স্বাধীন ভূখণ্ড আমাদের জন্য কত প্রয়োজন!’
প্রকৃতি তার নিয়ম লঙ্ঘন করে না, এখানেও করল না। একটি জাতির বিজয়ের মূল সূত্র সংখ্যা নয়, ধন-দৌলতও নয়। মূলসূত্র হচ্ছে ঐক্য, শৃঙ্খলা, আনুগত্য। ইহুদিরা এই বলে বলীয়ান হয়ে ঠিকই তাদের লক্ষ্যভেদ করল। সেই লক্ষ্য সৎ না অসৎ তা ভিন্ন আলোচনা, কিন্তু লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য যে শর্ত প্রয়োজন তা পূরণ করতে পারল বলেই তারা স্বাধীন রাষ্ট্র পেল এবং কিছুকালের মধ্যেই তারা বিশ্বের অন্যতম সুপার পাওয়ারে পরিণত হলো। কোনো অলৌকিক শক্তিবলে নয়, প্রকৃতির নিয়মেই একটি লাঞ্ছিত জাতি শক্তিশালী জাতির মর্যাদায় অধিষ্ঠিত হলো।
৩.
ঐক্য, শৃঙ্খলা ও আনুগত্যের বলে বলীয়ান হয়ে ইহুদি জাতি যখন তাদের লাঞ্ছনার অবসান ঘটিয়ে সম্মান ও মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হচ্ছে, ঠিক সেই সময় মুসলমানদের চলছে বিপরীত অবস্থা। ঐক্যহীন হয়ে, শৃঙ্খলাহীন হয়ে, আনুগত্যের শিক্ষা ভুলে এই জাতি তখন পরাজয় ও লাঞ্ছনার সমুদ্রে ডুবে যাচ্ছে একটু একটু করে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষে কয়েক হাজার ইহুদি যখন ইজরাইল নামক রাষ্ট্রটি গঠনের জন্য ব্রিটিশ ও মার্কিন সহায়তা নিয়ে ফিলিস্তিনের ভূখণ্ডে জবরদখল চালাচ্ছে, ফিলিস্তিনিদের হত্যা করছে, মাতৃভূমি থেকে উচ্ছেদ করছে, তখন আমরা মুসলমানরা সংখ্যায় কম করে হলেও একশ’ কোটি। আমাদের বিরাট ভূখণ্ড, লক্ষ লক্ষ আলেম, পীর, দরবেশ, মুফতি, মাওলানা, আইনজ্ঞ, বিশেষজ্ঞ- কোনোকিছুরই অভাব নেই। কিন্তু কারো সাথে কারো মত মেলে না। আমরা তখন বহু রাষ্ট্রে, হাজার হাজার দলে-উপদলে, তরিকা ও ফেরকা-মাজহাবে বিভক্ত, উদ্দেশ্যহীন, কর্মসূচিহীন বিশৃঙ্খল একটি জনসংখ্যামাত্র। কেউ এর কথা শুনছে, কেউ ওর কথা শুনছে। একজন আবার আরেকজনকে কাফের ফতোয়া দিচ্ছে। যার যার জাতীয়, দলীয়, ফেরকাগত ও গোষ্ঠীগত স্বার্থের বৃত্তে তারা বন্দী।
সেই বন্দী খাঁচার পাখি হয়ে সারা বিশ্বের একশ’ কোটি মুসলমান চেয়ে চেয়ে দেখল যে, ‘ব্রিটিশের সাথে হাত মিলিয়ে কয়েক হাজার ইহুদি তাদের ফিলিস্তিনী ভাইদের মাতৃভূমি দখল করে নিচ্ছে।’ দেখল, কিন্তু সংকীর্ণতার খাঁচা ভেঙ্গে সারা বিশ্বের মুসলমান জাতীয় স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সেই অন্যায়ের প্রতিরোধ যে করবে- তা করতে পারল না। প্রতিরোধ আসে কেবল কয়েকটি আরব দেশের পক্ষ থেকে। মিশর, ইরাক, লেবানন, জর্ডান এবং সিরিয়া এই পাঁচ দেশের সরকার চেষ্টা চালায় অবৈধ ইজরাইল রাষ্ট্রের উত্থান ঠেকাতে, এমনকি সামরিক পদক্ষেপও গ্রহণ করে। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়- আরবদের ওই সম্মিলিত প্রয়াসও শোচনীয়ভাবে ব্যর্থ হলো। কেন ব্যর্থ হলো তার কারণ হিসেবে বিবিসির বিশ্লেষণে বলা হচ্ছে, ‘ওই আরব দেশগুলোর মধ্যে কোন সমন্বয় ছিল না। তাছাড়া আরব নেতৃত্ব একে অপরকে বিশ্বাস করত না।’ অর্থাৎ যে কথা আমি এতক্ষণ বোঝাতে চেয়েছি সেটাই। সারা বিশ্বের মুসলমানদের কথা দূরে থাকুক, মাত্র পাঁচটি আরব দেশও শত্রæর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই করতে পারেনি, যার ফলে একটি নবজাতক রাষ্ট্রের কয়েক হাজার ইহুদির হাতে শোচনীয়ভাবে পরাজয় বরণ করতে বাধ্য হয়েছে!
হ্যাঁ, তারা বিজয়ী হতে পারত যদি সংখ্যার জোরে বিজয়ী হওয়া যেত। কারণ সংখ্যার দিক দিয়ে তারা যথেষ্ট ছিল। কিন্তু প্রকৃতির নিয়ম তা নয়। আল্লাহর রসুল ও তাঁর সাহাবীরা প্রতিটি যুদ্ধে বিজয় অর্জন করতেন সংখ্যার জোরে নয়। সংখ্যায় তারা প্রতিটি যুদ্ধে কম ছিলেন, তবু কয়েক গুণ শক্তিশালী শত্রæর বিরুদ্ধে বিজয়ী হতেন ঐক্য ও শৃঙ্খলার জোরে। নেতার প্রতি শর্তহীন প্রশ্নহীন আনুগত্য ও লক্ষ্য অর্জনে জীবনের সর্বস্ব কোরবান করার অঙ্গীকারে আবদ্ধ থাকত তাঁর জাতি। সেই জাতির নেতা ছিলেন একজন, যে কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসত একটা, লক্ষ্য ছিল একটা, কর্মসূচিও ছিল একটা। শুধু রসুলাল্লাহর জীবদ্দশাতেই নয়, তাঁর ওফাতের পরেও জাতি যতদিন রসুলাল্লাহর প্রদর্শিত ঐক্য, শৃঙ্খলা ও আনুগত্যের নীতি ধরে রাখতে সক্ষম হয়- আল্লাহর সাহায্য থেকে এক দিনের জন্যও তারা বঞ্চিত হয়নি, তৎকালীন দুনিয়ার দুই সুপার পাওয়ার রোমান ও পারস্য সা¤্রাজ্যও তাদের কয়েক লক্ষের ছোট্ট জাতির সামনে তুলোর মতো উড়ে যায়।
আজ আফসোস হয় যখন দেখি, তেরো শ’ বছর পরে এসে রসুলাল্লাহর ওই নীতি থেকে মুসলিমরা যোজন যোজন দূরে সরে যাবার কারণে দুর্বল হয়ে পড়ায় নিজেদের মাটি থেকে বিতাড়িত হচ্ছে, অন্যদিকে ওই নীতি গ্রহণ করেই ইজরাইল রাষ্ট্রটি একাই পাঁচটি মুসলিম আরব দেশের আক্রমণ ঠেকিয়ে দিচ্ছে! অদৃষ্টের কী নির্মম পরিহাস!
১৯৪৮ সালে ইহুদিবাদী ইজরাইলের উপর আরবদের আক্রমণ ছিল প্রস্তুতিহীন, অপরিকল্পিত ও বিশৃঙ্খল। নেতৃত্বের অভাব ছিল সুস্পষ্ট। সমগ্র মুসলিম বিশ্বের কথা বাদ দিলেও, আক্রমণকারী পাঁচ দেশের মধ্যেও যদি ঐক্য থাকত এবং একটি নেতৃত্বের প্রতি সবার সমর্পণ থাকত তবু একটা কথা ছিল। তাও ছিল না, এমনকি ওই আক্রমণকারী সেনাবাহিনীতেও কোনো অবিসংবাদিত সেনাপতি ছিলেন কিনা সন্দেহ। পক্ষান্তরে ইহুদিরা কয়েক দশক ধরে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে তাদের লক্ষ্যের দিকে এগিয়েছে। তারা সবকিছুর জন্যই প্রস্তুত ছিল। তাদের বিচক্ষণ নেতৃত্ব ভালো করেই জানত, যুদ্ধ ছাড়া উপায় নেই। তাই যুদ্ধের জন্য সমস্ত পূর্বপ্রস্তুতি তাদের নেয়া ছিল। বহু গোপন সশস্ত্র দল তৈরি ছিল, এমনকি গোপন অস্ত্রকারখানাও ছিল তাদের। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে ইহুদি নেতারা পরিকল্পিতভাবে হাজার হাজার ইহুদিকে ব্রিটেনের সামরিক বাহিনীতে ভর্তি করায়। সেখান থেকে সামরিক প্রশিক্ষণ নিয়ে বেরিয়ে এসে তারা আরবদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হয়।
এইভাবে ইহুদিদের তুখোড় নেতৃত্ব এবং ঐক্য, শৃঙ্খলা ও আনুগত্যের শক্তিই আরব ও ইহুদিদের মধ্যে বিশাল ব্যবধান তৈরি করে দেয়, যার পরিণতি সংখ্যালঘু ইহুদির হাতে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের পরাজয় এবং দশকের পর দশক ধরে সেই পরাজয়ের গøানি তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে ওঠা।
৪.
ইদানীং অনেককেই বলতে শোনা যায়, ইহুদিরা এত উন্নত ও সমৃদ্ধ, কারণ ওরা জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চায় খুব মনোযোগী। মুসলমানদেরকেও জ্ঞান বিজ্ঞানে উন্নতি করতে হবে, তাহলে তারাও পৃথিবীতে শ্রেষ্ঠত্ব পাবে। অনেকে বলেন, ইহুদিরা অনেক ক‚টনীতি জানে, মুসলমানদেরও ওইরকম ক‚টনীতিতে পারদর্শী হতে হবে। তবেই মুসলমানরা ওদের মতো সমৃদ্ধ হবে। অনেকে বলেন, ইহুদিরা অর্থনৈতিকভাবে খুব শক্তিশালী, কাজেই মুসলমানদেরকেও ব্যবসা-বাণিজ্য, ব্যাংক-বীমা ইত্যাদি করে অর্থনীতি শক্তিশালী করতে হবে, নইলে ওদের সাথে টেক্কা দিয়ে পেরে উঠবে না। কিন্তু আসল কথাটি কেউ বলেন না। কেউ বলেন না ইহুদিদের সমস্ত অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামরিক, ক‚টনৈতিক ও প্রযুক্তিগত উন্নতি-সমৃদ্ধির মূলে আছে তাদের ঐক্য, শৃঙ্খলা, আনুগত্য। কেউ বলেন না ইহুদিরা যতদিন বিচ্ছিন্ন বিক্ষিপ্ত ছিল তারা মার খেয়েছে, যখন একটি নেতৃত্বের অধীনে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে, একটি সিদ্ধান্তের অনুসরণ করে, একটি কর্মসূচি মেনে, একটি লক্ষ্যের দিকে একজাতি একপ্রাণ হয়ে ধাবিত হতে শিখেছে তখন থেকেই তাদের উন্নতি-সমৃদ্ধির দিগন্ত উন্মোচন শুরু হয়েছে।
কেউ সেই কথা বলেন না কারণ হয়ত জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চা বা ক‚টনীতিতে উন্নতি করা বা অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী হওয়া যতটা কঠিন, এই মুসলিম নামক বিচ্ছিন্ন বিক্ষিপ্ত, নিজেরা নিজেরা হানাহানি রক্তারক্তিতে লিপ্ত মুসলমান জাতির ঐক্যবদ্ধ হওয়া তারচেয়েও বেশি কঠিন। এতই কঠিন যা অবাস্তব ও অসম্ভবের পর্যায়ে পড়ে। কাজেই ওই কথা মুখে আনাই নিষ্ফল মনে হয়!

সার্চ করুন

যুক্ত হোন আমাদের ফেসবুক পেজের সাথে...