হেযবুত তওহীদ

মানবতার কল্যাণে নিবেদিত

বেনামি লিফলেট ছড়িয়ে নাশকতা সৃষ্টির অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

গত ২২ মে, ২০১৭ তারিখ বরিশাল শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত প্রেসক্লাবে ধর্মব্যবসায়ীদের অপপ্রচার ও নাশকতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে একটি সংবাদ সম্মেলন করেছে হেযবুত তওহীদ। উজিরপুরের কয়েকটি মাদ্রাসার ছাত্রদের দ্বারা একটি নাম-ঠিকানাহীন উস্কানিমূলক বেনামী হ্যান্ডবিল প্রচারের প্রেক্ষিতে এই সংবাদ সম্মেলনটি করা হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন হেযবুত তওহীদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. মাহবুব আলম মাহফুজ। অন্যান্যদের মধ্যে আরোও উপস্থিত ছিলেন হেযবুত তওহীদের বরিশাল জেলা সভাপতি মো: খোকন হাওলাদার; বরিশাল জেলা সাধারণ সম্পাদক মো: আলম বালী; শ্রম ও কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক মো: কবির মৃধা; রাজনৈতিক ও আন্ত:ধর্মীয় যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক নূর মোহাম্মদ আরিফ।
উল্লেখ্য, গত শনিবার ২০ মে ২০১৭ তারিখে আসরের নামাজের পর উজিরপুর শিকদারপাড়া এম এ মেজর জলিল নূরাণী মাদ্রাসাসহ অজ্ঞাতনামা মাদ্রাসার ১৪-১৫ জন শিক্ষার্থী ৫/৬ টা দলে বিভক্ত হয়ে “হেযবুত তওহীদ একটি কুফুরী সংগঠন” শিরোনামের একটি হ্যান্ডবিলের আনুমানিক ৭/৮শ কপি স্থানীয় বাজারগুলোর দোকানে দোকানে এবং সাধারণ মানুষের মাঝে দ্রুত বিলি করে স্থান ত্যাগ করে। এ ঘটনায় স্থানীয় জনগণের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। হ্যান্ডবিলটিতে হেযবুত তওহীদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলো আরোপ করা হয়েছে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে কোর’আন হাদীস ও ঐতিহাসিক দলিল দিয়ে সেগুলোর প্রত্যেকটিকে মিথ্যা প্রমাণ করা হয়।
বক্তারা বলেন, একই হ্যান্ডবিল বিতরণ করে কতিপয় মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষক ও ধর্মভিত্তিক দলের সন্ত্রাসীরা গত ১৪ মার্চ ২০১৬ নোয়াখালীতে হেযবুত তওহীদের সদস্যদের বাড়িঘর লুটপাট করে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে, ভস্মীভূত করেছে, বহু সদস্যের অঙ্গহানি ঘটিয়েছে, দুই জনকে নৃশংসভাবে জবাই করে, হাত পায়ের রগ কেটে, চোখ উপড়ে হত্যা করেছে, পেট্রোল দিয়ে তাদের দেহ জ্বালিয়ে দিয়েছে, উদ্ধারকারী আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপর এবং থানাতে পর্যন্ত হামলা চালিয়েছে যার বিরুদ্ধে প্রত্যেকটি গণমাধ্যমে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছিল। এখন উজিরপুরের কিছু এলাকায় ঐ লিফলেটটিই বিতরণ করে একই ধরনের পৈশাচিক ঘটনা সংঘটনের অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে।
বক্তারা বলেন, মানুষের ধর্মবিশ্বাসকে ভুল খাতে প্রবাহিত করে এ ধরনের নাশকতা বারবার ঘটানো হয়েছে। এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি বন্ধে স্থানীয় প্রশাসন এবং সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানান তারা। ডা. মাহবুব আলম মাহফুজ বলেন, “উক্ত লিফলেট বিতরণের সঙ্গে জড়িত সকলকে আইনের আওতায় না আনা হলে যে কোন সময় আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটার সমুহ সম্ভাবনা রয়েছে। তাই উজিরপুর থানা এলাকায় বসবাসকারী হেযবুত তওহীদের সকল সদস্য-সদস্যাদের জান-মালের নিরাপত্তার স্বার্থে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। এ বিষয়ে উজিরপুর থানায় একটি আবেদন করা হয়েছে।” পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে হেযবুত তওহীদ সম্পর্কে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ধর্মব্যবসায়ী, ধর্ম নিয়ে অপরাজনীতিকারী গোষ্ঠী এবং জঙ্গিবাদী উগ্রগোষ্ঠীগুলো বরাবরই হেযবুত তওহীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অপপ্রচার চালিয়ে আসছে। অথচ হেযবুত তওহীদ সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক সংস্কারমূলক একটি আন্দোলন। হেযবুত তওহীদের সদস্যরা বিগত ২২ বছর যাবৎ দেশের প্রচলিত আইন মান্য করে শান্তিপূর্ণ উপায়ে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, অপ-রাজনীতি ও সাম্প্রদায়িক উন্মাদনা সৃষ্টির বিরুদ্ধে জনসচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে জাতিকে সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ করার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করে যাচ্ছে। হেযবুত তওহীদের এ কাজে সর্বস্তরের মানুষের সর্বাঙ্গীন সহযোগিতাও কামনা করেন তিনি।

সার্চ করুন

যুক্ত হোন আমাদের ফেসবুক পেজের সাথে...