হেযবুত তওহীদ

মানবতার কল্যাণে নিবেদিত

মুসয়াব ইবনে উমায়র (রা.)

(শেষ খণ্ড) উসাইদ ওযু করে এসে উপস্থিত সকলের সম্মুখে ঘোষণা করেন, ‘আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই’। তিনি আরো বলেন ‘আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, মুহাম্মদ (দ:) আল্লাহর প্রেরিত বার্তাবাহক’। উসাইদের খবর চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে সা’দ ইবনে মুয়াজ এবং সা’দ ইবনে উবাদা ছুটে এসে মুসয়াবের (রা.) নিকট দীন গ্রহণ করলেন। এদের মতো নেতৃস্থানীয় লোক ইসলাম গ্রহণ করলে সাধারণ মদিনাবাসীর ভিতর ব্যাপক সাড়া পড়ে গেল। তারাও দলে দলে মুসয়াবের (রা.) কাছে আসতে লাগলেন এবং বেশিরভাগই নতুন দীনে প্রবেশ করতে শুরু করলেন।
এভাবে আল্লাহর রসুলের (দ.) প্রথম দূত তাঁর মিশনে শতভাগ সাফল্য অর্জন করেন। এই সফলতার ফলশ্র“তিতেই রসুলাল্লাহ (দ.) এবং সকল মক্কাবাসী সাহাবী মুহাজের হিসেবে মদিনায় হিজরত করে মদিনায় একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ভিত রচনা করেন। রসুল (দ:) যখন কুরাইশদের চোখ এড়িয়ে মদিনায় চলে এলেন, তখন যৌক্তিক কারণেই কুরাইশরা তা সহজভাবে নিতে পারল না। তারা বুঝতে পারল মোহাম্মদের (দ:) মিশন নির্বিঘেœ এগিয়ে চললে তাদের দাপট অচিরেই খর্ব হবে। আবার মদিনা একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে টিকে থাকতে হলে মক্কাবাসীদের সাথে সংঘর্ষ এবং তাদের উপর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা ছাড়া ভিন্ন কোন উপায় ছিল না। ফলে অবশ্যম্ভাবীরূপে রসুলের (দ.) নেতৃত্বাধীন মদিনা রাষ্ট্রের সাথে মক্কাবাসীদের দ্বন্দ্ব সংঘর্ষ আরম্ভ হলো। এক পর্যায়ে হিজরী দ্বিতীয় বর্ষে আবু সুফিয়ানের নেতৃত্বাধীন কুরাইশদের একটি বাণিজ্য কাফেলা সিরিয়া থেকে মক্কা প্রত্যাবর্তনের সময়ে মুসলিম বাহিনীর হুমকীর সম্মুখীন হলে আবু সুফিয়ান সাহায্য চেয়ে মক্কায় লোক পাঠায়। আবু সুফিয়ানের কাছে গচ্ছিত কুরাইশদের সম্পদ রক্ষা করতে এবং কুরাইশ নেতা উতবা ইবনে রবীআ এর মিত্র আমর ইবনে হাদরামীর মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে সমস্ত কুরাইশদের এক মিলিত বাহিনী মদিনা অভিমুখে বদর প্রান্তরে উপনীত হয়। এই যুদ্ধে রসুলাল্লাহ (দ:) মুসয়াবের হাতে সাদা পতাকা তুলে দেন। আল্লাহর অশেষ দয়ায় এই যুদ্ধে কুরাইশদের শোচনীয় পরাজয় ঘটে।
বদরের শোচনীয় পরাজয়ের পাল্টা প্রতিশোধ নিয়ে নিজেদের বাপ ভাইয়ের মৃত্যুর বদলা নেওয়ার জন্য আবু সুফিয়ানের নেতৃত্বে মক্কার সমস্ত কুরাইশ এবং তাদের অধিকাংশ মিত্রদের উপস্থিতিতে প্রায় তিন হাজার সৈন্যের এক মিলিত বাহিনী সংগঠিত করা হয়। রসুলাল্লাহ (দ:) কুরাইশদের প্রস্তুতির খবর পেয়ে সমস্ত মদিনাবাসী আনসার ও মুহাজেরদের নিয়ে প্রায় এক হাজার সৈন্য সংগঠিত করে মদিনা থেকে বেরিয়ে ওহুদের দিকে অগ্রসর হন। পথিমধ্যে মদিনার মুনাফেক সর্দার ‘আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই ইবনে সুলুল’ প্রায় তিনশত জনকে নিয়ে মূল বাহিনীকে পরিত্যাগ করে, মদিনার বাহিরে গিয়ে যুদ্ধ না করার অজুহাতে। রসুলাল্লাহ (দ.) অবশিষ্ট সাতশত জনকে নিয়েই ওহুদ প্রান্তরে উপস্থিত হন। এই যোদ্ধেও রসুল (দ:) মুসয়াব ইবনে উমায়েরের (রা:) হাতে পতাকা তুলে দিয়ে সমস্ত মু’মিনদের মধ্যে তাকে বিশেষ মর্যাদা দান করেন। যোদ্ধের প্রথমার্ধে কুরাইশগণ ধীরে ধীরে কোণঠাসা হতে থাকে এক পর্যায়ে কোরাইশদের পদাতিক বাহিনী পুরোপুরি বিধ্বস্থ হয়ে রণে ভঙ্গ দিয়ে পিছু হটে পলায়ন করতে থাকে।
এ সময় কুরাইশদের পদাতিক বাহিনীর দুই পার্শ্বে দাড়ানো অশ্বারোহী বাহিনী নীরবে দাড়িয়ে যুদ্ধের মূলক্ষেত্রের দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখছিল। দুই দিকের অশ্বারোহী বাহিনীর এক অংশের নেতৃত্বে ছিলেন খালিদ বিন ওয়ালিদ, তার সাথে ছিল একশত ঘোড়সওয়ার। এবং অপর অংশের নেতৃত্বে ছিলেন ইকরামা বিন আবু জাহেল, তার নেতৃত্বেও ছিলো একশত ঘোড়সওয়ার সৈন্য। তাদের দুজনের মধ্যে খুব ভালো বোঝাপড়া ছিল। তারা দূর খেকে দাড়িয়ে যুদ্ধ পরিস্থিতি দেখছিলেন এবং সতর্কতার সাথে করণীয় সম্পর্কে চিন্তা করছিলেন। তাদের উভয়ের নিয়ন্ত্রণাধীণ বাহিনীই সম্পূর্ণ সুশৃংখলভাবে তাদের নিজ নিজ অবস্থানে স্থিরভাবে দাড়িয়ে ছিল। অর্থাৎ এই দুই দিকের অশ্বারোহী বাহিনীর উপর তাদের কমান্ডারদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ছিল। মুসলিম বাহিনীর অবস্থানের পিছনে ওহুদ পাহাড়ের মধ্যে একটি সঙ্কীর্ণ গিরিপথ, ঐ গিরিপথের দুই দিকে পাহাড়ের উপর ৫০ সদস্যের এক তীরন্দাজ বাহিনী আব্দুল্লাহ ইবনে যুবাইরের (রা.) নেতৃত্বে মোতায়েন করা ছিল। তাদেরকে মোতায়েন করার সময় রসুলাল্লাহ (দ.) আব্দুল্লাহ ইবনে যুবায়েরকে বলে দেন যে, যুদ্ধে জয় পরাজয় যাই হোক না কেন, কোন অবস্থাতেই যেন তিনি ও তাঁর বাহিনী তাদের প্রতিরক্ষা অবস্থান থেকে সরে গিয়ে মূল মুসলিম বাহিনীর পেছন দিক হতে আক্রমণের সুযোগ না দেন। কিন্তু যখন কুরাইশ পদাতিক বাহিনী পিছু হটে পলায়ন করছিল, এবং মূল মুসলিম বাহিনী কুরাইশদের শিবির আক্রমণ ও মালামাল সংগ্রহে ব্যস্ত হয়ে পড়ল, তখন তীরন্দাজদের বেশিরভাগই যুদ্ধে নিজেদের জয় চূড়ান্ত হয়ে গেছে মনে করে তাদের অবস্থান ত্যাগ করে কুরাইশ শিবিরে তাদের সম্পদ অধিকারে নেওয়ার জন্য যাত্রা করলেন। তখন তাদের নেতা আব্দুল্লাহ ইবনে যুবায়ের (রা.) তাদেরকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেও বিফল হলেন। অবশেষে মাত্র সাত জন তীরন্দাজ পাহাড়ে অবস্থান করছিলেন।
কুরাইশ অশ্বারোহী বাহিনীর মূল প্রধান খালিদ বিন ওয়ালিদ এই ঘটনাগুলো খুব স্থির চিত্তে ঠাণ্ডা মাথায় পর্যবেক্ষণ করছিলেন। তিনি যখন দেখলেন ঐ ৫০ জন তীরন্দাজদের প্রায় সকলেই ময়দানে এসে লুটপাটে মত্ত হয়ে গেছেন। তখন তিনি অপর অশ্বারোহী দলের নেতা ইকরামা বিন আবু জাহেলকে কিছু নির্দেশনা দিয়ে নিজ অশ্বারোহী দল নিয়ে ওহুদ পাহাড় ঘুরে ঐ গিরিপথ দিয়ে মুসলিম বাহিনীর পশ্চাতভাগের দিকে অগ্রসর হলেন। গিরিপথে আব্দুলাহ ইবনে যুবায়ের কিছুক্ষণ তীর নিক্ষেপ করে খালিদের বাহিনীর গতিরোধ করলেও কিছুক্ষণের মধ্যেই সাতজন সাথীসহ শাহাদাৎ বরণ করেন। খালিদ তার অশ্বারোহী বাহিনী নিয়ে অতর্কিতে মুসলিম বাহিনীর পশ্চাতভাগে আক্রমণ চালালে খালিদের পূর্ব নির্দেশনা অনুযায়ী ইকরামা বিন আবু জাহেলও তার অশ্বারোহী বাহিনী নিয়ে মুসলিম বাহিনীর সম্মুখভাগে সাড়াশী আক্রমণ পরিচালনা করেন। বেশিরভাগ মুসলিম যোদ্ধা শৃংখলা ভঙ্গ করে লুটপাটে ব্যস্ত থাকায় কুরাইশদের অশ্বারোহী বাহিনীর এই দ্বিমুখী আক্রমণে একেবারে হতচকিত হয়ে পড়েন। তখন অতি অল্প সংখ্যক মোজাহেদ যারা এই অবস্থা থেকে শৃংখলা ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টায় লিপ্ত ছিলেন তাঁরাই কেবল ক্ষীণ প্রতিরোধ গড়ে তুললেন। এই সকল মহাত্মনদের অন্যতম ছিলেন মুসলিম বাহিনীর পতাকাবাহী সাহাবী মুসয়াব ইবনে উমায়ের (রা:)। মুসলিম বাহিনীর এই পতাকাবাহী নেতা উদ্ভূত পরিস্থিতির ভয়াবহতা পরিস্কার উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন। তিনি যতটুকু সম্ভব ঝাণ্ডাকে উচু করে তুলে ধরে গলা ফাটিয়ে তকবীর ধ্বনি দিতে থাকলেন। তাঁর উদ্দেশ্য ছিল এই রকম হুলস্থূল করে কুরাইশ অশ্বারোহীদের দৃষ্টি রসুলাল্লাহর থেকে ফিরিয়ে দিয়ে নিজের দিকে নিবদ্ধ রাখা। এভাবে তিনি একহাতে তরবারী ও অন্যহাতে পতাকা তুলে ধরে মরণপণ লড়তে থাকেন। তাঁর এই কার্যক্রম দেখে কুরাইশরা সত্যিই তার দিকে সমস্ত মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করে। ফলে তিনি কুরাইশ অশ্বারোহীদের সাড়াশী আক্রমণের মুখোমুখী হন। কুরাইশ অশ্বারোহীরা তাঁকে হত্যায় মরিয়া হয়ে উঠে।
তাঁর তুমুল প্রতিরোধের একপর্যায়ে অশ্বারোহী ইবনে কামীয়া এগিয়ে এসে তাঁর পতাকাবাহী হাতের উপর বিদ্যুৎ গতিতে তরবারি চালায়। তরবারির এক কোপেই তার হাতটি দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তিনি তৎক্ষণাৎ তাঁর অপর হাত দিয়ে পতাকাকে তুলে ধরেন এবং চিৎকার করে বলতে থাকেন, “মুহাম্মদ একজন রসুল মাত্র, তাঁর পূর্বেও বহু রসুল গত হয়েছেন”। কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁর অপর হাতটিও তরবারীর আঘাতে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। তিনি তখন ঝুঁকে পড়ে তাঁর কাটা দুই বাহু দিয়ে পতাকার হাতল ধরে পতাকার মর্যাদা সমুন্নত রাখেন এবং মুখে পূর্বোক্ত বাণী আওড়াতে থাকেন। এরপর তাকে দূর থেকে বর্শার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়। এই বর্শার আঘাতেই তিনি পতাকা সমেত মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এইভাবে আল্লাহর রসুলের এই অত্যন্ত স্নেহভাজন সাহাবী মুসয়াব ইবনে উমায়ের (রা.) শাহাদাতের অমীয় সুধা পান করেন। আল্লাহর রসুল (দ.) তখন ঘটনার আদ্যোপান্ত দূর থেকে অবলোকন করছিলেন। মুসয়াব মাটিতে লুটিয়ে পড়লে রসুলালাহ (দ.) তখন আলী ইবনে আবু তালিবকে (রা.) পতাকা বহনের দায়িত্ব অর্পণ করেন। মুসয়াবের (রা.) শাহাদাতের সময় তাঁর পবিত্র মুখ থেকে উদ্ধৃত বাণী “মোহাম্মদ একজন রসুল মাত্র …(ওয়ামা মুহাম্মাদুন ইল্লা রসুলিহি…….)” পবিত্র কোরআনের আয়াত হিসেবে তখনো অবতীর্ণ হয়নি। উহুদের যুদ্ধের পরেই জিব্রাইল (আ.) উক্ত আয়াত নিয়ে উপস্থিত হন।
ওহুদ যুদ্ধ অমীমাংসিত অবস্থায় শেষ হলে রক্ত ধূলাবালিতে একাকার অবস্থায় মুসয়াবের (রা.) প্রাণহীন দেহ খুজে পাওয়া যায়। লাশের কাছে দাড়িয়ে রসুলাল্লাহ (দ.) অঝোরে কেঁদে ফেলেন। মুসয়াবের ব্যাপারে সাহাবী খাব্বাব ইবনে আরাত (রা.) বলেন; “আল্লাহর রাস্তায় আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে আমরা হিজরত করেছিলাম। আমাদের এ কাজের ইহকালীন ও পরলৌকিক প্রতিদান দেওয়া তাঁরই দায়িত্ব। আমাদের মধ্যে যারা তাঁদের এই কাজের অনু পরিমাণ ইহলৌকিক প্রতিদান না নিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন তাঁদের অন্যতম হলেন মুসয়াব ইবনে উমায়ের। তাঁর লাশের খোঁজ পাওয়ার পর কাফনের জন্য মাত্র এক প্রস্থ চাদর ছাড়া অতিরিক্ত কাপড়ের ব্যবস্থা করা সম্ভব হলো না। তা দিয়ে তাঁর মাথা ঢাকলে পা এবং পা ঢাকলে মাথা বেরিয়ে যাচ্ছিল। তখন রসুলাল্লাহ (দ.) আমাদের বললেন, ‘চাদর দিয়ে মাথার দিক যতটুকু ঢেকে দেওয়া যায় দাও, আর পায়ের দিকে ইযখীর ঘাস দাও’। মুসয়াবের প্রাণহীন দেহের পাশে দাঁড়িয়ে রসুল (দ.) পাঠ করলেন; ‘মিনাল মু’মিনীনা রিজানুল সাদাকু ওয়াহদাল্লাহু আলাইহি’ (মু’মিনদের মধ্যে এমন কিছু লোক আছে যারা আল্লাহর সাথে কৃত অঙ্গীকার সত্যে পরিণত করেছে)। তারপর তিনি মুসয়াবের (রা.) কাফনের কাপড়ের দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘আমি তোমাকে মক্কায় দেখেছি, সেখানে তোমার থেকে দামি চাদর এবং সুন্দর যুলফী কারো ছিলনা। আর আজ তুমি এখানে এই ছোট চাদরে ধুলি মলিন অবস্থায় পড়ে আছো। আল্লাহর রসুল সাক্ষ্য দিচ্ছে যে, হাশরের দিন তোমরা সবাই আল্লাহর কাছে সাক্ষ্যদানকারী হবে’। তারপর তিনি সঙ্গীদের দিকে তাঁকিয়ে বললেন, ‘হে লোকসকল, তোমরা তাদের নিকট যিয়ারত করবে, তাদের কাছে এসে সালাম জানাবে। যার হাতে আমার জীবন, সেই সত্তার শপথ, কিয়ামত পর্যন্ত যে কেউ তাঁদের উপর সালাম পেশ করবে, এই শহীদানরা সেই সালামের জওয়াব দিবে’।
এরপর তাঁর জানাযা ও দাফন কাফন সম্পন্ন করা হয়। অন্য সকল শহীদানের জানাযার মতোই তাঁর জানাযাও স্বয়ং রসুলাল্লাহ (দ.) সম্পন্ন করেন। এভাবে একজন সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে আপোষহীন যুবক যিনি রসুলালাহর বিশেষ স্নেহের পাত্র ও বিশেষ মর্যাদার অধিকারী হয়েছিলেন, সেই মুসয়াব ইবনে উমায়ের (রা.) সত্যের সাক্ষ্য স্বরূপ ইহলোক ত্যাগ করেন।

সার্চ করুন

যুক্ত হোন আমাদের ফেসবুক পেজের সাথে...